আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে সম্প্রীতি নিয়ে কথা বলব। মূলত বাংলাদেশ এবং ভারত; দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিরাজমান সম্প্রীতি নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব।
ঠিক কোথা থেকে শুরু করব তা আমি বুঝতে পারছি না। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ভৌগোলিক এবং সাংস্কৃতিক মিল এমন ওতপ্রোত জড়িত যে মাঝে মাঝে এই দুটি দেশকে আলাদা করা প্রায় দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিটিশদের বিদায়ের আগ পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের মধ্যে আলাদা কোন জাত-ভেদ ছিল না। তখনও আমরা একটি একক জাতি হিসেবে পরিচিত ছিলাম। ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের পর দুটি আলাদা জাতির জন্ম হয় যারা ভারতীয় এবং পাকিস্তানি নামে পরিচিত হয়। নতুন এই পরিচয়ে কিন্তু আমাদের সাংস্কৃতিক এবং ভৌগোলিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়নি। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্র-বুড়িগঙ্গা এসকল নদী আমাদের দুই দেশের সংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। নবান্ন উৎসব, পহেলা বৈশাখ; এতো দুটি দেশেরই সংস্কৃতি।
বাংলাদেশের জন্মের সময় ভারত যদি আমাদের সাহায্য না করতো তাহলে হয়তো এখনো আমরা নিজেদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে সক্ষম হতাম না। আমাদের দৈনিক প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে ঔষধ পর্যন্ত আমরা ভারত থেকে আমদানি করে থাকি। কিন্তু বর্তমানে আমরা এসব অবদান ভুলতে বসেছি। রাজনৈতিক কারণে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ক বেশ টালমাটাল।
আমি সে দিকে যাচ্ছি না। ধরলাম, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধ চলমান রয়েছে। কিন্তু তবুও আমরা যদি ভারতীয় পতাকার অবমাননা করি, এটা হচ্ছে নিজেদেরকে কাপুরুষের চেয়েও অধম হিসেবে পরিচিত করা। একটা নীতিকথা রয়েছে যে,
দুষ্ট লোকের শেষ অস্ত্র হচ্ছে গালি।
অর্থাৎ যখন তারা কোন কিছু করার উপায় খুঁজে না পায় তখন বিপক্ষকে গালি দিয়ে নিজেকে বিজিত ভাবে। আমাদের দেশেও বর্তমানে এমনটাই হয়তো চলমান রয়েছে। আমাদের দেশের দেশপ্রেমিকের মাপকাঠিটা নির্ধারিত হয় কে কতটা ভারত বিদ্বেষী তার উপর ভিত্তি করে। এই যে আমজনতার মধ্যে ভারত বিদ্বেষী চেতনার বীজ বপন করা হয়েছে এটা কিন্তু খুবই খারাপ একটি বিষয়। এসব কারণেই দেখা যায় শিক্ষিত একটি শ্রেণি ও পতাকা অবমাননার মত হীন থেকে হীনতর একটি কাজ করতে দ্বিধা বোধ করেনা।
ভারত যদি আমাদের শত্রুও হয়ে থাকে, আমরা তাদেরকে ভালোবাসা দিয়ে বন্ধু বানাবো। কিন্তু তা না করে আমরা যদি উগ্র আচরণ করি তবে তারাও আমাদের প্রতি উগ্র আচরণ করবে। এতে করে দিন দিন দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। তা আমাদের কারোর জন্যই ভালো ফল বয়ে আনবে না। যেমনটা আমরা বলে থাকি, প্রতিবেশীদের কদর সবচেয়ে বেশি করতে হবে। কারণ আমার কিছু হলে আমার প্রতিবেশী সবার আগে এগিয়ে আসবে। তেমনি বাংলাদেশের কিছু হলে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সবার আগে এসে পৌঁছাবে। বিগত দিনগুলোতে আমরা এর প্রমাণ বহুবার পেয়েছি। আমাদের দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিলে ভারত এগিয়ে আসে। ঈদের সময় আমরা ভারতীয় ড্রেসের জন্য মুখিয়ে থাকি। এসব তো বন্ধুত্বের চিহ্ন। বাংলাদেশের বহু মানুষ স্বল্প মূল্যে ভারত গিয়ে উচ্চ চিকিৎসা করে আসে। এসবকে যদি বন্ধুত্বের লক্ষণ না বলা হয় তবে বন্ধুত্ব কোনটি?
আপনি ঠিকই বলেছেন, ভারত আমাদের বন্ধু আর এই বন্ধু দেশ প্রতিনিয়ত আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছেন।যার কারণে তাদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল এবং ভালোবাসা দেখাবো, তা না করে এই অবমাননার প্রতিবাদ জানাই। আর এই কাজ কোনো ভালো মানুষের বা বীর পুরুষের কাজ নয়।এই কাজটি একদম জঘন্য এবং কাপুরুষের কাজ হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি ভাই৷ কারও পতাকা পোড়ানো বা পদদলিত করা আমার খুবই অপছন্দ। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত। সেজন্য প্রতিটা দেশের সম্মানের জায়গা গুলোকে আমাদের কেউ সম্মান দিতে হবে । তাহলে সম্মান পাওয়া যাবে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি ভাই, ঠিক বলেছেন। সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একটা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতিক তাদের পতাকা অবমাননা করা কখনোই আমি সাপোর্ট করি না। আমি তাদের ঘৃণা করি। জানি না তাদের এতোটা বুদ্ধিভ্রষ্ট কীভাবে হলো। এমন কিছু সত্যি অনেক কষ্ট দেয়। একটা শ্রেণির মানুষ এইরকম বাজে পথ অবলম্বন করতে পারে ভাবতেই কেমন লাগছে আমার।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও এসব একদমই পছন্দ করিনা।।মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit