শিয়ালদহ স্টেশন গিয়ে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে করতে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার সবাইকে ,

আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও বেশ ভাল আছি ।

নতুন একটি দিন, নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি প্রথমে।আজ আমি আপনাদের সাথে শিয়ালদহ স্টেশন গিয়ে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে করতে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। প্রথমে একটু শিয়ালদহ স্টেশন সম্পর্কে কিছু কথা বলে নি।

কলকাতা শহরের অন্যতম প্রধান রেলস্টেশন হল শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন । ভারতে যেসব ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। শিয়ালদহ স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ শহরতলি রেল টার্মিনালও বটে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই স্টেশনে আসে এবং এখান থেকে বিভিন্ন দিকে যায়। এই স্থান থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার জন্য দূরপাল্লার ট্রেনগুলোও ছাড়ে।

এইবার বলি সেইদিন আমি কি করতে গেছিলাম সেইখানে। দুই মাস আগের কথা হবে আমি সেই খানে গেছিলাম আমার এক বন্ধুকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে এগিয়ে আনার জন্য। অ্যাকচুয়ালি আমার সেই বন্ধু আমাদের এইখানে থাকতো না ।তার অরজিনাল বাড়ি ছিল জলপাইগুড়িতে। সে পড়াশোনা করার জন্য আমাদের এই বারাসাতে থাকতো। মাঝে মাঝে একটু ছুটি পেলে বাড়ি গিয়ে ঘুরে আসতো। সে কিছু দিনের ছুটিতে বাড়িতে গেছিল তখন। বাড়িতে কয়দিন ঘোরার পর যখন আবার বারাসাতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখন বাড়ি থেকে আসার সময় অনেক কিছু নিয়ে আসছিল সে। এজন্য তার বেডিং একটু ভারী হয়ে গেছিল। সে সেই কথা বারাসাতে আসার দুই দিন আগে আমাকে টেক্সট করে জানিয়েছিল। আমি তখন তাকে বলেছিলাম তুই শিয়ালদা পর্যন্ত আগে পৌঁছা তারপর আমি গিয়ে তোকে নিয়ে আসব তাহলে তোর কষ্ট একটু কম হবে।

20220604_093634.jpg

সেই জন্য সেদিন বন্ধুকে আনতে গেছিলাম সেইখানে। তার সেদিন বিকালের একটু আগে চলে আসার কথা ছিল। আমি সেই দিন দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর একটু রেস্ট নিয়ে, কোন কাজ না থাকায় একটু হাতে টাইম নিয়েই বেরিয়ে পড়ি শিয়ালদহ স্টেশনের উদ্দেশ্যে। আমি সেখানে পৌঁছে প্রথমে তাকে ফোন করি। ফোন করার পরে সে জানায় তার আসতে এখনো আধা ঘণ্টার মত সময় লেগে যাবে। যেহেতু আমি একা একা গেছিলাম তাই ভাবলাম শুধু শুধু একা একা বসে না থেকে চারপাশে একটু ঘুরে ঘুরে দেখি । হাতে একটু সময় পেয়ে শিয়ালদা স্টেশনের এদিক ওদিক ঘুরে ঘুরে দেখি। সেই ঘুরে ঘুরে দেখার সময় বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করেছিলাম ।

পশ্চিম বাংলার ব্যস্ত মানুষজন যদি কারো দেখার ইচ্ছা হয় তাহলে শিয়ালদহ স্টেশনে গিয়ে দাঁড়ালেই দেখতে পারবেন। সবাই খুব ব্যস্ত থাকে সব সময় কিন্তু আমি দুপুরের টাইমে গেছিলাম তাই সেই সময় একটু লোকজন কম ছিল। সকালের টাইমে এত লোকজন হয় ট্রেন থেকে নামার পর দাঁড়ানো যায় না , লোকজন তাদের সঙ্গে করে ধাক্কা দিতে দিতে সামনের দিকে নিয়ে চলে যায়। যাইহোক সেদিন মোটামুটি একা একা ঘোরাঘুরি করলাম ৩০ মিনিটের মত । তার পর যখন বন্ধু চলে আসলো আর কোন ফটোগ্রাফি করতে পারেনি ।ফোন পকেটে রেখে বন্ধুর বেডিং নিয়ে অন্য ট্রেন ধরে বাড়ি আসার জন্য হাঁটা শুরু করি।

20220604_093624.jpg

20220604_093614.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: শিয়ালদহ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।

20220601_091424.jpg

20220601_091437.jpg

20220601_091441.jpg

20220601_091419.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: শিয়ালদহ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।

20220601_091416.jpg

20220601_091405.jpg

20220601_091401.jpg

ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: শিয়ালদহ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।

20220601_091358.jpg

20220604_094015.jpg

20220604_094039.jpg

ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: শিয়ালদহ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।

আজকের শেয়ার করা শিয়ালদহ স্টেশনে এলোমেলো ঘোরাফেরা করতে করতে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। এতটা সময় দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন , সুন্দর থাকেন ,হাসিখুশি থাকেন , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকেন , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

❤️‍🔥ধন্যবাদ❤️‍🔥

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শিয়ালদহ স্টেশন থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আপনার বন্ধুকে এগিয়ে আনতে যাওয়ার গল্পটি বেশ ভালো লাগলো। এরকম বন্ধু থাকা ভাগ্যের ব্যাপার । আপনার বন্ধু খুব লাকি এরকম একটা বন্ধু পেয়েছে যাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আপনি এত কষ্ট করে শিয়ালদহ স্টেশনে গেছিলেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। বন্ধুদের জন্য ঠিকই কষ্ট করি কিন্তু পরে গিয়ে বন্ধুরা সেই কষ্টের মূল্য দেয় না ।যাই হোক তবুও তারা বন্ধু।

শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশনটার নাম অনেক শুনেছি। বেশ ব‍্যস্ততম একটা স্টেশন এটা। এখানে যারা আসে সবাই কর্মব‍্যস্ত। এবং স্টেশন টাও বেশ সুন্দর। শিয়ালদহ স্টেশনের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার করেছেন। আপনার বন্ধুর আসতে দেরী সময় টা একেবারে উপযুক্ত কাজে লাগিয়েছিলেন।।

হ্যাঁ সেটাই ..তার আসতে একটু দেরি হচ্ছিল দেখে চারপাশে ঘোরাঘুরি করে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। সেই জন্য একটি ব্লগও শেয়ার করতে পারলাম আপনাদের সবার সাথে।

আমি মাঝে মাঝে স্টেশনে দাড়িয়ে লোকজনের ট্রেন থেকে নামা দেখতাম। হুড়মুড়িয়ে মানুষ নেমে ছুট লাগাচ্ছে। আলাদাই লাগতো। বন্ধু এসেছে ৯ নাম্বার প্ল্যাটফর্মে আর বাবু ঘুরতে ঘুরতে গেছেন ১৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। খিক খিক।

ট্রেনে ওঠানামা করা রীতিমত একপ্রকার যুদ্ধ। ট্রেনের বাইরে দাঁড়িয়ে এসব যুদ্ধ দেখতে বেশ ভালই লাগে। বন্ধুর জন্য একটি মেয়ে খুঁজছিলাম সেই জন্য ৯ নম্বার, ১৮ নম্বার করে বেড়াচ্ছিলাম দাদা হিহি...🤓🤓

আসলে নতুন কোন স্থানে গেলে পারে সেখানকার ফটোগ্রাফি করতে বেশ ভালো লাগে। আর আমরা যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সদস্য। আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে কোন একটি স্থানে গেলেই ভালো কিছু দেখলেই ফটোগ্রাফি করার। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। ধারণা অর্জন করতে পারলাম নতুন কোন স্থানের বাইরের দেশ থেকে। এ পোস্টটি করার জন্য কোন অসংখ্য ধন্যবাদ।

এটা ঠিক কথা নতুন কোন জায়গায় গেলেই সেই জায়গা ভালো করে দেখার আগে ফোনের ক্যামেরা অন হয়ে যায়। আর ফটোগ্রাফি তোলার সময় এটাই মাথায় ঘুরপাক করে কিভাবে পোস্ট করা যাবে, পোস্টে কি কি লিখবো ইত্যাদি জিনিস।