লাইফ স্টাইল || পুরনো এক বন্ধুর সাথে সিয়া ক্যাফেতে একটু খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া।

in hive-129948 •  4 months ago  (edited)

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

InShot_20240627_213125446.jpg

অনেক আগে বন্ধুদের সাথে যেমন আড্ডা দেওয়া হতো, বাইরে ঘোরাঘুরি করা হতো, খাওয়া দাওয়া করা হতো, এখন আর তেমনটা হয়ে ওঠেনা। কারণ আগে সময়টা একরকম ছিল আর এখনকার সময়টা আরেকরকম। আগে বন্ধুদের সাথে প্রতিদিনই দেখা হতো। তবে এখন কাজের সূত্রে, পড়ালেখার উদ্দেশ্যে একেকজন বন্ধু একেক জায়গায় থাকে, এইজন্য সাধারণত সবার সাথে সবসময় দেখা হয় না। কয়েকদিন আগে আমার এক পুরোনো বন্ধু সৌরভ ভোপাল থেকে আমাদের এখানে এসেছে। আসলে তার বাড়ি এখানেই তবে পড়াশোনার জন্য সে ভোপালেই থাকে। সে আসার পরে আমার সাথে যখন কন্টাক্ট করে, আমার খুবই ভালো লাগে। তারপর দুই বন্ধু মিলে ডিসাইড করি, বাইরে একদিন দেখা করবো।

20240619_191111.jpg

20240619_191114.jpg

20240619_191117.jpg

তবে এখন যে গরম পড়েছে, বাইরে দেখা করতে গেলেও অনেকটা কষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা প্ল্যান করি, কোন একটা এসি ক্যাফেতে গিয়ে আমরা দেখা করবো। এই ক্ষেত্রে আমাদের দেখা করা হয়ে যাবে, আড্ডা দেওয়া হয়ে যাবে, খাওয়া দাওয়া করা হয়ে যাবে আর বাইরের গরম থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়াও হয়ে যাবে। আমাদের আশেপাশে যে কয়েকটি ভালো ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট রয়েছে, মাঝেমাঝেই সেসব জায়গাতে যাওয়া হয় আমার। তবে এখন আর আগের মত অত যাওয়া হয় না, টুকটাক যাওয়া হয় আর কি। যাইহোক, আমাদের মধ্যমগ্রামে অবস্থিত সিয়া ক্যাফে বেশ ফেমাস। অনলাইনেও ভালো রেটিং রয়েছে এই ক্যাফেটির।

20240619_191119.jpg

20240619_191125.jpg

এইখানে অন্যান্য জায়গার থেকে খাবারের দাম একটু বেশি। তবে এখানকার সব কিছু বেশ ভালো। বন্ধুদের সাথে অথবা পরিবারের কাউকে নিয়েও এখানে যাওয়া যায়। আড্ডা দেওয়ার জন্য বেশ সুন্দর একটা পরিবেশও রয়েছে। আমরা দুই বন্ধু মিলে যেদিন বেরিয়েছিলাম তখন আমরা এই সিয়া ক্যাফেতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমি এর আগেও এই সিয়া ক্যাফেতে এসেছি। এখান থেকে কয়েক রকমের খাবারও খেয়েছি। তবে এখন যেহেতু গরম পড়েছে তাই আমি আগে থেকেই ভেবে গেছিলাম এখানে গিয়ে আইসক্রিম খাব। আর আমার বন্ধু কি খাবে, আমি সেটা আগে থেকে জানতাম না।

20240619_192124.jpg

20240619_192048.jpg

অবশেষে সন্ধ্যার দিকে আমরা দুই বন্ধু পৌঁছে যাই এখানে। তারপর আমি আমার জন্য আইসক্রিম অর্ডার করি। তখন আমার বন্ধুকে তার কি খেতে ইচ্ছে করছে, সেটা জিজ্ঞেস করলে সে ফ্রাইড চিকেন খাওয়ার কথা বলে। বাইরের দোকানে ফ্রাইড চিকেন সাধারণত ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যায় । তবে এখানে ফ্রাইড চিকেনের প্রাইস ১০০ টাকা ছিল। বাইরের থেকে দ্বিগুণ দাম, এই আর কি। তবে এরকম একটা ক্যাফেতে বসে খেতে গেলে একটু বেশি টাকা দিতেই হয়। তাছাড়া আমি যে আইসক্রিমটি অর্ডার করেছিলাম তার মূল্য বাইরে ৪০ টাকা ছিল । তবে এইখানে ১১০ টাকা নিয়েছিল।

20240619_192337.jpg

20240619_192351.jpg

যাই হোক, খাবার অর্ডার করার পরে আমরা দুই বন্ধু মিলে অনেকটা সময় গল্প করি। তার কাছে ভোপালের অনেক গল্প শুনি। এতদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হওয়া এবং এমন একটা জায়গায় বসে আড্ডা দেওয়া , সব কিছু মিলে বেশ ভালই লাগছিল। আমরা যেই সময়টাতে গেছিলাম, এই ক্যাফেটি বেশ ফাঁকাই ছিল। লোকজনের ভিড় তেমন একটা দেখতে পাইনি। আর রেস্টুরেন্টের ভিতরে ফাঁকা থাকলে আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে। প্রায় ১৫ মিনিট পরে আমাদের খাবার গুলো চলে আসে আমাদের টেবিলে। আমার বন্ধু গরম গরম চিকেন পেয়ে তাড়াতাড়ি খাওয়া শুরু করে দেয়। আর অন্যদিকে আমি আইসক্রিম একটু একটু করে খেতে থাকি । আর দুজনে মিলে গল্প করতে থাকি।

20240619_192410.jpg

20240619_194900.jpg

যেহেতু আমি চিকেন খাইনি, তাই বন্ধুর কাছ থেকে চিকেনের রিভিউ নিয়ে নিয়েছিলাম। তার কাছে এই ফ্রাইড চিকেনটা খেতে নাকি অসাধারণ লেগেছিল। আর অন্যদিকে আমার নেওয়া আইসক্রিমটি ঠিকঠাকই লেগেছিল। বাইরে যেমন খেতে হয়, অনেকটা সেরকমই লেগেছিল। আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ করেও আমরা প্রায় কুড়ি মিনিটের মত এখানে বসে দুইজনে আড্ডা দিই। পুরনো অনেক কথাই মনে করছিলাম দুই বন্ধু বসে। অনেকটা সময় এখানে পার করার পর পুনরায় দুই বন্ধু বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনমধ্যমগ্রাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

বন্ধুকে নিয়ে যা খেয়েছেন সবই তো একদম লোভনীয় খাবার। যে সুন্দর আর ঝকঝকে রেস্টুরেন্ট তাতে করে করে সবকিছুর দাম একটু বেশী নিবেই। ‍এমন নাম করা রেস্টুরেন্টের খাবার নিশ্চয় বেশ লোভীয় ছিল। ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আপু, খাবার লোভনীয় ছিল তবে খাবারের দাম একটু বেশি ছিল, এই আর কি।

পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ার পর দেখছি বেশ ভালোই আড্ডা দিয়েছিলেন এবং সে সাথে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন অনেক ভালোভাবে। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তে এবং আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তটা ভালোভাবেই উপভোগ করলাম। বুঝতে পারছি সবকিছুর দাম একেবারে দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। আপনার খাওয়া আইসক্রিমের ফটোগ্রাফি দেখে তো আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। আইসক্রিমটা আমার বেশি পছন্দ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পুরো মুহূর্তটা সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

আপু, আপনি যে আমাদের খাওয়া-দাওয়া এবং আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তটা ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন, সেটা জেনে অনেক খুশি হলাম।

পুরনো বন্ধুর সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা থাকে। আড্ডা গুলো বেশ ভালোভাবে জমে। আড্ডার মুহূর্তে খুব লোভনীয় কিছু খাবার খেয়েছেন, যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন স্মৃতিময় একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আসলে পুরানো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। তাদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মধ্যে একটি আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে৷ আজকে আপনিও আপনার একজন পুরানো বন্ধুর সাথে আড্ডা দিতে গিয়েছেন এবং ক্যাফেতে একটু খাওয়া-দাওয়া করেছেন এবং সেই মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আপনার এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই এরকম একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।