আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন। ইদানিং কবিতা লেখার প্রতি আমার ঝোঁকটা বেড়ে গিয়েছে। আর আজকের পরিবেশটাও একটু বেশি রোমান্টিক মনে হচ্ছে। এজন্য আজ আমার প্রাণপ্রিয় স্ত্রীকে উৎসর্গ করে একটি কবিতা লিখছি। সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
প্রিয়তমা, তোমাকে বলবোনা তুমি চাঁদের মতো।
বরং, তুমি নির্মল, অবারিত, সমুদ্রের নীলজল।
প্রিয়তমা, তোমাকে বলবোনা তুমি ফুলের মতো।
বরং, তুমি ঊর্মিমালা, বিক্ষুব্ধ, চির চঞ্চল।
অর্ধাঙ্গিনী, কখনও বলিনি তুমি পরীর মতো।
বরং, তুমি তিলোত্তমা, গৌরী, এবং সরল।
শুনবেনা কখনও বলতে আমায়, ভালোবাসি।
বলে কয়ে কি আর, ভালোবাসা যায়?
বলিনি আমি, এনো দেবো তারা, হবো চন্দ্রবাসী।
আসুক হাজার-কোটি রমণী, তবুও চাইবো তোমায়।
বলবোনা কভু, তুমি খুব বিশ্বাসী।
যেতে দিবো হেথা, তোমার মন যেথা যেতে চায়।
জীবনের তরে, পেলাম তোমারে।
বহু ত্যাগ তিতিক্ষায়
দেবোনা হারাতে, মরণেরও পরে,
রইবো তোমার অপেক্ষায়।
ততদিন ধরে, পাবে আমারে,
ডুবতে দেবোনা কভু হতাশায়।
এজীবনে ওহে, ভালোবেসে যাবো অকাতরে।
তোমার কোন ভয় নাই।
দিয়েছ যে মোরে, তোমার বাহুডোরে,
আর মনের মধ্যে ঠাঁই।
উৎসর্গ এ জীবন, তোমারি তরে,
হাত ধরেছি তাই।
আমরা কম বেশি সবাই আমাদের স্ত্রী কিংবা সঙ্গী কে ভালবাসি। ভালোবাসা স্রষ্টার এক অপরূপ উপহার। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী এর মধ্যে ভালোবাসা। আমি আশা করি আপনারা আপনাদের জীবনের সঙ্গে কেউ ভালোবাসে যাবেন। আমাদের ভালবাসা যেন অটুট থাকে এজন্য দোয়া করবেন।
এই কবিতাটা পড়ার পর ভেতর থেকে একটাই শব্দ এল - আহা! কি চমৎকার প্রেমের কবিতা লিখেছেন আপনি। এই কবিতাটা উপহার হিসেবে পাওয়ার জন্য যেকোনো কবির প্রেয়সী উদগ্রীব হয়ে বসে থাকবে।
আপনার কবিতা এই মিষ্টি নিবেদন আছে। আবার বাস্তবতাও আছে মনের উন্নত চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
এক জায়গায় পাইবা হয়েছে যেটা আপনাদের চলিত ভাষা সেটা লিখিততে সম্ভবত পাইবে হবে। তবে বর্তমানে তো ওই সাধু আর চলিতে গুরুচণ্ডালী বিষয়টা মানুষ এড়ানোর জন্য পুরোপুরিচলিত ভাষায় লেখে সেক্ষেত্রে আপনি পাবে লিখতে পারেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আর হ্যাঁ, ঠিক করে দিয়েছি। এজন্যও ধন্যবাদ দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit