নমস্কার,,
কয়েকদিন আগের কথা লিখছি আজ। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে আমি এবং আমার ছোট ভাই দুজনে একটা বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের উদ্দেশ্য চায়না বাধে যাওয়া। সিরাজগঞ্জ শহরের অন্যতম একটা বিনোদনের জায়গাও এখন এটা । তবে জায়গাটার নাম চায়না বাদ কেন দিয়েছে সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই নেই। যমুনার পাশে গড়ে ওঠা এই বিনোদনকেন্দ্র টা আমার অদ্ভুত সুন্দর লেগেছে এক কথায়।
জায়গাটার সব থেকে বড় বিশেষত্ব হলো একপাশে অনেক বড় এলাকা জুড়ে ওয়াইন্ড টারবাইন লাগানো রয়েছে। যদিও এগুলো এখনো অপারেশনে যায়নি। কিন্তু এতদিন ধরে কি কারণে টারবাইন গুলো ফেলে রেখেছে এই ব্যাপারটা আমার বোধোদয় হয়নি। আর একটা কথা না বললেই নয়, এবারে প্রথম আমি স্বচক্ষে ওয়াইন্ড টারবাইন দেখলাম। এমনিতে থিউরিটিক্যালি পড়েছি এই বিষয়ে। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা এটাই প্রথম ছিল। আর সেজন্যই আমার উৎসাহটা আরেকটু বেশি ছিল বলা যায়।
সিরাজগঞ্জ প্রধান শহর থেকে কিছুটা দূরে এই জায়গাটা। বেশ নিরিবিলি এবং যাতায়াত ব্যবস্থাও ভীষণ ভালো। নানান বয়সের লোকজনকেই জায়গাটায় ঘুরতে আসতে দেখলাম। যদিও আমার মত বয়সী তরুণ এবং তরুণীর সংখ্যায় ছিল সবথেকে বেশি। যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে এমন একটা জায়গায় কিছুটা সময় কাটাতে পারলে মনটা বোধহয় আপনা আপনি অনেক ভালো হয়ে যায়।
আমি আশেপাশে একটু ঘুরে দেখলাম। নদীর পারে কিছু নৌকো বাধা ছিল। সেগুলোর কাছে গিয়ে দু একটা ছবিও তুললাম। সাঁতার জানা নেই, সেজন্য নদীর জল দেখলে একটু বেশি ভয় পাই। তাই জলে পা দেওয়ার সাহস খুব একটা পারছিলাম না। বাঁধের উপর দিয়ে দেখলাম ছোট ছোট কাশফুল বেড়ে উঠছে। বেশ ভালো লাগছিল সেগুলো দেখতে। ফুলগুলো যখন বড় হবে তখন পারের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে দারুন উপভোগ করেছি মুহূর্তটা। এরকম জায়গায় রোজ একবার করে গেলেও মন ভরবে না। সবকিছু এতটাই সজীব এবং প্রাকৃতিক।