ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা এই ছেলে মেয়েদের দেখলে সব সময় ভালো লাগা কাজ করে

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

নমষ্কার,,

গতকাল শুক্রবার একটা চাকরির পরীক্ষা দিতে বুয়েটে গিয়েছিলাম। ডিপিডিসির একটা এক্সাম ছিল। টেনেটুনে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলেও ডিপার্টমেন্টাল পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছি কয়েক বছর হলো। গতকালের এই পরীক্ষায় আবেদন করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ছিল না। শুধুমাত্র মা আর বাবার জোরাজুরিতে আবেদন করতে হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পোস্টগুলোতে চাকরির আবেদন ফি আমাদের দেশে অত্যাধিক বেশি। এখানে আবেদনের জন্য আমাকে ১৫০০ টাকা গুনতে হয়েছে। বেকার যুবকদের কাছ থেকে এত টাকা কোন যুক্তিতে কর্তৃপক্ষ নিয়ে থাকে এটাই আমার মাথায় খেলে না একদম।

IMG20221202115421.jpg
Location

যাই হোক আমার শূন্য ঝুলি নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ। পরীক্ষার হলে কি পেরেছি আর কি না পেরেছি সে সব কথা বাদ দেই। বেশ কয়েকটা চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি এই পর্যন্ত। এর মধ্যে বুয়েটে পরীক্ষা দিয়েছি হয়তো ৩-৪ বার।

বাংলাদেশের মধ্যে এই একটা মাত্র প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আমার সব সময় মনে হয়েছে সবকিছুই ভীষণ স্মার্ট। অন্য সবখানে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ফোন নিয়ে ঢোকা যায় না, হাতে বই নিতে দেয় না। অথচ বুয়েট ক্যাম্পাসে নির্দ্বিধায় সবকিছু নিয়ে যাওয়া যায়। পরীক্ষার আগে সবকিছু নিশ্চিন্তে সামনে রেখে দেওয়া যায়।

IMG20221202115501.jpg
Location

একটা জিনিস ভীষণ মাথায় আসে, যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরির পরীক্ষাগুলো হয় সেখানে গিয়ে সবাইকে দেখে বেশ ভালো লাগা কাজ করে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা এই ছেলেমেয়েগুলোকে দেখলে ভেতরে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। অনেকটা পিকুলিয়ার টাইপের। আমার কাছে মনে হয় এরা সব কিছু করতে পারে। যেমন দুষ্টুমিতে সেরা তেমন মেধাবী। আবার সবকিছুর সাথে খুব সহজেই যেন মিশে যেতে পারে।

পোশাক আশাকে কোন মাথা ব্যাথা নেই। কেজুয়াল ভাবে থাকতেই বেশি পছন্দ করে যেন সবাই। মুখ ভরা দাড়ি অথবা মাথা ভর্তি উস্কো খুস্কো চুল। সব কিছুতেই একটা স্মার্টনেস কাজ করে। নিজের মত চলতেই ভালোবাসে সবসময়। কোন হিসেবের সাথে কোন হিসেব জোড়া লাগিয়ে মেলাতে হবে, চার বছর ধরে গাণিতিক সব ইকুয়েশন গোঁজামিল দিয়ে সলভ করতে করতে বেশ ভালই রপ্ত করে নেয় সবাই। হাহাহাহা।

IMG20221202115658.jpg
Location

IMG20221202122359.jpg
Location

আমার সিট পড়েছিল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে। আশেপাশে সুন্দর আলপনা আকা দেওয়ালে। আনমনে ঘুরে ঘুরে চারপাশ টা দেখছিলাম আর সবাইকে দেখে এটা সেটা ভাবছিলাম। মিষ্টি রোদে হাঁটতে হাঁটতে এসব আজগুবি চিন্তা ভাবনা করতে খারাপ লাগছিল না মোটেও।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যি ভাইয়া আবেদন ফি অনেক বেশি হয়ে গেলে বেকারদের জন্য বেশ সমস্যা হয়ে যায়। আসলে এত টাকার আবেদন ফির কারণ কি এটা বুঝতেই পারি না। অনেক চাকরির আবেদন ফিতে অনেক টাকা গুনতে হয়। আসলে একে তো সবাই বেকার তার মধ্যে যদি এভাবে আবেদন ফিরে পেছনে টাকা নষ্ট করা হয় তাহলে অন্যান্য খরচ আরো বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। যাই হোক ভাইয়া ক্যাম্পাসে গিয়েছেন বলেই হয়তো অন্যরকম অনুভূতি তৈরি হয়েছে। নতুন মেধাবীরা সত্যি অনেক স্মার্ট। তারা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অংকের গোজামিল দিয়েও কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং ভালোভাবে শেষ করে ফেলছে। হয়তো অনেক স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

সরকার এত দিকে এত টাকা দিতে পারে কিন্তু বেকার ছেলে মেয়েদের আবেদন ফি আর মওকুফ করতে বা কমাতে পারে না। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে আপু। ভালো থাকবেন।

পরীক্ষা যেমনি হোক না কেন শেষ পর্যন্ত হলে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন এটাই বড় কথা। আর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমার ইচ্ছা আছে ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর। ঠিকই বলেছেন ভালো জায়গায় গেলে অন্যরকম একটা ফিলিংস কাজ করে। চুলগুলো উস্কোখুস্ক হোক আর পোশাক যাই হোক না কেন স্মার্টনেস ভিতর থেকেই আসে। ঠিকই বলেছেন এরা যেমন মেধাবী হয় তেমন দুষ্টুমিতেও সেরা সব দিক দিয়েই পারদর্শী হতে হয় এদেরকে। ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে।

বাহ্ বাহ্ শুনেই ভালো লাগলো আপু। মন থেকে দোয়া করি আপনার ইচ্ছে পূরণ হোক। আপনার ছেলেও যেন সব দিকে এক্সপার্ট হয়ে ওঠে। আপনাদের মুখ যেন উজ্জ্বল করে। অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।

একজন ছাত্র পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে এত টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবে সেই চিন্তা কর্তৃপক্ষের থাকলে না ফি কমাবে। বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক ছাত্রকেই অনেক বিপত্তিতে পড়তে হয়। কারণ প্রতিটি সরকারি চাকরির পরীক্ষার ফি অনেক বেশি। যতবারই আপনি বুয়েটে ঢুকেন ততবারই আবেগপ্রবণ হয়ে যান। আপনার এই রিলেটেড প্রতিটি পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়। যাইহোক পরীক্ষার জন্য শুভকামনা রইল।

একদম ঠিক ধরেছেন আপু,, এই রিলেটেড কিছু সামনে আসলে আমি একটু অন্যরকম হয়ে যাই। আর সরকারি চাকরির ফি নিয়ে কিছু বলতে এখন নিজেরই লজ্জা লাগে। যাই হোক দোয়া রাখবেন আপু।

আসলে কি বলবো ভাই মেধাবীরা সব দিক থেকে সেরা। আর আপনি ঠিক বলেছেন আবেদনের জন্য নেওয়া ফি টা একটু বেশি ছিল। আর হ্যাঁ হাঁটাহাঁটি করতে করতে আমাদের মাথায় মাঝে মাঝে এরকম আজগুবি চিন্তায় এমনিতেই উঁকি দেয়।

এই চিন্তা গুলো করতে ভালই লাগে মাঝে মাঝে তাই নাহ্ ভাই? অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন।