নমস্কার,,
কয়েকদিন আগের কথা। অফিসে আমার পাশে বসে সুব্রত দা হঠাৎ করে বলল, সজীব দা চলেন একটা মুভি দেখি কালকে। বসুন্ধরায় সিনেপ্লেক্সে গডজিলা এক্স কং এসেছে। এইচডি মুভিটা দেখে বেশ মজা পাওয়া যাবে। মজার ছলে আমিও বললাম চলুন তাহলে দেখে ফেলি কারণ সেদিন আমাদের অফ ডে ছিল। আর এর আগে আমি কখনো সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখিনি। সত্যি বলতে আমি ভেবেছিলাম হয়তো মজা করেই সুব্রত আমাকে মুভি দেখার কথা বলছে। পাঁচ মিনিটের জন্য সুব্রত বাইরে গেল। তারপর এসে আমাকে বলছে টিকিট বুক করা হয়ে গেছে। প্রথমে আমি বিশ্বাস করি নি। কিন্তু তারপর যখন টিকিটের স্ক্রিনশট টা দেখলাম তখন আর বিশ্বাস না করে কোন উপায় ছিল না।
সকাল সাড়ে এগারোটায় ছিল আমাদের শো টাইম। সুব্রত বসুন্ধরার পাশেই থাকে। তাই দশ মিনিট হাঁটলেই সে পৌঁছে যাবে। আমি থাকি পল্টনে। কিছুটা দূরেই বলা চলে। তবে মেট্রোর কল্যাণে এখন আর খুব একটা সময় লাগে না। আমার প্ল্যান ছিল সকাল সাড়ে দশটার ভিতরে বের হয়ে যাব। সেদিন আবার সকালের দিকে বৃষ্টি হয়েছিল হালকা। তাই ঠান্ডা আবহাওয়াতে ঘুমটা বেশ ভালো হয়েছিল। যথারীতি উঠতে দেরি হয়ে যায়। কোনরকমে তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। ওইদিকে সুব্রত ফোন করতে করতে আমাকে পাগল করে দেয়। এক কথায় কারওয়ান বাজারে মেট্রো স্টেশন থেকে দৌড়ে দৌড়েই গেছি বসুন্ধরাতে। তারপর তো দুজনে মিলে প্রবেশ করলাম সিনেপ্লেক্স এর ভেতরে। আমাদের ঢুকতে এক মিনিটের মত লেট হয়েছিল। তাতে খুব একটা সমস্যা হয়নি অবশ্য।
প্রচন্ড তাড়াহুড়ো করে গিয়েছিলাম এজন্য শুরুতে মুভির দিকে খুব একটা কন্সেন্ট্রেশন আসছিল না। আর এমনিতেও এনিমেশন টাইপ মুভি আমার অতটাও ভালো লাগে না। তবে একটা সময় পর বেশ ভালো লাগতে শুরু করে মুভিটা। কিছু কিছু জায়গায় থ্রিডি ইফেক্টগুলো চমৎকার ছিল এক কথায়। রোজার দিন বলে পুরো গ্যালারিতে দর্শক ছিলনা। অনেকটা ফাঁকাই ছিল বলা চলে। আমি আর সুব্রত দুজনের মিলে বেশ মজা করে মুভিটা দেখলাম। খুব যে ভালো লেগেছে সেটা বলবো না। তবে একেবারে মন্দ না। আর আমরা যেহেতু একসাথে বসে ছিলাম এবং দুজনে একটু হইচই পছন্দ করা পাবলিক ,তাই বেশ আনন্দ করেই সময়টা কাটিয়েছিলাম। নেক্সট কোন ভালো মুভি আসলে আবার একসাথে যাব দেখতে। সত্যি বলতে সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখার একটা অন্যরকম মজা আছে। একবার যখন সেটা পেয়ে গেছি পরের মুভি গুলোতে আর মিস করছি না।