বাজার করতেও পারি আমি 😊 মাকে বলে দিয়েছি ছেলে বড় হয়ে গেছে এবার 😉

in hive-129948 •  2 years ago 

নমষ্কার,,

সচরাচর বাজার করার কোন অভ্যাস নেই আমার। ঢাকায় থাকলে টুকটাক সবজি হয়তো কেনাকাটা করি। তবুও সেগুলো ফ্ল্যাট থেকে নিচে নামলে ভ্যানের ওপরই পাওয়া যায়। তাই বাজার যাওয়ার খুব একটা প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু আজকে আমাকে বাজার যেতেই হয়েছে। আসলে যে সচরাচর বাজার করে থাকে আপাতত কিছুদিন ভীষণ ব্যস্ত সে। তাই আমাকে দায়িত্বটা দিয়েছে মাছ-মাংস কিনে আনার জন্য। মুরগিটা না হয় কিনতে পারি। কিন্তু দেখে শুনে মাছ কেনার ব্যাপারে আমি একদমই অজ্ঞ। তারপরেও চলে গেলাম সাহস নিয়ে বাজারের দিকে।

IMG20221205113026.jpg
Location

বাজারে ঢুকতেই দেখি সব মাছওয়ালা খুব আদর আপ্যায়ন করে নিজেদের দিকে ডাকছে। আর সবার কাছেই টাটকা মাছ এবং নদীর মাছ তাই বলছে। আমি তো রীতিমত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। কোন মাছ নেব আর কোনটা নেব না। প্রথমেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবগুলো মাছের দোকান একবার করে ঘুরে দেখলাম। দামগুলো শুনছিলাম এক এক করে।

মোটামুটি বড় সাইজের রুই এবং কাতল ৩২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা করে চাইছিল। আর একটু ছোট হলে সেগুলো ৩০০ টাকা কেজি। মৃগেল মাছগুলো ২৪০ টাকা কেজি চাইল। আর বড় সাইজের কার্প মাছগুলো ২৭০ টাকা কেজি। সিলভার পাঙ্গাস কই ইলিশ চিংড়ি পাবদা এরকম অনেক মাছই ছিল বাজারে। ওগুলো কিনব না তাই দাম আর জিজ্ঞেস করি নি।

IMG20221205113016.jpg
Location

IMG20221205113120.jpg
Location

IMG20221205113112.jpg
Location

অবশেষে একটু দর দাম করে তিন ধরনের মাছ নিলাম। রুই কাতল এবং মৃগেল। মাছগুলো বাজার থেকেই কেটে দিল। আমি বেশ অবাক হয়ে দেখছিলাম ছেলেটার মাছকাটা দক্ষতা দেখে। এত বিশাল সাইজের একটা ধারালো বটিতে ঘ্যাচা ঘ্যাচ কেটে ফেলছে মাছগুলো। এদের এই দক্ষতাটা রীতিমতো প্রশংসা করার মতো।

IMG20221205114124.jpg
Location

IMG20221205114616.jpg
Location

তারপর চলে গেলাম মুরগি নিতে। পাকিস্তানি মুরগিগুলো ২৪০ টাকা কেজি চাইল। আমি মোট তিনটা মুরগি নিলাম। এরপর কিছু কাঁচাবাজার করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। কাঁচা বাজারের ছবি তুলতে অবশ্য মনে ছিল না। আসলে একা একা গিয়েছিলাম তো বাজারে, দুই হাত ভরা বাজার করা জিনিস ছিল। তাই আর সুযোগ পাইনি।

সবজির দামও খুব একটা কম দেখলাম না। সত্যি বলতে বাজার করে খুব একটা অভ্যাস নেই তো, তাই জন্য সবকিছুর দামই আমার কাছে বেশী বেশী লাগে।

IMG20221205115713.jpg
Location

সন্ধ্যেবেলা মায়ের কাছে যখন বাজারের গল্পগুলো করছিলাম মা রীতিমতো হেসে শেষ। সব থেকে বেশি হাসছে আমার মাছ কেনার কথা শুনে। বাড়ি থাকতে তো কখনো এসব করিনি। মায়ের কথা আমাকে ইচ্ছামত ঠকিয়ে দিয়েছে বাজার থেকে। হিহিহিহি। সে যাই হোক, শিখতে তো হবে। অভ্যাসটা তো করতে হবে এবার, সময় তো কাছে চলে এলো 😉😅।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইয়া আপনি তো দেখছি ভালোই বাজার করেছেন। আসলে মাছের বাজারে গেলে এমনটাই হয়। সবাই ডাকাডাকি করে। তখন সত্যি ভ্যাবাচ্যাকার মধ্যে পড়ে যাই আমরা। আর মাছ কাটার যে ছেলেগুলো থাকে তারা খুব দ্রুত মাছ কেটে দেয়। সত্যি তাদের মাছ কাটার ছুরি বা কাটার খুবই ধারালো হয়। তবে সব জায়গাতেই সবজির দাম অনেকটা বেশি। যাই হোক ভাইয়া আপনার মা নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন আপনি অনেক বড় হয়েছেন। এখন সংসারের দায়িত্ব নিতে পারবেন। সেই সাথে ভাবির দায়িত্বও🤭🤭।

হিহিহিহি,,, দুষ্টু ছেলে হলে যা হয়, মায়ের সাথেও সব সময় লেগে থাকি। তবে বাজার গেলে অনেক কিছু নিয়ে ধারণা হয়। শেখার আছে বেশ।

কে বলেছে আপনার বাজারের অভিজ্ঞতা নেই। এত সুন্দর করে যাচাই বাছাই করে বাজার করলেন। দেখে তো অনেক অভিজ্ঞ মনে হলো। তবে আপনি যেভাবেই বাজার করেন না কেন মা আর বউ মনে করবে আপনাকে সবাই ঠকিয়ে দিয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

হাহাহাহাহা,,, একদম ঠিক বলেছেন ভাই। মেয়ে মানুষের মন পাওয়া খুবই কঠিন। 😉। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভালো থাকবেন।

আপনি তো দেখছি অনেক বাজার করেছেন। মাছ, মাংস অনেক কিছু কিনলেন। এতো কিছু কিনলেন আমাদের দাওয়াত করলে পারতেন- হা হা হা।আর তাদের কাজ মাছ কাটা, তাই তারা অনেক তারাতাড়ি কাটতে পারে।সত্যি ভাইয়া আপনার মায়ের জন্য একটু একটু করে বাজার শুরু করেন, ভবিষ্যতে তো অনেক বাজার করতে হবে।

ভাইয়ের বাড়ি আসতে বোনদের বুঝি দাওয়াত লাগে!! যখন মন চাইবে চলে আসা যায় তো। অনেক ভালো থাকবেন আপু।

ভাইয়া ইনডাইরেক্টলি কি মাকে বলে দিলেন যে আপনি বাজার শিখে গিয়েছেন এখন আপনার জন্য পাত্রী দেখুক? মাছের বাজারে আমিও দুই একবার গিয়েছি। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বিভিন্ন ধরনের মাছ দেখতে। মনে হয় যে সব মাছ কিনে নিয়ে যাই। আর বর্তমানে কোন জিনিসের দাম কম না। সব জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। মাছ তো কিনেছেন খাওয়ার পরে বোঝা যাবে যে কেমন কিনেছেন। আশা করি সেই আপডেট জানাবেন। আপনাদের বাজারের ছেলেটা মাঝেমধ্যেই এরকম ব্যস্ত হলে আপনি পুরোপুরি বাজার শিখে যাবেন আশা করি।

এমনি কি আর আপনি আমার বড় আপু!! মনের কথা না বলতেই বুঝে যান। হিহিহিহি। মাছের বাজার ঘুরতে আমারও বেশ লাগে। ইস্ আরেকবার চাকরি পেলে বাজারে গিয়ে খুঁজে খুঁজে সবচেয়ে বড় মাছটা কিনব 😊।

বাজার করতে পারেন না বলে বলে তো ভালোই বাজার করে নিয়েছেন। হা হা হা.. তবে বাজার করা খুব বেশি একটা কঠিন ব্যাপার না। দুই একবার বাজারে গিয়ে ঠক খেয়ে আসলে পরের বার থেকে ঠিকই বুঝতে পারা যায়। যদিও মাছগুলোর দাম আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়েছে। আমাদের এখানে আরো সস্তায় পাওয়া যায়। তবে মাছগুলো কিন্তু ফ্রেশ ছিল।

ভাই আমাদের এখানে সব কিছুর দাম দিন দিন এত বৃদ্ধি পাচ্ছে যে কয়দিন পর না খেয়ে মরতে হবে। তবে মাছ গুলো খেতে বেশ মজার ছিল সত্যি। খুব বেশি ঠকে আসি নি বলা যায়। 😅

আসলেই সময়টা একদম কাছে চলে এসেছে। তাই বাজার করার অভ্যাসটা তো করতেই হবে। বিশেষ করে মাছ-মাংস এগুলো বাজারের অভিজ্ঞতা না থাকলে কি হয়। তবে আজকের বাজার এর অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। মনে হলো ভালোই পারবেন আগামীতে।আশা করি আপনার মা ও বেশ বুঝতে পেরেছেন। আপনার সুন্দর আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।♥♥

হিহিহিহি,,মায়ের সাথে সব সময় দুষ্টুমি নিয়েই থাকি আপু। খুব ভালো লেগেছে আরেক মায়ের কাছ থেকে এত মিষ্টি একটা মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন আপু।