☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
---|
আসলে বিপদ যখন আসে তখন চারিদিক থেকেই আসে। আমার আজ পুরো দিনটাই প্রচন্ড রকম খারাপ ভাবে গেছে। একসাথেই এক দিনে চার-পাঁচটা ঘটনা ঘটেছে যেটার জন্য আমি একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না তবে আজ একটা পার্টিকুলার বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। বাকিগুলো না হয় অন্য কোন একদিন আলোচনা করা যাবে। এতদিন তো শুধু বলেছিলাম ব্যস্ততার ভিতর দিয়ে সময় কাটছে আমার কিন্তু এখন তো দেখছি রীতিমতো বিপদের মধ্য দিয়ে সময় কাটছে। যাইহোক আজ আচমকাই আমাকে প্রচন্ড রকম বিপদে পড়ে পুলিশ স্টেশনের শরণাপন্ন হতে হয়। সেই বিষয় নিয়েই আপনাদের সাথে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বলে শুরু করা যাক।
আজ খুব সকাল বেলা গেছিলাম সাঁতরাগাছি একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে এবং সেখান থেকে কাজ শেষ করতে করতে মোটামুটি আমার দুপুর দুটোর মতো বেজে যায়। যেহেতু সাঁতরাগাছি থেকে ডিরেক্ট কোন ট্রেন নেই শিয়ালদা বা দমদমে তাই আমাকে অনেকটা বাধ্য হয়েই বাসে করে আসতে হয়। কিন্তু যখন সাঁতরাগাছি গেছিলাম তখন আমার দাদার প্রাইভেট car এ করে গেছিলাম এজন্য যাওয়ার সময় খুব বেশি একটা প্রবলেম হয়নি। যাইহোক অনেকক্ষণ বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকার পর একটা ফাঁকা বাস সাতরাগাছি এসে দাঁড়ালো এবং তাড়াহুড়ো করেই বাসে উঠে পড়ে একটা জালনার সাইড নিয়ে বসে পড়লাম। যেহেতু আমার ট্রাউজার পরা ছিল তাই বাধ্য হয়ে মানিব্যাগ একটা সাইট পকেটে রাখতে হয়েছিল।এরকম করে মানিব্যাগ রাখা একেবারেই সেভ না যখন ট্রাউজারের পকেটে কোন চেন না থাকে। তাই বারবার লক্ষ্য করছিলাম মানিব্যাগের দিকে।
হঠাৎ করেই দু তিনটা স্টপেজ পার হতে না হতেই একটা কুড়ি বা ২২ বছরের মেয়ে আমার পাশে এসে বসলো। যদিও আমি খুব বেশি একটা খেয়াল করি না বাসে উঠে, আমার পাশে কেউ বসল বা বসলো না। আমি নিজের মতো করে গান শুনতে থাকি অথবা চুপচাপ হয়ে আশেপাশের পরিবেশ দেখার চেষ্টা করি।
যাই হোক মেয়েটাকে আমার খুব বেশি একটা পছন্দ হয়নি অনেকটাই গা ঘেষা মনে হয়েছিল আমার কাছে। ঘন্টাখানেক পরেই বাস শিয়ালদা স্টেশনের পাশে এসে দাঁড়ালো এবং দেখলাম মেয়েটা আমার পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিল। তার দিকে খুব বেশি একটা না তাকিয়ে নিজের মত করে গাড়ি থেকে নেমে কিছুদূর যাওয়ার পরেই দেখলাম আমার পকেটে মানিব্যাগ নেই। এইবার আমি নিশ্চিত না যে মানিব্যাগটা ওই মেয়েটাই নিয়েছিল কিনা, কিংবা আমার পকেট থেকে পড়ে গিয়েছিল কিনা। মোটামুটি যখন বুঝতে পারলাম আমার পকেটে মানিব্যাগ নিয়ে তখন রীতিমতো আকাশ ভেঙ্গে পড়ল আমার উপর। কারণ সেখানে প্রায় ৭,২০০ হাজার টাকার মত ছিল। আর খুচরো যা ছিল টুকটাক ওগুলো তো বাদই দিলাম।
তবে তার থেকে বেশি যেটা আমাকে টেনশনে ফেলেছিল সেটা হল আমার আই কার্ড এবং প্যান কার্ড। তাছাড়াও চারটি এটিএম কার্ড। এসব কথা চিন্তা করে আমি রাস্তার মধ্যে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম। যেহেতু মাথায় কাজ করছিল না তাই কোন রকম চিন্তা ভাবনা না করে ট্রাফিক পুলিশের কাছে চলে গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে তেমন বিশেষ কোন লাভ হলো না, তার বদলে আমাকে GRP বা নিকটবর্তী থানায় একটা জেনারেল ডায়েরি করে আসতে বলল। প্রথমে তো আমি GRP এর রুম এ গিয়ে খোঁজখবর নিলাম তবে তারা জানালো স্টেশনের বাইরের কোনো ঘটনা তাদের আন্ডারে পড়ে না তাই আমাকে থানায় গিয়েই ডায়েরি করতে হবে। না হলে কোন লাভ হবে না এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা করতে হবে।
সুতরাং আমি আবারো চলে গেলাম ট্রাফিক পুলিশের কাছে এবং সেখান থেকে নিকটবর্তী থানার ঠিকানা জেনে গেলাম। শিয়ালদা স্টেশনের কাছাকাছি মোট দুটো পুলিশ স্টেশন রয়েছে তবে একটার নাম মনে নেই অন্যটা হল মুচিপাড়া থানা। মোটামুটি স্টেশন থেকে হেঁটে থানায় যেতে ১৫ মিনিটের মতো সময় লাগলো এবং সেখানে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলার পর তারা দুটো পেপার আমাকে দিল এবং বলল আমার কি কি হারিয়েছে এবং কি কি ডকুমেন্ট ছিল তার ভিতরে, সেসব বিস্তারিত লেখার জন্য। তবে তাদের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছিল এসব ব্যাপার তাদের কাছে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই না। বলতে গেলে তারা কোন প্রকার গুরুত্বই দিচ্ছিল না আমার ব্যাপারটাকে। কিন্তু এদিকে আমার এত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে যে টেনসনে মাথার ভেতর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। যাইহোক সেখান থেকে একটা ডায়েরী করে এবং আমার কি কি জিনিস হারিয়েছিল সেই সবের একটা বিস্তারিত লিস্ট তাদের হাতে তুলে দিয়ে আসি এবং তারাও দেখলাম খাতায় একটা ডাইরি লিখে নিল আমার নামে।
একজন পুলিশ অফিসার তো অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে বলল যে কোন লাভ হবে না। সবকিছু আপনাকে আবার নতুন করে তুলতে হবে। তবে আপনার এটিএম কার্ডগুলো হয়তো বন্ধ করে দিতে পারি। যাইহোক যেহেতু পুরো মানিব্যাগটাই চুরি হয়ে গেছিল এবং হাতে কোন প্রকার টাকা ছিলনা, তাই ট্রেনে টিকিট না কেটেই বাড়ি অব্দি আসতে হয়েছে আমাকে আজ। আসলে টাকাটা তেমন কোনো বড় বিষয় নয় আমার কাছে। সেটা হয়তো আমি যে করেই হোক ইনকাম করে নেব কিন্তু যে ডকুমেন্টস গুলো আমার হারিয়ে গেছে এগুলো আবার নতুন করে উঠাতে রীতিমতো আমার মাথার ঘাম পায়ে গিয়ে পড়বে। আমি আসলেই ভাবতে পারছি না কি করব। যদি আপনাদের কোন সল্যুশন জানা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে বলতে পারেন।
বেশ দুঃখজনক একটি ঘটনা আপনি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে আমি তো পড়ে রীতিমত অবাক হয়ে গেছি।তবে আমার হাজবেন্ডেরও এরকম অনেকবার মানি ব্যাগ হারায় ফেলছে।তাই আমি যখন উনার সাথে বের হয় তখন ওনার মানিব্যাগ মোবাইল সব সময় নজরে রাখি।তবে আপনাকে আরো সচেতন হওয়া উচিত ছিল কারণ এমন গা গেষা মেয়েগুলো এই রকম কাজ গুলো করে থাকেন।তবে আপনার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক বেশি প্রার্থনা করছি আপনি যেন সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন ভালোমত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তবে আপু আপাতত আমার উপর নজর রাখার মতো কেউ নেই, এজন্য মনে হয় আমার মানিব্যাগ চুরি হয়ে গেছিল। তবে আমি খুবই সচেতন থাকার চেষ্টা করি বাসে বা ট্রেনে উঠলে। তবে ঐদিন কি হয়েছিল বুঝতে পারিনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পুরো পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়েছিলাম, পোস্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগল। এটা সত্যি বলেছেন বিপদ যখন আসে চারপাশ থেকেই আসে। তবে আমার মনে হচ্ছে বাসে আপনার কাছে বসা মেয়েটা এ কাজ করেছে,কারণ সে গা ঘেসে বসে ছিল এধরণের কাজ করার জন্য। আসলে টাকা পয়সা নিয়েছে সেটা তেমন সমস্যা হবে না, মনে হয় কিন্তু এন আইডি কার্ড ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো পুনরায় উঠাতে অনেক কষ্ট লাগবে।যাইহোক ভাইয়া আপনার জন্য দোয়া করি আপনি যেন তারাতাড়ি এর সমাধান করতে পারেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু টাকা পয়সা নিয়েছে সেটা হয়তো কোন ব্যাপার না, কিন্তু ডকুমেন্টস গুলো ফিরে পেতে আমাকে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আহা,পাশে থাকা সুন্দরী মেয়েটা কি আপনার মন চুরি না করে মানিব্যগ চুরি করে নিলো🤪🤪।আসলে মাঝে মাঝে বিপদ আসলে চারদিকে আসে,থাক ব্যপার না আজাইরা মানুষ আপনি এটিএম কার্ড,আই কার্ড,প্যন কার্ড জন্য একটু দৌড়াদৌড়ি করেন😜।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার মন চুরি করা অত সহজ না ম্যাডাম। তবে ঐদিন আমাকে কোন পাগলে কামড়েছিল সেটাই বুঝতে পারিনি।
কি আর করা যাবে, করতে তো হবেই। এখন আবার অনেকগুলো টাকার শ্রাদ্ধ হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ট্রাউজারের পকেটে চেন না থাকলে খুবই সমস্যা।ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক তবে দাদা তোমার কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমার ও মেয়েটিকেই সন্দেহ হচ্ছে।যদিও না জেনে সন্দেহ করাটা উচিত নয়।যাইহোক একটা বিষয়ে আমার বেশ কনফিউশন সেটা হলো একটি মানিব্যাগের ভিতরে এত কিছু থাকতে পারে!যাইহোক চিন্তার কারন নেই দাদা শুধু সময়ের অপেক্ষা।সবকিছু তোলা যাবে তবে একটু সময় লাগবে ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এর থেকেও বেশি কিছু থাকে। তুমি আমার মানিব্যাগ দেখলে বলবে এটা কি।🤣🤣...
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit