☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
পুজো শেষ হয়ে গেছে তা প্রায় এক মাসের উপরে হতে চলল। তবুও এখনো কালীপুজোর পর্ব চলছে। আসলে সমস্যাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, পরপর কোন কিছুই শেয়ার করতে পারছি না। এতে করে যেমন কমিউনিটির নিয়ম কিছুটা ভঙ্গ হয়, তেমনি একই জিনিস পরপর দিতে থাকলে যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা কিছুটা বিরক্তিবোধ করেন হয়তো। তবে তারপরেও আমার মনে হচ্ছে কালীপুজো নিয়ে লেখা আমার পর্বগুলো একটু দেরি করেই দিচ্ছি। তবে আজকের পর থেকে আশা করা যায় নিয়ম মাফিকই পর্বগুলো দেব। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বলে পর্বের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা যাক।
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
আজ আমরা যে ক্লাবের পূজো নিয়ে কথা বলব, সেটা হল নব যুবক ক্লাব। বারাসাত হেলাবটতলা থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে ব্যারাকপুর রোড ধরে নীলগঞ্জের দিকে যেতে থাকলেই ঠিক বাঁ দিকে এই ক্লাবের পূজো দেখা যায়। তবে সত্যি কথা বলতে এই ক্লাবের পুজো আমি কখনো দেখিনি বা এর আগে এই ক্লাবের নামও কখনো শুনিনি। এর আগে একটা পর্বে হয়তো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে হেলাবটতলা থেকে নীলগঞ্জ অব্দি পুজো দেখতে আমাদের রীতিমতো অর্ধেক রাস্তা হেঁটে যেতে হয়েছিল। কারণ এত পরিমাণে যানজট ছিল এবং কোন প্রকার গাড়ি ঘোড়াই চলছিল না। এজন্যই আমরা হেঁটে কিছুদূর এগিয়ে যেতে হঠাৎ করেই এই ছোট্ট একটা ক্লাব আমাদের চোখে পড়ে। তবে বাইরে থেকে ডেকোরেশন এত সুন্দর দেখা যাচ্ছিল যে ভিতরে না গিয়ে থাকতে পারলাম না।
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
খুব সম্ভবত এবারে পুজোর তাদের থিম ছিল স্বপ্নের দেশ। তবে আমি কিছুটা অনুমান করলাম আরকি ব্যাপারটা। বাকিটা যারা ওখানে পুজো দেখতে এসেছিল তাদের কাছে শুনলে তারাও একই কথা বলেছিল আমায়। যেহেতু ছোট পূজা মণ্ডপ ছিল এবং অনেকেই এই ক্লাবের নামও কখনো শুনিনি তাই খুব বেশি একটা ভিড় ছিল না। ফলে অতি সহজে ই ভিতরে ঢুকে সুন্দর করে প্রতিমা দর্শন করতে পেরেছিলাম এবং সুন্দর সুন্দর কিছু ফটো তুলেছিলাম যেগুলো আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন। তবে একটা সমস্যা ছিল ভিতরে সেটা হল এর লাইটিং গুলো এতটাই চোখ ধাঁধানো ছিল যে ভিতরে গিয়ে আমি রীতিমতো রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলাম। হঠাৎ কোন দিক দিয়ে বেরোবো সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। তবে যেহেতু লাইটিং গুলো কিছু সময় পরপর চেঞ্জ হচ্ছিল সেই জন্য আর খুব বেশি একটা সমস্যা হয়নি।
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
তবে সত্যি কথা বলতে এখানকার লাইটিং এর থেকেও আমার কাছে যেটা সবথেকে বেশি আকর্ষনে মনে হয়েছিল সেটা হচ্ছে মা কালীর মূর্তিটা। সোনালী রঙের তৈরি এবং নিখুঁত হাতের কাজের মাধ্যমে এত সুন্দর প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল যে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছিল। আমিতো হতবাক হয়ে বেশ কিছু সময় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তবে যেহেতু আমার মেইন টার্গেট ছিল নীলগঞ্জের কালী পুজো দেখা, সেজন্য আর বেশি সময় এখানে দাঁড়াতে পারিনি মোটামুটি কয়েকটা ফটো তুলেই সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
স্থান:বারাসাত, কলকাতা।
ক্যামেরা: স্যামসাং।
মডেল: M31s.
আসলে এই পুজো মণ্ডপে এতটাই কম সময় কাটিয়েছিলাম যে বিস্তারিত লেখার মত তেমন কিছু পেলাম না। তবে শুধু এইটুকু বলতে পারি এত কম বাজেটে এবং এত অল্প জায়গার ভিতরে এত সুন্দর ডেকোরেশন করে মানুষের সামনে উপস্থাপনা করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য। এবং এই পূজা মন্ডপে পুজো কমিটির লোক যারা ছিল তাদের ব্যবহার আচারও খুব সুন্দর ছিল, যেটা আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছিল। তবে বেশি সময় সেখানে দাঁড়াতে পারিনি কারণ বাবা মাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। এজন্য যত দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে গাড়ি ধরে নীলগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।
🕉️ধন্যবাদ সবাইকে🕉️
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি একদমই অবাক হয়ে গেলাম। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিতে এত মুগ্ধতা যা বলার বাইরে। এত সুন্দর করে যে ডেকোরেশন করা যায় তা আমার ভাবনাতেও নেই। সূর্যমুখী ফুলের মত করে সাজানো এই অংশটাও খুব ভালো লাগছে। যতটুকুই তুলে ধরতে পেরেছেন আমাদের মাঝে তাই খুব আকর্ষণীয়। আর লাইটিংও চমৎকার হয়েছে। এক কথায় সবকিছু একদম মানানসই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া সত্যিই মনে হচ্ছে স্বপ্নের দেশ।।এত সুন্দর ডেকোরেশন আর লাইটিং মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আপনি সুন্দর ভাবে বর্ননা দিয়ে গেলেন খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই তাই, এর ভেতরের লাইটিং এত সুন্দর এবং ডেকোরেশন এত সুন্দর করে করা হয়েছিল যে, মুগ্ধ হয়ে বেশ কিছু সময় তাকিয়ে ছিলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডিসেম্বর মাস প্রায় পড়ে গেল। কিন্তু বারাসাতের মানুষদের কালী পূজো আর শেষ হচ্ছে না। আপনাকে যেমন দেখছি কালী পূজার ছবি দিতে,তেমন উইনকলেস ভাই কেও দেখছি। ভালোই।এটা আপনাদের প্রাইড। এটা নিয়ে গর্ব সত্যিই করা উচিত। এত সুন্দর পুজো কোথাও-ই হয় না। এটা আপনারা আশা করি প্রত্যেক বারাসাতবাসীই ধরে রাখবেন।ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা হা হা.... আসলে এত গুলো প্যান্ডেল হয় যে এত জলদি শেষ হয় না। তারপর তো আবার পরপর পোস্ট করতে পারছি না। এই জন্যই সময়টা লাগছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit