নমস্কার,
ময়মনসিংহে পৌঁছে বাস থেকে যখন নামলাম তখন কিছু ছোট ভাই আমার জন্য সেখানে অপেক্ষা করে ছিল আমাকে রিসিভ করার জন্য। কতদিন পর আমার সাথে তাদের দেখা! তাদের সাথে আগে খুব যে বেশি আড্ডা হয়েছে এমনটাও না। তবুও ছেলে গুলো এতটা আপ্যায়ন করেছে আমাকে যে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমার জন্য খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু রুমেই রেডি করে রেখেছিল। ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া করলাম একসাথে আর চলছিল আমাদের আড্ডাবাজি। তারপর সন্ধ্যা বেলায় স্যারের রুমে গিয়ে বসে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলছিলাম। যার জন্য ওখানে আমার যাওয়া।
স্যারের সাথে কথা শেষ হতে হতে প্রায় রাত আটটা বেজে গেল। ময়মনসিংহে এসেছি এতদিন পর, আর ব্রহ্মপুত্রের তীরে যাবনা তা কি হতে পারে! দুইটা ফ্রেন্ডকে ফোন দিয়ে আসতে বললাম ওখানে। আর এদিক থেকে আমি বাইক নিয়ে রওনা দিলাম। সেই জয়নুল আবেদীন পার্ক। হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই পার্কটাকে ঘিরে। রাত হয়ে গিয়েছিল তাই চারপাশটা অন্ধকারে মোরা ছিল। তবুও সোডিয়াম লাইটের আলোতে হেঁটে হেঁটে পুরোটা ঘুরতে মন্দ লাগছিল না একদম।
এই পার্ক টা অনেক সাজানো গোছানো। বলা যায় সব বয়সের লোকজন এখানে আসেন প্রতিদিন। পাশ দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদী বয়ে গেছে। কি চমৎকার একটা বাতাস বয় এটা গরমের দিনে দারুণ উপভোগ করা যায়। বেশ লম্বা সময় ধরে আমরা হাঁটলাম তারপর বড় মাঠের এক পাশে গিয়ে বসলাম। সবাই একসাথে বসে চিকেন কাবাব আর লুচি খেলাম। আহা কি স্বাদ!
আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি, আমার ফোন পেয়ে অলি ভাই আমার সাথে দেখা করতে ছুটে চলে এসছিলেন। ওনার পুরো নাম নাহিয়ান ধুমকেতু অলি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে টেকনোলজি সাইট টাতে বেশ পরিচিত একটা মুখ বাংলাদেশে বর্তমানে। বাংলাদেশে প্রথম রকেট সাইন্স নিয়ে তিনি কাজ করে চলেছেন, এবং যে প্রজেক্টটা সরকারী ভাবে এই বছরের মার্চ মাসে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হবে। আমার ইমিডিয়েট সিনিয়র ছিলেন অলি ভাই। অনেকদিন পর একসাথে হয়ে সবাই মিলে দারুন একটা সময় কেটেছে।