আসসালামু আলাইকুম
বিড়াল কেমন প্রানী?
বিড়াল একটি গৃহপালিত প্রাণী। বিড়াল একটি হালাল প্রাণী। বিড়াল একটি অলস প্রকৃতির প্রাণী। বিড়াল ঘুমের রাজা। তাদের জীবনের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ঘুমিয়ে কাঁটায়। একটি বিড়াল দিনে প্রায় ১৬ঘন্টা ঘুমায়। তাদের প্রিয় আরামদায়ক জায়গাটিকে তাদের আশ্রয়স্থল করে তোলে। বিড়াল কেবল একটি বিচ্ছিন্ন প্রাণী নয়। বিড়াল সুখ দুঃখ ব্যথা,রাগ,উত্তেজনা এবং এমনকি হাস্যরস অনুভব করতে পারে। তাদের মস্তিষ্কে একটি ধূসর পদার্থ রয়েছে যা মানুষের আবেগ কেন্দ্রের অনুরুপ।
বিড়ালের উপকারিতা
ঘরে যদি কোন জ্বীনের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে তবে তার সাথে মোকাবেলা করার মতো শক্তি আল্লাহ তায়ালা বিড়ালকে দিয়েছেন। বিড়ালটি জ্বীনের সাথে থাকা নেগেটিভ এনার্জি গুলোকেও শোষণ করে ফেলতে পারে। শুধু তাই নয় বিড়ালের শরীরে আল্লাহ এমন একটি ব্যাকটেরিয়া দিয়েছেন যা কিনা আমাদের আশেপাশে থাকা সব ধরনের নেগেটিভ এনার্জিকে শোষণ করে নেয়। এছাড়াও আমরা যখন রাতে ঘুমাতে যাই তখন ঘরে পুষে রাখা বিড়াল সারারাত ধরে আমাদের শরীর থেকে নেগেটিভ এনার্জি শোষণ করতে থাকে। আল্লাহ তায়ালা বিড়ালের মাঝে কিছু বৈশিষ্ট্য দিয়েছেন যার কারণে এমন সুন্দর একটি মাখলুক আমাদের রোজকার জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। রাসুল (সাঃ) বিড়াল পছন্দ করতেন। এবং বিড়াল পালন করার কারণে তিনি তাঁর এক প্রিয় সাহাবীর ছদ্মনাম দিয়েছেন আবু হুরাইরা। তাঁর শাব্দিক অর্থ বিড়ালের পিতা।
কেনো একজন মুসলিমের ও সকলের বিড়াল পালন করা উচিত?
আজ থেকে ৮০০০ বছর পূর্বে জঙ্গলের বিড়ালরা খাবারের খোঁজে জনবসতিতে আসতে শুরু করে।সে সময় ইঁদুরের অত্যাধিক উৎপাত ছিল। সে-সব ইঁদুরকে ধরার চেষ্টা করতে করতেই একসময় বিড়ালরা মানুষের বসতিতে এসে পৌছায়। ঐ সময় জমিতে থাকা ইঁদুর গুলো বিড়ালের প্রিয় খাদ্য হওয়ার পাশাপাশি মানুষের জন্যেও একটা বড় সমস্যার কারণ ছিল। বিড়াল সেগুলোকে মেরে ফেলায় তৎকালীন সময়ে মানুষ আর বিড়ালের মাঝে একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এবং তারা আস্তে আস্তে একে অপরের প্রতি আরও আপন হতে শুরু করে। বর্তমানে পোষা প্রানী পালনের তালিকায় বিড়াল এক(১)নাম্বারে অবস্থান করছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন শুধু মাত্র বিড়ালকে কষ্ট দেওয়ার কারণে এক ইসরাইলি নারীকে কবরে আজাব দেওয়া হয়।মহিলাকে আজব দেওয়া হয় কারণ বিড়ালটিকে বন্দী করে রাখা অবস্থায় সেই মহিলা বিড়ালটিকে পানাহার করতে দেয়নি। তাকে কোন খাবার খেতেও দেয়নি। যার কারণে বিড়ালটি মারা যায়। এবং এই কারনে মহিলার কবরে শাস্তি নেমে আসে। সহীহ্ বোখারী হাদিস(৩৪৮২)
রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন বিড়াল সর্বদা নাপাক বস্তু হতে দূরে থাকার চেষ্টা করে। বিড়াল হচ্ছে এমন এক প্রানী যে কিনা মানুষের আশেপাশে ঘুরতে পছন্দ করে। আমাদের সকলের প্রিয় নবী (সাঃ) বিড়ালের সাথে অত্যন্ত ভালো আচরণ করতেন। তাই আমাদেরও উচিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর পদর্শিত পথে চলা এবং বিড়ালের সাথে সুন্দর আচরণ করা।
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ। আমি মনে করি বিড়াল একটি শখের প্রাণী। আপনারা সবাই বিড়ালকে পছন্দ করবেন এবং তাদের প্রতি আগ্রাসী হবেন না সবার প্রতি শুধু এইটুকু অনুরোধ রইলো। বিড়ালকে এবং বিড়ালের বাচ্চাদের প্রায়ই দেখা যায় যে তাদের পলিথিন এর ভিতরে আবার ব্যাগ এর মধ্যে বন্ধ করে তাদের যেখানে সেখানে ফেলে যায় আবার এমন জায়গায় ফেলে যায় যেখান থেকে বিড়াল বেঁচে ফেরা প্রায় অসম্ভব। সবার প্রতি অনুরোধ সবার সব কিছু ভালো নাই লাগতে পারে। যাদের বিড়াল পছন্দ না তারা বিড়ালকে এড়িয়ে চলবেন দয়া করে বিড়ালকে কেউ অযথা মারবেন না বিড়ালের ও প্রাণ আছে বিড়ালের ও বাঁচার অধিকার আছে। আজকের বিষয়ে আপনার চিন্তা শেয়ার করুন। সকলের জন্য শুভেচ্ছা দোয়া ও আশীর্বাদ। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আমার বাংলা ব্লগ এর সাথেই থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit