পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় অ্যামাজনকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যামাজন জঙ্গল মানুষের বসবাসের জন্য খুবই ভয়ানক স্থান। সেখানে এমন এমন প্রাণী রয়েছে যে দেখলেই মানুষ হার্টএট্যাক করে মারা যাবে। যারা বেচে যাবে তাদেরকে অ্যানাকোন্ডা সাপ খেয়ে ফেলবে। যারা এর হাত থেকেও ছাড়া পাবে তাদের জন্য রয়েছে চিতাবাঘ, হায়েনা ইত্যাদি মাংসাশী প্রাণী। তবুও যারা বেচে যায়, তাদের মারার জন্য রয়েছে জঘন্য রকমের মশা, মানুষখেকো গাছ। অর্থাৎ, টেকনিক্যালি অ্যামাজন আসলে মানুষের কোন কাজে লাগেনা। বরং, অ্যামাজনের চিরহরিৎ বৃক্ষগুলো দিয়ে ভালো মানের ফার্নিচার তৈরি হয়। তাই, একদল মানুষ ভাবলো এই জঙ্গল রেখে কি লাভ? এটাকে ধ্বংস করাই উত্তম। লে, গাছ কাট!
আমাদের দেশের সুন্দরবনের কথাই ভাবুন। বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের সময় বুক আগলে দাড়িয়ে যায়। এতে করে আমরা ঠিকমতো এসব দুর্যোগ উপভোগ করতে পারিনা। তার উপর, অ্যামাজনের মত না হলেও বাঘ, কুমিরের যন্ত্রণায় সেখানেও টেকা মুশকিল। এইজন্য আমাদের দেশের মানুষও উন্নত মানের ফার্নিচার তৈরিতে মনযোগ দিয়েছে।
এই যে, রাজধানীর কাছেও ভাওয়াল জঙ্গল। এখানে পশুরা কিছু করুক আর না করুক, কিছু মানুষই মানুষের জীবননাশে ব্যস্ত। চিপায় নিয়া ধান্দা করার ফন্দি করে। যদি চিপা না থাকে, তাহলে ধান্দাও থাকবেনা। ব্যাস, সবাই ব্যস্ত হয়ে গেল চিপা গায়েব করার জন্য।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে, মানে দক্ষিণ-পূর্বাংশের পাহাড়ি জঙ্গলের কথাই চিন্তা করুন এখন! তোরা থাকবি, খাইবি, ঘুমাইবি! এই তো। কিন্তু তারা সেগুলা না করে নিজেরাই আর্মি বানিয়ে নিজেরাই গোলাগুলি করে। মাঝেমধ্যে দেশের সেনাবাহিনীও শহীদ হয় কয়েকজন। এসব আর্মি দমনে অবশ্যই গাছ বিশাল বাধা। গাছ না থাকলে আর্মিও থাকবেনা পাহাড়িদের। সহজ সমাদান।
বচনে আছে, দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো।
ভুল। সবই ভুল। গোয়াল না থাকলে গরু নিয়া চিন্তা করারও প্রয়োজন হবেনা।
আপনার জায়গা থেকে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন ভাই তবে আমাদের কমিউনিটির কিছু নিয়মকানুন রয়েছে যেগুলো মেনে কাজ করলে অবশ্যই এখান থেকে ভালো কিছু করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে আমাদের কমিউনিটির সার্ভার এড হতে পারেন ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit