গুরুদেবের আশ্রমে

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার সবাইকে,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও খুব ভালো আছি।

আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই খুব ঠান্ডা লাগছিল। লাস্ট দুই দিন ধরে দেখছি একটু বেশি ঠান্ডাই পড়ছে আমাদের এইখানে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে মা তাড়াতাড়ি আমাকে কিছু খেয়ে নেয়ার জন্য বলে, আমি যদিও তাৎক্ষণাৎ কোন কারণ বুঝতে পারিনি। কিছু সময় পরে মা আমাকে বলে তাকে নিয়ে গুরুদেবের আশ্রমে যেতে, অনেক দিন হয়ে গেছে গুরুদেবের আশ্রমে যাওয়া হয় না। এই ঠান্ডার মধ্যে আমার কোথাও বের হতে ইচ্ছা করছিল না কিন্তু মা বলল সেই কারণে তাড়াতাড়ি কিছু খেয়ে নিলাম এবং সকাল দশটার দিকেই মাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম গুরুদেবের আশ্রমের উদ্দেশ্যে। এই আশ্রমে আমি আগে কোনদিনও যায়নি।

20230104_132137.jpg

20230104_132247.jpg

20230104_132250.jpg

মা আগেও কয়েকবার এই আশ্রমে গেছে তাই সেখানে যাওয়ার দিক নির্দেশনা মায়ের কাছ থেকেই নিতে হলো আমাকে। প্রথমে নিকটবর্তী রেল স্টেশনে এসে অশোকনগর পর্যন্ত টিকিট কেটে নিলাম। টিকিট কেটে প্রায় ৩০ মিনিটের মত আমাদের স্টেশনে অপেক্ষা করতে হলো কারণ ট্রেন কিছুটা লেটে চলছিল। ট্রেন আসার পর ট্রেনে তেমন একটা ভিড় ছিল না তাই তাড়াতাড়ি করে উঠে পড়লাম এবং প্রায় ৩০ মিনিটের পর পৌঁছে গেলাম অশোকনগর। মা গুরুদেবের আশ্রমে যাবে সেই জন্য আমাকে কিছু ফল কেনার কথা বলে অশোকনগরে নামার পর। আমি আশেপাশে একটু খোঁজাখুঁজি করে ১০০ টাকার কিছু ফল কিনে নিয়েছিলাম গুরুদেবের আশ্রমে নিয়ে যাব বলে। অতঃপর প্লাটফর্ম থেকে নেমে কিছুটা হেঁটে গিয়ে একটা অটো রিজার্ভ করি । রিজার্ভ করা অটো নিয়ে আমরা প্রায় ১৬ থেকে ১৭ মিনিট পরই পৌঁছে যায় কাকপুলে গুরুদেবের আশ্রমের কিছুটা আগে। আমি যেহেতু প্রথমবার যাচ্ছি সেইখানে কি হয় না হয় সে বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানতাম না।

20230104_132301.jpg

20230104_132352.jpg

20230104_135520.jpg

এ বিষয়ে আমার থেকে আমার মা ভালো জানে কিন্তু মায়ের কাছ থেকে এ বিষয়ে আমি আগে কোন কিছু জিজ্ঞেস করিনি। কাকপুলে নামার পর কিছুদূর হেঁটেই গুরুদেবের আশ্রমে পৌঁছে গেলাম। বেশ শান্ত একটা পরিবেশ গিয়ে বেশ ভালো লাগছিল। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর জানতে পারি গুরুদেব আশ্রমে নেই। আমাদের মত আরও অনেক ভক্তবৃন্দ সেখানে উপস্থিত হয়েছিল গুরুদেবের দর্শন পাওয়ার জন্য কিন্তু গুরুদেব সেখানে উপস্থিত না থাকায় সবাই কিছুটা হতাশ হয়েছিল। আমরা তো অনেকটা দূরের পথ জার্নি করে গেছিলাম, আমাদের থেকেও দু থেকে তিন গুন রাস্তা বেশি অতিক্রম করেও অনেকে এসেছিল গুরুদেবের সাথে দেখা করার জন্য। এত দূর থেকে এসে গুরুদেবের সাথে দেখা না করে যাওয়া তারা কোনভাবে মেনে নিতে পারছিল না। গুরুদেবের যারা শিষ্য ছিল তাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম গুরুদেবের আসতে আসতে অনেকটা সন্ধ্যা হয়ে যাবে কারণ গুরুদেব একটি অনুষ্ঠান অ্যাটেন্ড করতে গেছে অন্য একটি জায়গায় গেছে।

20230104_135517.jpg

20230104_135635.jpg

20230104_142035.jpg

যেহেতু আমরা সকাল-সকালে গেছিলাম তাই এতটা টাইম অপেক্ষা করা আমাদের জন্য বেশ দুষ্কর ছিল। আমি সকালে কিছুটা খেয়ে গেলেও মা গুরুদেবের সাথে দেখা করার জন্য না খেয়েই গেছিল। তারপরও গুরুদেবের আশ্রমে ২ ঘণ্টার মতো সময় কাটিয়ে আমরা বাড়ি ফিরি । গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে শান্তির একটা আলাদা ফিলিংস পেয়েছিলাম যেটা হয়তো লিখে বোঝানো যাবে না। গুরুদেবের আশ্রম এর যে মন্দির ছিল সেই মন্দিরের মধ্যে গিয়ে ঠাকুরের দর্শন করে নিয়েছিলাম। হয়তো সেদিন গুরুদেবের দর্শনের সৌভাগ্য হয়নি কিন্তু মন্দিরে কিছুটা সময় কাটিয়ে বেশ ভালোই লেগেছিল।

20230104_135509.jpg

20230104_132253.jpg

ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: কাকপুল, অশোকনগর, পশ্চিমবঙ্গ।

আজকের ব্লগে এতোটুকুই শেয়ার করার ছিল। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

🙏🙏 ধন্যবাদ সবাইকে 🙏🙏

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলেই দুদিন ধরে আমাদের এদিকেও প্রচুর ঠান্ডা পড়েছে ৷ যাই হোক , সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ভালোই ভালো গুরুদেবের আশ্রমে পৌঁছে গেছেন জেনে ভালো লাগলো ৷ তবে আশ্রমে গিয়ে গুরুদেরর সাথে দেখা করতে পারলেন নাহ , জেনে একটু খারাপ লাগলো ৷ যাই হোক আশ্রমে গিয়ে বেশ ভালো অনুভুতি অনুভব করেছেন ৷ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷

ভাই কয়েকদিন পরেই আবার গুরুদেবের আশ্রমে যাব ।সেদিন গিয়ে আশা করি দেখা হবে কারণ আগে থেকেই গুরুদেবের শিষ্যদের সাথে কথা বলে যাব এবং জেনে যাব গুরুদেব সেদিন আশ্রমে আছে কিনা সেই বিষয়টা।