কালিম্পং ট্যুর ২০২৩ ।। কুচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি যাত্রা

in hive-129948 •  10 months ago 

নমস্কার,,

আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে একটানা পোস্ট করেছি। কিন্তু এখন আবার অনিয়মিত হয়ে গিয়েছি। সত্যি বলতে মন চাইলেও নানান ব্যস্ততার তাগিদে এখন আর সময় করে উঠতে পারিনা। কত কত ছবি যে গ্যালারিতে পড়ে আছে পোস্ট করার অপেক্ষায় সেটা শুধুমাত্র আমিই জানি। বিশেষ করে গতবছরের ডিসেম্বরে ক্যালিংপং যে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটা নিয়ে এখন অবধি একটা পোস্টও করা হয়নি। তবে এবার ইচ্ছা আছে দু একদিন পরপর হলেও ঘুরতে যাওয়ার সেই পোস্টগুলো সবার সাথে শেয়ার করে নেব।

IMG20231229130031.jpg

IMG20231229130801.jpg

Location

ইন্ডিয়ায় উঠেছিলাম আমার পিসির বাড়ি কুচবিহারে। সেখান থেকে দাদা ,বৌদি, দিদি, জামাইবাবু এবং তাদের ছেলেমেয়ে সহ প্রায় এগারো জন মিলে আমরা রওনা হয়েছিলাম ক্যালিংপং এর উদ্দেশ্যে। সত্যি বলতে সবাই একসাথে গিয়েছিলাম বলেই হয়তো অনেক মজা করে ঘুরে আসতে পেরেছি। যাই হোক যাওয়ার দিন আমাদের ট্রেন ছিল দুপুর পৌনে একটায়। নিউ কুচবিহার স্টেশন থেকে আমরা গেলাম নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ট্রেনে করে। ইন্ডিয়ায় ট্রেনের সার্ভিস কতটা ভালো এটা নিয়ে বোধহয় কারো মনে কোন সংশয় নেই। মোটামুটি সময়মত সব ট্রেনগুলোই প্ল্যাটফর্মে এসে হাজির হয়। আর একদম যথা সময়ে সেগুলো গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।

IMG20231229145522.jpg

IMG20231229150648.jpg

Location

আমাদের জার্নিটা ছিল আড়াই ঘণ্টার মতো ট্রেনে। তাই কোন স্লিপার সিটের দরকার ছিল না। সাধারণ কামড়াতেই আমরা সবাই মিলে উঠেছিলাম। আর ট্রেনটাতেও কোন ভিড় ছিল না। বলা যায় নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত একদম ঝামেলা ছাড়াই পৌঁছে যাই। ট্রেনের ঠিক জানালার পাশে আমি বসে ছিলাম। এই ট্রেনগুলো এত দ্রুত চলাচল করে এটা ভাবতেই আমার কাছে অন্যরকম লাগে। কল্পনা করছিলাম আমাদের দেশেও যদি ট্রেন যোগাযোগটা এত উন্নত মানের হতো তাহলে হয়তো যোগাযোগ ব্যবস্থাটা আরো কয়েকগুণ উন্নত হয়ে যেত।

IMG20231229155430.jpg

IMG20231229160834.jpg

IMG20231229162346.jpg

Location

বিকাল চারটার মাঝেই আমরা নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে পৌঁছে যাই। সেখানে আমাদের দুটো গাড়ি আগে থেকেই রিজার্ভ করা ছিল। মজার ব্যাপার গাড়ি দুটো আসতে প্রায় ঘন্টাখানেক লেট করে রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে। এই সময়টুকু আমরা এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করেই কাটিয়ে দেই। জায়গাটা বেশ জমজমাট ছিল। আসলে দার্জিলিং, সিকিম বা গ্যাংটক যারাই যান তারা সবাই এখান থেকেই গাড়ি নিয়ে তারপর রওনা হয়।

আজ এ পর্যন্তই রাখছি। ক্যালিংপং অবধি পৌঁছানোর গল্পটা পরের পর্বে আবার শেয়ার করব। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কুচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি যাত্রা বেশ ভালোই লাগতেছে। অনেক দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন ও নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন। ভীষণ ভালো লাগলো দাদা আপনাদের এই মুহূর্তগুলো পড়ে।

Posted using SteemPro Mobile

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করার জন্য।

যাক আমার পরিচিত বেশ কিছু জায়গা তাহলে আগামী পর্বগুলোতে দেখতে পারবো। আপনার মত এরকম আমারও বিভিন্ন সময়ের কত ছবি যে পড়ে আছে পোস্ট করার অভাবে। তাছাড়া যে কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলে দলবল মিলে একসঙ্গে যার মজাই অন্যরকম। এতে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। জলপাইগুড়ি স্টেশনটা বিশাল বড়। আশেপাশে ঘুরে দেখার যদিও আমার সুযোগ হয়নি কিন্তু যেটুকু দেখেছি তাতেই বুঝতে পেরেছি।

আপু এখন তো আর নিয়মিত পোস্ট করা হয় না। আমার তো মনে হয় এক বছরেরও আমার পোস্ট করা শেষ হবে না। হিহিহিহি। তবে ছবি গুলো দেখে ঐ জায়গা গুলোতে কাটানো মজার মুহূর্তের কথা খুব মনে পড়ে আপু।