বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমি আজ মোটামুটি ঠিক আছি। |
---|
যাই হোক, আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে মৌসুনি আইল্যান্ড ভ্রমণ নিয়ে একাদশ তম পর্বটি শেয়ার করব।
এর আগেও বেশ কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে এই জায়গার বর্ণনা তোমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি।
মৌসুনি আইল্যান্ড এর মিনি সুন্দরবন জায়গাটা ঘুরে আমরা সন্ধ্যার একটু আগে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা করি। সূর্য অনেক আগেই ডুবে গেছিল এবং খুব তাড়াতাড়ি চারিদিকে অন্ধকারে নেমে গেছিল। এই জায়গাটিতে বিদ্যুতের খুব একটা সুব্যবস্থা ছিল না। নিয়মিত এখানে বিদ্যুত না থাকার কারণে প্রত্যেকটা রিসোর্টে জেনারেটর এর ব্যবস্থা করা ছিল। সন্ধ্যা নামার পরে এলাকায় হঠাৎ করে অন্ধকার হয়ে গেছিল তাই আমরা নরমাল ভাবে বাড়িতে আসতে পারছিলাম না । ফোনের লাইট ধরে আস্তে আস্তে আমরা রিসোর্টে এসে পৌঁছাই। রিসোর্টে আলো জ্বলছিল । যাই হোক, আমরা আসার পর তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে নি কারণ সন্ধ্যার দিকে আমাদের হালকা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই হালকা খাবারে আমাদের দিয়েছিল আনলিমিটেড চা, মুড়ি এবং পেঁয়াজি ।
গরম গরম পেঁয়াজির সাথে মুড়ি খেতে বেশ ভালোই লাগছিল। তাছাড়া হালকা হালকা করে বৃষ্টি হচ্ছিল সেই জন্য চা খেতেও বেশ ভালো লাগছিল। সুন্দর একটা খাওয়া শেষ করে রিসোর্টের সামনে থাকা দোলনাতে দোল খেতে থাকি এবং সেখান সমুদ্রের শব্দ শুনতে থাকি । একদম পাশ থেকেই সমুদ্রের জোরালো গর্জন শোনা যাচ্ছিল। একটু রাত হতেই রাতের ডিনারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় আমাদের । এইসব জায়গায় মানুষ বেশি রাত পর্যন্ত জাগে না আর যেহেতু আমরা যে সময়টাতে গেছিলাম অফ সিজন ছিল তাই তাড়াতাড়ি করেই তারা ডিনারের ব্যবস্থাটা আমাদের করে দেয়। ডিনারে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ,সবজি, আলু ভাজা ইত্যাদি অনেক কিছুই ছিল। আমরা সবাই মিলে সেই খাবার গুলো খেয়ে এনজয় করি।
ডিনার শেষে রাতে আর সেখানে করার কোন কিছুই ছিল না তাই সমুদ্রের পাশে বসে কিছু সময় বন্ধুদের সাথে আড্ডা গল্প দিয়ে ভালো সময় কাটাই। আর তাড়াতাড়ি আমরা ঘুমিয়ে পড়ি কারণ সকালে উঠে সূর্য উদয় দেখতে হবে সমুদ্র সৈকত থেকে তাই। পরের দিন সব থেকে সকালে আমার ঘুম ভাঙ্গে । তাই আমি তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে নি । এই সময় আমি আমাদের রিসোর্ট এর একটা জানালা দিয়ে বাইরে দেখতে পাই , চারিদিকে গোল্ডেন কালার হয়ে গেছে। যদিও সেই মুহূর্তে আমি ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। তারপর রিসোর্ট থেকে বের হওয়ার পরে চারদিকের সেই গোল্ডেন ব্যাপারটা আর দেখতে পারিনি।
তবে ভোরবেলা বের হওয়ার পর সুন্দর হাওয়া দিচ্ছিল এবং পরিবেশ টা বেশ ভালো লাগছিল । কিছু সময়ের জন্য সবকিছু কেমন জানি ভুলে যাচ্ছিলাম, সে এক অন্যরকম অনুভূতি। সমুদ্র সৈকত থেকে সকালটাকে খুব সুন্দর করে উপভোগ করেছিলাম সেই দিন। তবে দুঃখের বিষয় হলো আমরা অনেকটা সময় সূর্য উদয় দেখবো বলে বসে থাকলেও আমরা মেঘের কারণে সূর্য টা দেখতে পারিনি ভোরে। কোনরকম করে দুই একবার কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা যাচ্ছিল সূর্য কিন্তু পরক্ষণেই তা আবার মেঘের আড়ালে ঢেকে যাচ্ছিল। এভাবে আমাদের অনেকটা সময় সকালবেলা সমুদ্র সৈকতে কাটে।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: মৌসুনি আইল্যান্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit