আমার জেলা বগুড়া

in hive-129948 •  2 years ago 

নমষ্কার,,

আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। ঠান্ডা বেশ পরছে ধীরে ধীরে। বাড়িতে এসে ঠান্ডার আমেজটা বেশ ভালোই বুঝতে পারছি। সকলে একটু সাবধানে থাকবেন। এই সময় অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে অনেকেরই।

বরিশাল বাদ দিয়ে মোটামুটি দেশের সব বিভাগেই ঘোরাঘুরি করেছি। অনেক জেলাতেই গিয়েছি। নিজের জেলা বাদ দিয়ে আমার কাছে সবথেকে ভালো লেগেছে দুইটি শহর। চট্রগ্রাম আর রাজশাহী। এছাড়া যেখানেই যাই না কেন বগুড়াকে আমি ভীষণ মিস করি।

IMG20221117203355.jpg
Location

IMG20221117203344.jpg
Location

উত্তর বঙ্গের রাজধানী শহর বলা হয় বগুড়াকে। খুব বড়সড় না হলেও আমার কাছে বগুড়া শহরটা বেশ গোছানো লাগে। যা যা প্রয়োজন সব কিছুই যেন একদম হাতের মুঠোয়। এই দিক থেকে তো আরো শান্তি।

জ্যাম তো আমার একদম ভালো লাগে না। কিন্তু বগুড়ার সাতমাথা তে রিকশার জ্যাম না দেখলে আমি যেন শান্তিই পাই না। বড্ড ফাঁকা ফাঁকা লাগে শহর টা। রিকশা নিয়ে এত যানজট সাতমাথা ছাড়া আর কোথাও আমি দেখি নি। অবশ্য ঢাকার ব্যাপারটা আলাদা।

IMG20221117135822.jpg
Location

IMG20221117140148.jpg
Location

কি নেই এই শহরে! সব দিক থেকেই যেন এগিয়ে। যদিও রাজনৈতিক অনেক কারণে নানান দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে। হয়তো আরো এগিয়ে যেতে পারত। তারপরেও পিছিয়ে নেই খুব একটা।

যেখানেই যাই বগুড়া নাম শুনলেই প্রথমে সবার মাথায় যে কথাটা আসে সেটা হলো দই। হিহিহিহি। বেশ মজাই লাগে ব্যাপারটা। অনেকের কথা শুনলে মনে হয় আমরা স্নান পর্যন্ত করি দই দিয়ে 😅। তবে এটা সত্য যে আমাদের এখান কার মত দইয়ের স্বাদ আর কোথাও নেই। এর কারণ টা এখনো আমার অজানা। জল আর আবহাওয়া গত পার্থক্যের জন্যই কি এমনটা হয়!! তাছাড়া অন্য এলাকার মানুষ কেন পারবে না এমন দই বানাতে!

IMG20221117135804.jpg
Location

সত্যি বলতে বিভিন্ন এলাকায় যখন ঘুরতে গিয়েছি তখন আমার নিজের জেলা বগুড়ার নাম শোনার পর বারবারই মানুষের মাঝে একটা অন্য রকম ভালোলাগা কাজ করতে দেখেছি। এই ব্যাপারটা ভীষণই ভালো লাগে আমার। আর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ইতিহাসে সবসময়ই মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে আমার প্রিয় জেলা বগুড়া।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বগুড়া জেলার কথা অনেক শুনেছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত কখনো যাওয়া হয়নি। খুবই ভালো লাগছে আপনার লেখাগুলো পড়ে। নিজের জেলাকে নিয়ে ভিশন গর্বিত মনে হচ্ছে। আর ঠিকই বলেছেন বগুড়া বলতেই বগুড়ার দই এই কথাটা যেন প্রথমেই চলে আসে। তবে একেবারে দই দিয়ে স্নান করার ব্যাপারটা খুবই মজা লাগলো। আমিও এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছি না কেন আপনাদের দই বিখ্যাত। তবে আপনাদের জেলার বর্ণনা শুনে ভীষণ ভালোই লাগলো।

আপু আমাদের জেলাতে আসার নিমন্ত্রণ রইলো। আমার বিশ্বাস ভালো লাগবে। অনেক ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো।

ভাইয়া আমি মনে করি যার যার জেলা তার তার কাছে প্রিয়। তবে বগুড়া জেলায় কখনো যায়নি তবে বগুড়া জেলা যে দই এর জন্য বিখ্যাত এটা সবাই জানে।তাই দই দিয়ে স্নান করা কতো মজা হা হা হা। তবে আপনার জেলার বর্ণনা অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ

একবার এসে ঘুরে যাবেন কেমন,, ভালো লাগবে। আপনি আসুন আপনাকেও দই দিয়ে স্নান করাবো। হিহিহিহি,, ধন্যবাদ আপু।

শীত চলে এসেছে আর আর আপনি বাড়ি চলে গিয়েছেন। আসলেই শীতের সময় নিজের বাড়িতে থাকতেই মজা লাগে। ঢাকায় তো এখনো শীত পরেনি সেটা তো দেখেই গেলেন। নিজের শহরটাকে সবসময় একটু বেশি ভালো লাগে আর বগুড়া শহরটা আপনার বর্ণনা শুনে বোঝা যাচ্ছে ছিমছাম সুন্দর একটি শহর। বগুড়ার দইয়ের কথা নাইবা বললাম। এটার আসলেই অনেক নাম শুনেছি খেতেও ভালো। যে কোন জায়গারই জ্যাম ভালো লাগেনা জ্যামের কারণে তো রাস্তায় বের হতে ইচ্ছা করে না। সাবধানে থাকবেন ভাইয়া সুন্দরভাবে সময় গুলো কাটান সেই দোয়াই করি।

বন্ধুর বিয়ের জন্যই এসেছিলাম আপু। বেশ ভালো কিছু সময় অতিবাহিত করলাম। সব থেকে ভালো লাগলো বাড়িতে এসে শীতকালীন সবজি খেতে। ঢাকা গেলে খুব মিস করব এটা। ভালো থাকবেন আপু। অনেক ধন্যবাদ।

দাদা এখন কই আছেন?আমি তো বগুড়াতেই আছি।ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো।চিরচেনা কিছু দৃশ্য।
ভালো থাকবেন,বরিশালটাও লিস্টে এনট্রি করে নিয়েন😊

আমি বন্ধুর বিয়ের জন্যই এসেছিলাম ভাই,, এখন আবার ঢাকার পথে আছি। বরিশালে যাব খুব তাড়াতাড়িই। তাহলে সব জায়গায় ঘোরা হয়ে যাবে। অপেক্ষায় আছি সত্যিই।

ভাই, বগুড়া নিয়ে খুব সুন্দর লেখনী লিখলেন, যা পরে খুব ভালো লাগলো। বগুড়া আপনার জেলা শহর, আর বগুড়া আমার ভীষণ রকম প্রিয় শহর। বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম উত্তরবঙ্গের আওতায় বিধায়, প্রায় সবগুলো জেলাকে খুব কাছের মনে হয়। আর আপনি তো আমার কাছের ভাই 🥰। আর বগুড়ার দই, তার কথা কি বলবো, বলতে গেলেই তো জিভে জল চলে আসে😋। কখনো ঢাকা গেলে, ফিরে আসার সময় বাড়ির জন্য অবশ্যই অবশ্যই বগুড়ার দই নিয়ে আসা হয়। আর যদি কখনো মিস হয়, তাহলে তো আপনার ভাবীর বকুনিতে কান দুটো ঝালাপালা হয়ে যায়🤪।

হিহিহিহি,,, খুব মজা পেলাম ভাই আপনার মন্তব্যে পেয়ে। দই টা আসলেই অনেক মজার। এত জায়গায় দই খেয়েছি কিন্তু আমাদের এদিকের মত কোথাও পাই নি। আর সব সময় ভাবির মন রক্ষা করে চলবেন 😉। সংসারে শান্তি তো দুনিয়া শান্তি। 😊। ভালোবাসা রইলো ভাই।