সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

আজ এসেছি সহজ পদ্ধতিতে মাছ ভুনার একটি রেসিপি নিয়ে। আমরা বাঙালিরা হলাম মাছে ভাতে বাঙালি। প্রতিদিনের খাবারে আমাদের মাছ না হলে চলেই না। মাছ একদিন না খেলেই মনে হয় অনেক দিন মাছ খাই না। একদিন পোলাও কোরমা খেলেই পরের দিন যে কোন মাছের ঝোল তো থাকতেই হবে।

আমরা তো কত মাছই খেয়ে থাকি। আজ শেয়ার করবো বোয়াল মাছের ভুনা রেসিপি। বোয়াল মাছ কার কার পছন্দ??? আমাকে কিন্তু জানাবেন। আমার কাছে তো ভালোই লাগে।

তাহলে চলুন দেখি কি কি লাগছে বোয়াল মাছের ভুনা তৈরি করতে।

উপকরন ও পরিমানঃ

উপকরণ	পরিমান
পেঁয়াজ কুচি	৪টি
কাঁচা মরিচ	১০টি
ধনিয়াপাতা কুচি	পরিমান মতো
হলুদ গুড়া	১ চা চামচ
মরিচ গুড়া	১ চা চামচ
জিরা গুড়া	হাফ চা চামচ
লবন	পরিমান মতো
আদা বাটা	২ চা চামচ
রসুন বাটা	দেড় চা চামচ

রন্ধন পদ্ধতিঃ

ধাপ-১

মাছের টুকরো গুলো লবন, হলুদ গুড়া আর মরিচ গুড়া দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।

ধাপ-২

ফ্রাইপ্যানে তেল গরম হতে দিলাম।

ধাপ-৩

তেল গরম হয়ে এলে তাতে মাছের টুকরো গুলো দিয়ে দিলাম ভেজে নেওয়ার জন্য।

ধাপ-৪

একপাশ হয়ে গেলে আরেক পাশ উল্টে দিলাম।

ধাপ-৫

ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে আলাদা করে রেখে দিবো।

ধাপ-৬

এইবার গরম তেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিবো এবং ভেজে নিবো।

ধাপ-৭

পেয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে আদা রসুন বাটা দিয়ে দিবো ।

ধাপ-৮

তারপর শুকনো উপকরণ হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, জিরা গুড়া আর লবন দিয়ে দিবো।

ধাপ-৯

সবগুলো উপকরণ ভালো করে কষিয়ে নিবো।

ধাপ-১০

কষানো হয়ে গেলে পানি দিয়ে দিবো পরিমান মতো।

ধাপ-১১

পানি ফুটতে থাকলে এই পর্যায় মাছের টুকরো গুলো দিয়ে দিবো।

ধাপ-১২

মাছের গুলো উল্টে পাল্টে দিবো। এবং ঝোল শুকিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।

ধাপ-১৩

নামানোর কিছুক্ষন আগে কাঁচা মরিচ আর ধনিয়াপাতা কুচি দিয়ে দিবো।

ধাপ-১৪

ঝোল আর একটি শুকাবো তার সাথে কাঁচা মরিচ আর ধনিয়াপাতা পাতাও একটু সিদ্ধ হয়ে যাবে।

ধাপ-১৫

এইতো তৈরি হয়ে গেল মজাদার বোয়াল মাছ ভুনা।

আমি খুব সহজ পদ্ধতিতে আর মজাদার করে সব সময় রান্না করার চেষ্টা করি। জানি না আপনাদের কাছে কেমন লাগবে। কিন্তু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।

সবাই খুব ভালো থাকবেন। আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

আল্লাহ হাফেজ