ট্রাভেল || মুকুটমণিপুর গিয়ে ঘোরাঘুরি

in hive-129948 •  7 months ago 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমি যদিও একটু অসুস্থ।

বন্ধুরা, তোমরা সবাই জানো যে প্রায় দুই মাস আগে আমি খাতড়া নামক একটি জায়গায় ঘুরতে গেছিলাম। সেই খাতড়া থেকে আমরা গেছিলাম মুকুটমণিপুরের উদ্দেশ্যে। আসলে এই জায়গা আমি পরিবারের সাথে গেছিলাম। এর আগেও দুই একটি ব্লগে এই সম্পর্কে তোমাদের সাথে আমি কিছু কথা শেয়ার করেছি। এখানে আসলে চারটি স্পট ছিল, যেখানে ভালো করে ঘুরে দেখার জায়গা ছিল। আজ যে অংশ সম্পর্কে শেয়ার করবো তার পাশের একটি অংশের ভিডিওগ্রাফি আমি তোমাদের সাথে অনেক আগে শেয়ার করেছিলাম। তবে সেই ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে এই অংশের সব কিছু তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া সেই পোষ্টের মাধ্যমে বিস্তারিত কোন কিছুর বর্ণনাও করতে পারিনি। তাই ভাবলাম আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে এই অংশের বিস্তারিত সবকিছু তোমাদের সাথে শেয়ার করি।

20240427_065935.jpg

20240427_065431.jpg

20240427_065453.jpg

এই অংশটিতে আসলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সম্ভার ছিল। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা সবাইকে মুগ্ধ করে দেবে। যাইহোক, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আমি আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফিও করেছিলাম যা তোমরা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাবে। এই জায়গাটি বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নও ছিল। যেহেতু এখানে বিভিন্ন সময় টুরিস্ট ঘুরতে আসে তাই জায়গাটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নই রেখেছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এই জায়গাটায় ছিল কংসাবতী ড্যাম। এখানে যে জলাশয় ছিল, বর্ষার সময় নাকি অনেক জল হয়ে যায় সেখানে যা ওইখানে গিয়ে আমি জানতে পেরেছিলাম। তবে আমরা যে সময়টাতে গেছিলাম তখন বেশ গরমই ছিল তাই খুব বেশি জল দেখতে পাইনি এই কংসাবতী জলাধারে।

20240427_065909.jpg

20240427_065926.jpg

20240427_065928.jpg

তবে দূর থেকে এর সৌন্দর্য জাস্ট অসাধারণ লাগছিল। যেটা হয়তো ফোনের ক্যামেরার ফটো দেখে তোমরা বুঝতে পারবে না। এমন উপলব্ধি পেতে গেলে সামনে থেকেই তা দেখতে হয়। আমরা যে জায়গাটায় ঘুরতে গেছিলাম, সেটা বাঁকুড়া জেলার মধ্যে পড়ে আর এই বাঁকুড়া জেলা সাপের জন্য বেশি বিখ্যাত। যদিও এই বিষয়টা আমি বাড়ি থেকে যাওয়ার আগেই জেনে গেছিলাম। যাই হোক, সেখানে গিয়ে যখন পাহাড় বা পাহাড়ের এরকম অংশে ঘুরতে গেছিলাম তখন সাপের ভয় একটু করছিল আমার। তবে সত্যি সত্যি যে এইখানে গিয়ে সাপ দেখতে পাবো, সেটা হয়তো আমি ভাবতে পারিনি।

20240427_065931.jpg

20240427_065938.jpg

এখানে খুব বেশি লোকজনও ছিল না, আমরা এই মুকুটমণিপুরের এই অংশটায় প্রাকৃতিক সৌন্দর উপভোগ করতে করতে হঠাৎ একটা সাপ দেখতে পাই। সাপটা বেশ কাছেই ছিল আমাদের। আমি ফোন দিয়ে অন্য জায়গায় ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত ছিলাম, সেই সময় সাপটা হঠাৎ আমার নজরে আসে। তারপর পাথরের একটা অংশে লুকিয়ে চলে যায়। এইজন্য সাপের ফটো তোলার সুযোগ পাইনি। এখানে সেরকম কোনো লোকজন না থাকায় এই জঙ্গলের মত জায়গাটাতে আমরা বেশি সময় ঘোরাঘুরি করিনি।

20240427_065959.jpg

20240427_070006.jpg

যে জায়গাগুলো পরিষ্কার ছিল, সেখানে গিয়েই সাধারণত এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। এখানে গিয়ে অচেনা বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার। যেগুলো সব পাহাড়ি গাছ ছিল। ওই গাছ গুলো আমাদের এইখানে হয় না । এই নতুন নতুন গাছ দেখতে আমার তো খুবই ভালো লাগছিল। ওভারাল বলবো, এই অংশটুকুতে যতটা সময় ছিলাম, বেশ ভালোই লেগেছিল তবে মনের মধ্যে একটু সাপের ভয় ঢুকে গেছিল এই আর কি। সেইজন্য অনেক সময় এখানে না থেকে নতুন আরেকটা জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা করি ।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীট্রাভেল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনমুকুটমণিপুর, বাঁকুড়া, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ভ্রমণ মূলক ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আপনি দারুন একটি জায়গায় ভ্রমণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই ধরনের জায়গা গুলোতে ভ্রমণ করতে খুবই ভালো লাগে। আর আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে।

আপনার এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমৃদ্ধ জায়গাতে ঘুরাঘুরি করতেও ভালো লাগে। আপনার পোস্টে আগেও এই জায়গাটা দেখেছিলাম। জায়গাটা ভীষণ সুন্দর। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে বেশ মুগ্ধ হলাম। নিরিবিলি এরকম পরিবেশে সময় কাটাতে পারলে খুবই ভালো লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

হ্যাঁ আপু, জায়গাটা ভীষণ সুন্দর ছিল। যাই হোক, আপনার এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

কংসাবতী জলাধারটা আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এখানে বর্ষাকালে গেলে বেশি মজা পাওয়া যাবে। তখন জলাশয়ে বেশি পানি থাকবে। সাপের কথা শুনে তো গাঁ শিহর করে উঠলো। অমাাদের দেশে এখন রাসেল ভাইপারের ছড়াছড়ি। ধন্যবাদ।

অমাাদের দেশে এখন রাসেল ভাইপারের ছড়াছড়ি।

এই ব্যাপারটা বিগত কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছিলাম ভাই।

আপনি অনেক সুন্দর একটা জায়গা ভ্রমণ করেছেন। আসলে ভাইয়া এমন পাহাড়ি এলাকায় সাপ থাকা স্বাভাবিক। মুকুটমণিপুরের এলাকা সত্যি অনেক সুন্দর। ছবিতে এতো সুন্দর লেগেছে বাস্তবে হয়তো আরো সুন্দর। আপনি নিশ্চয় বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু, এখানে গিয়ে বেশ ভালো সময়ই কাটিয়েছিলাম আমি।

দাদা,তোমার আগেও কয়েকটি পোষ্টে বাঁকুড়া জেলার দৃশ্য দেখেছি।আসলে চোখ জুড়ানো জায়গা আর ঝিলটি অপূর্ব।দাদা বর্ধমান, বাঁকুড়া এই সমস্ত জায়গাতে সাপের উপদ্রব বেশি থাকে।বেশি জমি কিংবা পাহাড় থাকে বলে, যাইহোক ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ তোমাকে।

দাদা বর্ধমান, বাঁকুড়া এই সমস্ত জায়গাতে সাপের উপদ্রব বেশি থাকে।বেশি জমি কিংবা পাহাড় থাকে বলে

এই ব্যাপারটা সম্পর্কে আমিও আগে জানতাম বোন। যাইহোক, আমার এই পোস্টটিতে শেয়ার করা ছবিগুলো দেখে যে তোমার খুব ভালো লেগেছে, সেটা জেনে অনেক খুশি হলাম আমি।