আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ আমি একটি ব্যতিক্রম বিষয়ে কথা বলব। সেটা হচ্ছে ঋণ এবং ঋণ গ্রহীতার ধরণ নিয়ে।
ব্যক্তিগত জীবনে আমাদের অনেক উত্থান-পতন ঘটে। তখন বাধ্য হয়ে মাঝে মাঝে আমাদেরকে ধার নিতে হয়। আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধার দিয়ে ধার সময়মতো পরিশোধ করার মতো লোকের সংখ্যা খুবই কম। এত পরিমানে কম যে তাদেরকে আতশ কাচ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না।
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ঋণ গ্রহীতা রয়েছে। কিছু মানুষ আছে যারা মাসে এক বারই টাকা পায়, যেমনঃ বেতন কিংবা টিউশন ফি। দেখা যায়, মাসে শুরুতেই তারা তাদের সামগ্রিক ধার-দেনা পরিশোধ করে। তাদের হাতে যৎ সামান্য কিছু টাকা অবশিষ্ট থাকে যা দিয়ে তারা পুরো মাস চলতে পারে না। এবং আবারো ঋণ করে, দোকানে বাকি খায়। এভাবেই তারা মাস পার করে। আবার যখনই টাকা হাতে পায় তাদের পূর্ব বকেয়া পরিশোধ করে দেয়।
এক পক্ষ আছে যাদের ঋণ করার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু হঠাৎ বড় রকমের বিপদ কিংবা অন্য কোন কারণে তার ধার নেয় বা ঋণ করে। কিন্তু টাকা হাতে পাওয়া মাত্রই তা পরিশোধ করে। ঋণের পরিমাণ বেশি হলে তারা হয়তো সময় নিয়ে পরিশোধ করে কিন্তু ঋণ পরিশোধ করার চিন্তা-চেতনা তাদের মধ্যে রয়েছে।
আরেক প্রকার ঋণগ্রহিতা রয়েছে যাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করার জন্য তাদেরকে আপনার বোঝাতে হবে যে আপনি খুবই বিপদের মধ্যে আছেন এবং আপনার পাওনা টাকাটা যদি দয়া করে উনি দিয়ে দেন তাহলে আপনার অনেক উপকার হবে। বলা বাহুল্য, আমাদের সমাজে এ ধরনের ঋণ গ্রহীতার পরিমাণই বেশি।
এদের মধ্যে এক পক্ষ আছে যারা দোকানে বকেয়া রেখেছে। বকেয়া জমার পর তারা ওই দোকানের আশেপাশেও যাচ্ছে না। দোকানদারের সাথে কোন উপলক্ষে তাদের দেখা হলে যখন তাদেরকে তাদের ঋণের কথা মনে করিয়ে দেয়া হয়, তখন জানা যায় বিগত কয়েকদিনে তাদের ওপর যে বেশ ঝড় ঝাপটা গিয়েছে। তাদের মতো এত অসহায় মানুষ আর কেউ ছিল না। দোকানদার ঋণের কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় খুবই অন্যায় করে ফেলেছে। দোকানদারের মোটেও এই ধরনের কাজ করা উচিত হয়নি। এজন্য দোকানদারের উচিত তাদেরকে আরো কয়েক বছর সময় দেওয়া। কিন্তু সময় যতই দেওয়া হোক কোনা কখনোই ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ্য তারা অর্জন করতে পারে না। কারণ তাদের চিরস্থায়ী রোগের মত চিরস্থায়ী সমস্যা রয়েছে। ঋণ কখনোই তাদের কে ছেড়ে যায় না যার কারণে তারা বকেয়া বা ঋণও পরিশোধ করতে পারে না। মূলত উনাদের মানসিকতাই এমন। তারা কখনোই ঋণ পরিশোধ করতে চায় না। ঋণ পরিশোধের চেতনাও তাদের মধ্যে নেই। এই ধরনের মানুষের সংখ্যা আমাদের চারপাশে বেশি। তাই আমাদেরকে ঋণ দেওয়া বা বকেয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে। অন্যথায় টাকা উদ্ধারের জন্য আমাদেরকে তাদের কাছে কারন উল্লেখ করতে হবে।
আসলে মানুষ বিপদে পড়লে ঋণ নিতেই পারে,এটা কিন্তু দোষের কিছু না। কিন্তু ঋণ নেওয়ার পর যদি কথামতো সেটা পরিশোধ করতে না পারে,তাহলেই তো সমস্যার সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ মানুষই এমন। ঋণ নেওয়ার পর পরিশোধ করার কোনো খবর থাকে না। পাওনা টাকা চাইলে অনেকে আবার মারধরও করে এখন। কি যে একটা অবস্থা হা হা হা। সেজন্য বেশিরভাগ মানুষ এখন কাউকে টাকা ধার দিতে চায় না। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit