বৃষ্টি ভেজা সকালে হাঁটাহাটির অভিজ্ঞতা।

in hive-129948 •  4 months ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কয়েকদিন আগে ফেসবুকে আমার এক রিলেটিভের একটা ছবি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। ছবিটিতে দেখতে পেলাম সে এই প্রচন্ড বৃষ্টির ভিতর আমাদের শহরের সুইচ গেটের ওখানে গিয়ে বৃষ্টি উপভোগ করছে। দৃশ্যটা দেখে আমার কাছে দারুন ভালো লেগেছিলো। গত কয়েকদিন প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছিলাম না। কিন্তু তার ওই ছবিটা দেখার পর মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম আগামীকাল সকালে যদি বৃষ্টি থাকে তাহলেও আমি এই বৃষ্টির ভেতরে বাইরে হাঁটতে বের হবো। হাটাহাটি শেষ করে এক পর্যায়ে সুইচগেটের ওখানে গিয়ে কিছুটা সময় কাটাবো। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজকের সকালে আমি বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। তবে যখন হাঁটতে বের হয়েছিলাম তখনও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো।

IMG_20240916_075431.jpg

যার ফলে আমি বাসা থেকে রেইনকোট পড়েই বের হয়েছিলাম। বৃষ্টির ভেতর সাধারণত কেউ হাঁটাহাঁটি করে না। আমি বাইরে হাঁটতে বের হয়ে দেখলাম শুধু হাটাহাটি করতে এই বৃষ্টির ভেতরে বের হয়েছেন এমন লোকজন একেবারেই ছিলো না। রাস্তা ছিলো অনেকটা জনশূন্য। যার ফলে আমার কাছে হাঁটতে বেশ ভালো লাগছিলো। তাছাড়া ঝিরিঝিরি এই বৃষ্টির ভেতরে সকালে হাটাহাটি করার এই অভিজ্ঞতাটা ছিল আসলেই অন্যরকম। যাইহোক হাঁটতে হাঁটতে একসময় আমি সুইট গেটের কিছুটা কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম। ততক্ষণে আমি প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটেছি। যার ফলে তখন হাটা বন্ধ করে একটা অটোরিক্সার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। কয়েক মিনিটের ভেতরে একটা অটো রিক্সা পেয়ে গেলাম।


IMG_20240916_075322.jpg

সেই অটো রিক্সায় উঠে আমি সুইচ গেটের কাছাকাছি একটি জায়গায় গিয়ে নামলাম। তারপর সেখান থেকে সুইচ গেটের দিকে হাঁটতে লাগলাম। ততক্ষণে খেয়াল করে দেখি বৃষ্টিটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে আমি রেইনকোট টা খুলে হাতে নিলাম। কারণ রেইনকোট পরে হাঁটতে বেশ গরম লাগছিলো। যেখানে অটো রিক্সা থেকে নেমেছিলাম সেখান থেকে সুইচগেটের দূরত্ব ছিল খুবই সামান্য। যার ফলে মাত্র কয়েক মিনিটের ভেতরেই সেখানেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। সকালবেলায় সুইচ গেটে পৌঁছে দেখি সেখানে হাতে গোনা মাত্র দু-তিনজন মানুষ রয়েছেন। আমি যখনই সুইচগেটের ওখানে গিয়েছি তখনই সেখানে প্রচুর মানুষ দেখতে পেয়েছি। তবে সকালের এই বৃষ্টিস্নাত পরিবেশে সেখানকার সৌন্দর্যটা অন্য লেভেলের মনে হচ্ছিলো।


IMG_20240916_075312.jpg

আমি কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। এর ভিতরে একজন জেলেকে দেখতে পেলাম মাছ ধরার চেষ্টা করছে। যদিও আজকাল নদী-নালায় মাছ পাওয়া যায় খুবই কম। তবে আমি আগ্রহ নিয়ে তার মাছ ধরার চেষ্টা দেখতে লাগলাম। খেয়াল করে দেখলাম সে মাছ পেয়েছে খুবই কম। সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে আমি পদ্মার পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমি নদীর পাড়ের আশেপাশে গেলে সবসময় চেষ্টা করি একবার সেখান থেকে ঘুরে আসতে। সেখানে গিয়ে আমি দেখতে পেলাম মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে পছন্দ মতো কোনো মাছ সেখানে না পেয়ে আমি পদ্মার পাড়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ফিরতি পথ ধরলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বৃষ্টি ভেজা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক ভালো লাগে। ভাইয়া আপনার এক রিলেটিভের বৃষ্টি ভেজা ছবি দেখে আপনারও ইচ্ছে করেছিল সুইচগেটে যেতে জেনে ভালো লাগলো। জায়গাটা সত্যিই অনেক সুন্দর। বৃষ্টির সময় সেই সৌন্দর্য যেন আরো বেড়ে গেছে।

বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে হাঁটতে বের হয়েছেন,এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। আমিও গতকাল সকালে বৃষ্টির মধ্যে নদীর ঘাটে চলে গিয়েছিলাম মাছ কিনতে। যাইহোক সুইচগেট জায়গাটা এমনিতেই খুব সুন্দর। বৃষ্টি তো সেই সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে দিয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

সর্বশেষ কবে বৃষ্টিতে ভিজেছি ইচ্চে করে তা আর মনে করতে পারলাম না। তবে গত দুই শতকের মধ্যে যে না সেটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার বৃষ্টিস্নাত ট্যুর এর বর্ণনা দেয়ার জন্যে ছবি সহ।


ক্ষুদে স্বাস্থ্যবার্তা
রক্তের সুগার (Blood sugar) পরিমাপ করা হয় সাধারণত ২টা ইউনিট এ; মি.লি.মোল (mmol/l) এবং মি.লি.গ্রাম (mg/dl)। আমরা অনেকেই কনফিউজড থাকি এটা নিয়ে। খুব সহজেই একটা থেকে অন্যটাতে কনভার্ট করা যায়। মি.লি.মোল × ১৮= মি.লি.গ্রাম এবং মি.লি.গ্রাম ÷ ১৮= মি.লি.মোল।


উদাহরণ দেখিঃ ১। রক্তের সুগার ৫ মি.লি.মোল= ৫ × ১৮= ৯০ মি.লি.গ্রাম। ২। রক্তের সুগার ১৮৫ মি.লি.গ্রাম= ১৮৫ ÷ ১৮=১০.২৭ মি.লি.মোল।

কথা ঠিক ভাই বৃষ্টির মধ্যে কেউ হাঁটিহাটি করে না। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার একটি অভ‍্যাস আছে। যদি অনবরত বৃষ্টি শুরু হয় তখন আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ছাতা নিয়ে বের হয়ে যেতাম। সত্যি বলতে তখন আমি প্রকৃতির যে রুপ টা দেখলাম সেটা অন‍্যরকম। আপনার পোস্ট টা পড়ে বেশ ভালো লাগল। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। বৃষ্টিমূখর সকাল টা বেশ দারুণ কাটিয়েছেন আপনি।