ঘাটশিলা যাওয়ার পিছনের গল্প (পর্ব: ০১)

in hive-129948 •  2 years ago 

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

20230223_092238.jpg

প্রথমে আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে ভ্রমণ মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করব। কিছু দিন আগে গেছিলাম ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা নামক একটি স্থানে। সেখানে কি করে গেছিলাম সেটা একটা বড় স্টোরি সেটা অন্য একটি ব্লগে শেয়ার করবো।

উপরে কথাগুলো আগের একটি ব্লগে বলেছিলাম। ঘটাশিলা যাওয়ার যে বড় স্টোরি তা ছিল আজকের ব্লগে সেটা শেয়ার করবো।

20230223_054653.jpg
লোকেশন

20230223_055240.jpg
লোকেশন

20230223_054446.jpg
লোকেশন

ঘাটশিলা এই নামটি কয়েকদিন আগেও আমার কাছে অপরিচিত ছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে পাহাড় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছিলাম। আমাদের প্রথমে প্ল্যান হয়েছিল আমরা পাহাড় দেখতে পুরুলিয়া যাব। কিন্তু পুরুলিয়া গিয়ে থাকা খাওয়া এবং ঘোরার খরচটা একটু তুলনামূলক বেশি হওয়ায় বন্ধুরা মিলে এর বিকল্প হিসেবে অন্য কোথাও যাওয়া যাবে কিনা প্ল্যান করছিলাম। তখন আমার এক বন্ধু এই ঘাটশিলা নামটি উল্লেখ করে। তার কোন আত্মীয়রা গত বছর সেখানে গেছিল।

তারা নাকি জায়গাটির খুব প্রশংসা করেছিল। এবং সেখানে গিয়ে খরচ নাকি অনেকটাই কম যা পুরুলিয়ার প্রায় অর্ধেকই হয়ে যাবে। এই কথা শুনে আমরা সবাই ঘাটশিলার প্লান করে ফেলি। যাইহোক আমরা বন্ধুরা মিলে যখন প্লান করি ঘাটশিলাতেই যাবো। তারপর কোন ট্রেন ধরে যাবো টিকেট কাটা সবকিছু আমরা তিন দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করি। যেহেতু ট্রেনের টিকিট দিনে দিন পাওয়া যায় না তাই জন্য আমরা তিন দিন আগেই ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম।

20230223_060338.jpg
লোকেশন

20230223_071435.jpg
লোকেশন

ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছিল। বারবিল শতাব্দি এক্সপ্রেস যেটা সকাল ছয়টা কুড়ি মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে এবং সেখানে গিয়ে পৌঁছায় সকাল দশটার দিকে। আমাদের যেদিন ট্রেন ছিল আমরা সেদিন ঘুম থেকে প্রায় ভোর তিনটার দিকে উঠেছিলাম কারণ অনেক কাজ ছিল সবকিছু গুছিয়ে সেখানে যাওয়াটা। এই জন্য আমরা আগে আগে উঠেছিলাম । তাছাড়া হাওড়া যেতেও অনেকটা সময়ের প্রয়োজন হয়। সেই জন্য আমরা বাড়ি থেকে চারটার দিকে বেরিয়ে পড়ি। আমাদের নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রথমে সাড়ে চারটার ট্রেন ধরে আমরা শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছায়।

সেখান থেকে পুনরায় গাড়িতে করে আমরা হাওড়া স্টেশনে যাই। এত সকাল সকাল বন্ধুরা মিলে একসাথে যেতে বেশ ভালোই লাগছিল। যাইহোক যথারীতি আমরা ট্রেনে উঠে পড়ি এবং আমাদের ট্রেনের কামরার সিটগুলো বেশ ভালো ছিল। বেশ কমফোর্টেবল জার্নি আমরা করেছিলাম। মোটামুটি দশটার দিকে আমরা পৌঁছে যাই ঘাটশিলা স্টেশনে। ট্রেন লেট করেনি তাই আমরা টাইমেই পৌঁছে গেছিলাম। সেখানে পৌঁছানোর পর আমরা প্রথমে কনফিউশনে পড়ে যাই কোন দিক থেকে যেতে হবে কারণ আমরা প্রথমবারই সবাই গেছিলাম ।

যাইহোক বাকি আরো কি কি হয়েছিল অন্য আরেকটি পর্বে তা শেয়ার করবো।

20230224_173131.jpg
লোকেশন

20230224_173125.jpg

লোকেশন

20230223_121856.jpg
লোকেশন



পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীভ্রমণ
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
আজকের শেয়ার করা ঘাটশিলা যাওয়ার গল্প নিয়ে শেয়ার করা এই ব্লগ তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ঘাটশিলা এই নামটা আপনার কাছে অপরিচিত ছিল। এই ঘাটশিলা স্থানে আপনারা বন্ধুরা মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন। যদিও আপনাদের প্ল্যান ছিল আপনারা পাহাড়ে ঘুরতে পুরুলিয়া যাবেন। কিন্তু খরচ বেশি হয় আপনারা বিকল্প পথ নিয়েছিলেন আর সেটি হলো ঘাটশিলা। যেহেতু ট্রেনের টিকেট ৩ দিন আগে ছাড়া পাওয়া যায় না, তাই আপনারা তিনদিন আগে ট্রেনে টিকিট কেটেছিলেন। বারবিল শতাব্দী এক্সপ্রেস এই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছিল। যাহোক আপনার ঠিক সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। যেহেতু এটাই প্রথম গেছিলেন তাই একটু কনফিউশন হতে পারে এটা স্বাভাবিক। বাকি আর কি হয়েছিল সেটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ ভাই সেখানে গিয়ে বেশ কনফিউজড হয়ে গেছিলাম সেগুলো সামনের পর্বে শেয়ার করব।

ঘাটশিলা জায়গাটির নাম বইপত্রে অনেক পড়েছি তাই জায়গাটি সম্পর্কে কৌতুহল হচ্ছে। বন্ধুবান্ধব যেহেতু একসাথে আছেন তাইলে তো অনেক মজা হচ্ছে।আর ট্রেন জার্নি তে তো মজা আরো বেশি। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।ধন্যবাদ সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি এইখানে ছিল এবং তার বিভিন্ন কালজয়ী লেখাগুলো এই জায়গা থেকেই তিনি লিখেছিলেন সেই কারণেই বইপত্রে এই জায়গার নামটি অনেক পড়েছো ভাই।

ভাই,আমাদের এদিকেও দু চার দিনের আগে টিকিট পাওয়া যায় না। আপনাদের ওখানেও দেখি একই অবস্থা, তিন দিন আগেই ঘাটশিলা যাওয়ার জন্য টিকিট কেটে ফেললেন। বন্ধুর আত্মীয়র প্রশংসা শুনে শেষমেষ ঘাটশিলা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর বন্ধুরা মিলে ট্রেনে করে ঘাটশিলাতেও পৌঁছালেন। নতুন কোন জায়গায় যাওয়ার আগে সে জায়গা সম্পর্কে ভীষণ কৌতূহল থাকে। যেহেতু আপনি ঘাটশিলা এর আগে কখনো যাননি তাই সেই জায়গা সম্পর্কে আপনার ভেতরে অনেক কৌতুহল থাকাটাই স্বাভাবিক। আপনাদের ঘাটশিলা কখনো যাওয়া হয়নি, তাই কোন দিক থেকে কোন দিকে যাবেন সেটাই হয়তো বুঝে উঠতে পারেননি। যাক ভালো ভাবে ঘাটশিলাতে পৌঁছে গেছেন, তাই পরবর্তীতে কি হলো তা জানার অধিকার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ

ট্রেনের টিকিট পাওয়ার জন্য সব জায়গায়ই আমাদের এই ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়। অনেক কৌতুহল নিয়ে এই ঘাট শিলায় গেছিলাম ভাই এবং অনেক মজাও করেছিলাম সেগুলো সামনের পর্ব গুলোতে জানতে পারবেন।

আসলেই বন্ধুরা মিলে যদি কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় তাহলে মনটাও যেন ভাল হয়ে যায়। আমার তো ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে উঠলেই মনটা ফুরফুর করে। আপনারা ঘাটশিলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। আমি কখনো ঘাট শিলায় যায়নি। আমার তো মনে হয় এই জায়গার নামটি আমি আজকে প্রথমই শুনলাম। কিছু কিছু জায়গার নাম আমি কখনো শুনিনি। বাড়িতে বসে বসে শুধু খাই আর ঘুম যাই। আপনার সুন্দর মুহূর্ত টা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

বন্ধুরা সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে গেলে সত্যিই অনেক আনন্দ হয়। আপু আপনি বাড়িতে বসে শুধু খাওয়া আর ঘুমানো বাদে বাইরে কোথায় গিয়ে একটু ঘুরে আসবেন, একটু ঘোরাঘুরি করলে মন ভালো থাকে।