☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
---|
আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলাম👉
হয়তো গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো তবে আসল ঘটনা শুরু হয় ঠিক তারপর থেকেই। সেদিন বাড়ি ফেরার পর থেকেই তমালের গায়ে প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর..
তমাল যেহেতু একটা মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছিল তাই সে পরবর্তীতে বুঝতে পারে যে এরকম করা তার একদম উচিত হয়নি। কিন্তু তাতে তো সমস্যার কোন সমাধান হবে না সেটা সে বুঝতে পেরেছিল। সেদিন রাতে ঘুমানোর পর থেকে তার গায়ে প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর। প্রথম দিন তো ভেবেছিল হয়তো হালকা পাতলা ওষুধ খেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তাই প্রথম দুই দিন ওষুধ খেয়ে কাটিয়ে দিল। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো উপকার হয়নি, তার বদলে শরীরের আরো অবনতি শুরু হয়। গায়ে জ্বর থাকার পাশাপাশি তার শরীরে প্রচন্ডরকম উইকনেস দেখা দেয়। সে ঠিক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না কিছু সময় দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেই মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে। এবার তো তমালের বাপ মা বেশ কিছুটা টেনশনে পড়ে গেল এবং তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য বড় হসপিটালে নিয়ে গেল। কিন্তু সেখানে গিয়ে তার সামান্য জ্বর বাদে অন্য কোন রোগ ধরা পরল না। যাইহোক দুইদিন যেতে না যেতেই জ্বর কমে যেতে থাকে, কিন্তু শরীরের যে দুর্বলতা সেটা দিনে দিনে আরো বাড়তে থাকে। এইবার তো তমালের বাপ মা অনেকটাই চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং তাকে কলকাতা নিয়ে আসে চিকিৎসা করানোর জন্য। কিন্তু কলকাতার বড় বড় ডাক্তাররাও তার রক্ত পরীক্ষা করে কোন রোগের লক্ষণ পায়নি তাই তাকে আবার বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়।
এদিকে তমালের খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ। সে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, কোন ধরনের খাবার খেলে সেটা বমি হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই পর্যন্তই ওর বাপ-মা চেষ্টা করেছিল তারপর তো আমি সেখানে গিয়ে পৌঁছলাম।প্রথমত তমাল আমাকে এইসব কোন ঘটনাই বলতে চাইনি পরবর্তীতে অনেকটা চাপে পড়ে আমার সাথে এগুলো শেয়ার করে, যে আসলে কি হয়েছিল সেই দিন এবং কেন তার এই অবস্থা। পরে যখন আমি জানতে চাইলাম যে তাহলে এই ব্যাপারগুলো তোর বাবা-মার সাথে খুলে বলছিস না কেন। তখন সে বলল আমি যাদেরকে এই ঘটনা খুলে বলবো তারও একই অবস্থা হবে তাই আর বাপ মাকে বলার সাহস পায়নি। কিন্তু তুই এতবার করে জোরজবস্তি করছিস তাই তোকে বলতে বাধ্য হলাম।
যদিও ঘটনার পুরোটা তখন আমরা পুরোপুরি ভাবে জানতাম না তাই একজন ভালো তান্ত্রিকের কাছে গেলাম এবং তাকে গিয়ে আমার বন্ধু সব ঘটনা খুলে বলল। পরবর্তীতে সব কিছু দেখে সে তো রীতিমত অবাক আর বলল যে আমার বন্ধুর পিছু নিয়েছে একজন রক্ত খেকো পিচাশ এবং যত সময় না পর্যন্ত তার মৃত্যু হচ্ছে তত সময় আমার বন্ধুর পেছন ছাড়বে না। যাইহোক পরবর্তীতে অনেক বলে কয়ে করে এই সমস্যার সমাধান করার কথা বললাম তান্ত্রিক কে। কিন্তু সে বলল দুদিন পরে আসতে তার আগে আমার বন্ধুকে বলল যে তোমার সাথে আসলে কি হচ্ছে সেটা তোমার দেখা দরকার। তাই তুমি আজ রাতে ঘুমাবে না তার বদলে সারারাত জেগে থাকবে এবং কি হয় পরবর্তীতে আমাকে এসে বলবে তাহলে আমি তোমার সমস্যার সমাধান হয়তো করলেও করে দিতে পারব।
আর আমিও যেহেতু আমার বন্ধুর সব ঘটনা শুনে নিয়েছিলাম তাই বিপদ আমারও ছিল সেক্ষেত্রে আমারও বেশ কিছুটা টেনশন হচ্ছিল। যাই হোক সেদিন বাড়ি ফিরে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম আমার বন্ধু তার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ল আর ঘুম ধরার ভান করে বিছানায় পড়ে থাকলো। ঠিক রাত তিনটা নাগাদ একটা ঠান্ডা হাওয়া জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকলো। কিন্তু তখন আমার বন্ধুর নাকি কিছুটা তন্দ্রা ভাব এসে গেছে। হঠাৎ করে সে দেখতে পেল তার পায়ের কাছে একজন বিচ্ছিরি চেহারার মহিলা বসে আছে এবং তার পুরো নজর তার পায়ের আঙুলের দিকে। কিন্তু আমার বন্ধুর এমন অবস্থা হয়ে গেছিল, সে বিছানা থেকে উঠতে পারছিল না, অনেকটা হিপনোটাইজ হয়ে যাওয়ার মত। সে শুধু দেখছিল কি হচ্ছে তার সাথে। কিছু সময়ের মধ্যে দেখা গেল সেই রক্ত খেকো পিশাচিনী টা তার বড় বড় দাঁতগুলো বের করে তমালের বুড়ো আঙ্গুলে সেটা বসিয়ে দিয়েছে এবং একটানা তার শরীর থেকে রক্ত চুষে খাচ্ছে।
আমার বন্ধু তো রীতিমতো প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেল এবং সে পুরো সাহস সঞ্চয় করে চিৎকার করে উঠলো এবং দেখা গেল সেই রক্তখেকো পিশাচিনী তার দিকে তাকিয়ে একটা ভয়ংকর হাসি দিয়ে জানলা দিয়ে আবার বেরিয়ে গেল। যাহোক পরবর্তীতে এই ঘটনাগুলো আমরা সেই তান্ত্রিক কে খুলে বলি এবং তান্ত্রিক আমাদের দুজনকেই দুটো তাবিজ বানিয়ে দেয় এবং আরো অনেক কাজ করতে বলে যেগুলো করার পর থেকে আর কোন বিশেষ সমস্যা হয়নি। আমার বন্ধুর শরীরও আস্তে আস্তে ভালো হতে থাকে। তবে এখনো নাকি মাঝেমধ্যে জানলা দিয়ে ওই পিশাচনি টা তাকিয়ে থাকে এবং একটা অট্টহাসি দিয়ে বলে যদি জীবনে কখনো আর একদিন সুযোগ পায় তাহলে তোকে এমনভাবে মারবো যে সবাই তোকে দেখে ভয়ে দূরে সরে যাবে।