নমষ্কার,,
আমার দিদির বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। ঐ সময়টায় হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম যে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান পাড়ি দেওয়া কতোটা চ্যালেঞ্জিং। কত দিকে যে মাথা দিতে হয় তার ঠিক নেই। আর মাথা থেকে যে কত কিছু বের হয়ে যায় সেটাও বোঝা যায় না। মনে হয় যেন অথৈ সাগর জলে একা বসে। এগিয়ে আসার যেন কেউ নেই। অনেকদিন পর মাসতুতো বোনের বিয়েতে তেমন কিছু অভিজ্ঞতা হলো। আর বিয়ে যদি কমিউনিটি সেন্টারে হয় তাহলে কাজের চাপ টা যেন আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বিয়ের দিন সকাল থেকেই আমরা মামাতো, মাসতুতো তিন ভাই নিজেদের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়ে যে যার মত করে লেগে পরি। সাথে অবশ্য আমার ভাইয়ের কিছু বন্ধুও ছিল। ওরাও ভীষণ হেল্প করেছে সব কিছুতে।
আমি সাধারনত সব খানে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করি। সেটা যে কাজই হোক না কেন। তবে এবারে ছোট বোনের বিয়েতে সেই উপায় ছিল না একদমই। নিজে দায়িত্ব নিয়ে অনেক দিকে সামলাতে হয়েছে। বিয়ের দিন সকালে পূজোর টুকটাক খরচ দিয়ে আমার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। তারপর সেখান থেকে আবার কমিউনিটি সেন্টারে যাই বিয়ের ছায়া মন্ডপ সাজানো দেখতে। আসলে ডেকোরেটরের লোকদের সাথে সাথে থাকতে হয় সব সময়। সেখান থেকে সোজা চলে গেলাম মুরগী নিয়ে আসতে। সব কিছু রেডি ছিল। শুধু দেখে শুনে বুঝে নিয়ে আসা। খাসির মাংসের দায়িত্ব টা অন্যদের দেওয়া ছিল।
বিয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে সব সময় অনেক ভালো লাগে। কিন্তু একটা আয়োজন ঠিকঠাক মত করতে গেলে কতদিকে যে খেয়াল রাখতে হয়, সেটা যারা করে তারাই বোঝে। সত্যিই এই ব্যাপার গুলো অনেক কষ্টের। বিয়ের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠিক মত খাওয়ারও বোধ হয় কোন উপায় ছিল না। এদিক ওদিক থেকে কেউ না কেউ ফোন করেই যায়। কিছু না কিছু লেগেই থাকে। তবে বাড়ির মেয়েদের দেখলাম সাজুগুজু করা ছাড়া আর কোন কাজ থাকে না। হিহিহিহি।
এই কয়েকদিন যে পরিমাণ ঠান্ডা পরেছে, তার মধ্যে এমন ছোটাছুটি করে রীতিমত আমি অসুস্থ হয়ে গিয়েছি। শরীরে মনে হচ্ছে হালকা জ্বর আসতে শুরু করেছে। কিন্তু তারপরও অনুষ্ঠানটা যে ঠিক মত সামাল দিতে পেরেছি সবাই মিলে এটাই ছিল আমাদের পরম পাওয়া।
দাদা এটা ঠিক কথা যে বিয়ের নিমন্ত্রণ খেতে যা আনন্দ ৷ তার চেয়ে এই বিয়ের আয়োজন করা যে কতটা কষ্ট যারা করে তারাই বুঝে ৷ যা হোক আপনার মাসতুতো বোনের বিয়ে বলে কথা একটু দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতেই হবে ৷ ভালো লাগলো যে বোনের বিয়েতে অনেক কাজ করেছেন ৷ আপনার মাসতুতো বোনের নতুন জীবন আনন্দের হোক এমনটাই প্রত্যাশা করি ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যে কোন কিছুর আয়োজন করাটা সত্যিই অনেক কষ্টের রে ভাই। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এম্নিতে সব কাজে ফাঁকি দেয়া গেলে ও ছোট বোনের বিয়েতে ফাঁকি আর দেয়া গেলো না।বড় ভাই বলে কথা।দায়িত্ব তো পালন করতেই হবে।আর এটা সত্যি বাইরের কাজগুলোর জন্য ছেলেদের খাটুনি একটু বেশীই থাকে।আর মেয়েদের ও অনেক কাজ থাকে।তবে তা ঘরের মধ্যে তো তাই বোঝা খুব কম যায়।আর এজন্য মেয়েদের শুধু সাজগোজটাই চোখে পরে আসলে।যাক সবকিছু সুন্দর ভাবে হচ্ছে এটাই বড় ব্যাপার।আপনার বোনের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাহাহাহা,,, সাজুগুজুর কথা শুনে আপু ভীষণ রেগে গেছে 😀। এটা সত্যিই আপু ঘরের ভেতরেও অনেক কাজ আছে। যেগুলো বোঝা যায় না সেভাবে। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে নিজের কারো বিয়ে হলে সেখানে অনেক দায়িত্ব থাকে। আর সেই কাজগুলোতে একেবারেই ফাঁকি দেওয়া যায় না। এরকম বিয়ে গুলোতে অনেক বেশি কাজ থাকে। এটা ঠিক বলেছেন বিয়েতে মেয়েদের সাজুগুজু করা ছাড়া কোন কাজই নেই। বুঝতেই পারতেছি ওই দিনটা আপনার খুবই ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছিল, এইসব কাজ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে। বিয়ের দিনের প্রস্তুতি নিয়ে আজকে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে কাছের মানুষজনের অনুষ্ঠানে তো ফাঁকি দেওয়া যায় না একদমই। তাই লেগে পড়েছিলাম সবাই মিলে। আর আপনাদের দোয়ায় সব কিছু ভালো ভাবে সম্পন্ন হয়েছে ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit