নদী পথে ভ্রমণের সময় তোলা কিছু ছবি। পর্ব- ১

আসসালামু ওয়ালাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ একটি বিশেষ প্রয়োজনে আমাকে গ্রামে আসতে হয়। আসার সময় আমি নদীপথে বেশ কয়েকটি ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। সেই ছবিগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

---

এটি হচ্ছে মেঘনা নদীর স্বচ্ছ সবুজাভ পানি। নদী আমাকে সব সময় আকর্ষণ করে। শীতের ভরা দুপুরে হালকা মিষ্টি রোদে পরিবেশটি বেশ ভালো লাগছিল। নদীতে তেমন ঢেউ ছিল না। একদম স্থির ছিল।

এটি হচ্ছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত একটি পার্ক। এই ধরনের পার্কগুলো আমার খুব ভালো লাগে। যেখানে গাছের ছাঁয়ায় বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আমি যখন ফটো তুলছিলাম, সেখানে কয়েকজন দর্শনার্থী ছিল। এ ধরনের পার্কে দর্শনার্থী থাকাটাই স্বাভাবিক। সেটা দুপুর হোক আর বিকাল!



এটি হচ্ছে মুন্সিগঞ্জ সেতু। নাম, মুক্তারপুর সেতু। ঢাকা থেকে যেতে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ ঘাটের ঠিক পরেই সেতুটির অবস্থান। সেতুটির দুপাশে দুটি সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। যা আমি পরবর্তী কোন এক সময় আপলোড করব।



নদীতে চলমান বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী কার্গো। নদী পথ ব্যবহারে যে জাতি যত অগ্রসর সামগ্রিক উন্নয়নে সে জাতি ততটা অগ্রসর। বিশ্বের যত বড় বড় শহর রয়েছে তার সব কটিই কিন্তু নদী অথবা সমুদ্রের তীরে অবস্থিত।



এটি একটি ডক ইয়ার্ডের ছবি। একটি কার্গো শিপ মেরামত করা হচ্ছে। বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীরে এমন ডক ইয়ার্ডের অভাব নেই।



নদীর একটি সাধারন ছবি। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, লঞ্চ আসার পর যে স্থানে লঞ্চ ছিল, তা একদম শান্ত এবং মিহি থাকে; ঢেউ থাকে দুই পাশে। নদীতে ঢেউ না থাকায় ততটা বুঝা যাচ্ছেনা।



এই ছবিটি আমার কাছে স্পেশাল। এধরণের নৌকাগুলো পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নৌকা। আধুনিক কার্গো শিপের আদলে তৈরি এই নৌকাগুলো মূলত বেশ প্রাচীন। অর্থাৎ, আধুনিক কার্গোর ধারণা এখান থেকেই এসেছে বোধ করি। বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্য এই নৌকাগুলো আমাকে সবসময় আকর্ষণ করে।

---

এই ছিলো আজকের মতো আমার নদী পথ ভ্রমণের ফটোগ্রাফি। দ্বিতীয় পর্ব খুব শীঘ্রই দেয়ার চেষ্টা করবো।