২৬শে মাঘ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রসঙ্গঃ সিকিউরিটি অফ ডিজিটাল লাইফ ( পর্বঃ ০২ ) |
---|
আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন?আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি। টাইটেল ও থ্যাম্বনেইল দেখে হয়তো আপনারা বুঝে গেছেন আজকে আমি কি নিয়ে আলোচনা করবো।আমি এর আগেও এই বিষয়ে একটি ব্লগ লিখেছিলাম এবং তারই ধারাবাহিকতায় আমি আজকের এই ব্লগটি সাজিয়েছি। আশা করি এই ব্লগ থেকে আপনারা অনেক কিছু শিখতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন। ডিজিটাল এই যুগে নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই রাখতে হবে। আপনার নিরাপত্তা কেউ দিবে না। কারণ, অন্যরা তো আপনার ডিভাইস ব্যবহার করে না। আপনার ডিভাইস আপনি নিজেই ব্যবহার করেন এবং সেটার নিরাপদ রাখার দায়িত্ব ও আপনার। এর জন্য যা যা করতে হবে সেগুলোর সবকিছু আপনাকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমি শুধুমাত্র আপনাকে বোঝাবো কি করতে হবে আর কি করতে হবে না। যদি আপনি এই বিষয়গুলো ধরতে পারেন তাহলে নিজের নিরাপত্তা আপনি নিজেই রাখতে পারবেন। যারা এখনো আমার এই পোষ্টটা পড়েন নি তারা পড়ে নিবেন। তাহলে আজকের এই পোষ্টটা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
আমরা ডিজিটাল এই যুগে এসে কম-বেশি সবাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছি। নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে এই প্রযুক্তি। জীবনের এমন কোনো জায়গাতে নেই, যেখানে প্রযুক্তি ব্যবহার হয় না। প্রযুক্তি আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে গেছে। আপনি যেহেতু আমার এই ব্লগটি পড়তেছেন, সেহেতু ধরে নিলাম আপনিও প্রযুক্তি নির্ভর। কেননা, প্রযুক্তি ছাড়া তো আর আমার এই ব্লগটা পড়তে পারবেন না।
আমরা যারা প্রযুক্তি ব্যবহার করি, তারা কম-বেশি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত রয়েছি। ইন্টারনেট আর প্রযুক্তি আমাদের জীবনটাকে কত সুন্দর ও সহজ করে তুলেছে, তা আপনারা প্রত্যক্ষভাবেই উপলব্ধি করতে পারতেছেন। আমাদের এই জীবনকে সহজ করে তুলতে গিয়ে মনের অগোচরে অনেক ভুল করে ফেলছি। এই ভুলের মাসুল অনেক ভাবেই দিতে হচ্ছে। কখনো বা টাকার প্রতারণার মাধ্যমে। আবার কখনো বা তথ্যচুরির মাধ্যমে।
আপনি কতটা নিরাপদ আছেন এই প্রযুক্তির দুনিয়ায় তা কি আপনি কখনো চিন্তা করেছেন? আপনার ফোনে থাকা তথ্যগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে না তো? চুরি হয়ে যাচ্ছে না তো আপনার ফোনে থাকা ছবি, তথ্য, ফোন নাম্বার, কল-লিস্ট? আপনারা হয়তো এখন ভাবছেন, ওমা আমার এই আজাইরা ছবি, নাম্বার, বা তথ্য নিয়ে তাদের কি কাজ। আমি প্রথম পর্বের মতো এই পর্বেও বলছি শুনেন, "যা আপনার কাছে আজাইরা, তা চোরের / হ্যাকারের কাছে অমূল্য সম্পদ"। তথ্য ক্যালেংকারীর কথা হয়তো আপনারা শুনেছেন এর আগে। মাঝে মধ্যে ফেসবুক তার ব্যবহারকারীর তথ্য থার্ডপার্টি কিছু কোম্পানীর কাছে চড়া দামে বিক্রি করে দেয়। আপনার এই তথ্য এইসব কোম্পানীর জন্য কত বড় সম্পদ তা আপনি নিজেও কল্পনা করতে পারবেন না।
আমরা যখন এই প্রযুক্তির দুনিয়ায় বিভিন্ন ধরনের এপ্স বা ওয়েব সাইট ব্যবহার করি। তখন তারা আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম পারমিশন চায়। কখনো পারমিশন চায় ফাইল ম্যানেজার এর, কখনো গ্যালারির, কখনো মাইক্রোফোন, কখনো বা সেলফি ক্যামেরার, আবার কখনো বা আপনার পুরো ডিভাইসের।
আমি আমার প্রথম পর্বে এই নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছিলাম। আমরা অন্ধের মতো এসবকিছুর পারমিশন দিয়ে দেই এবং তারা আমাদের এই সরলতা ও অজ্ঞাতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সব রকম তথ্য চুরি করে থাকে। আমি আমার প্রথম পর্বে উদাহরণস্বরুপ একটি কোম্পানির নাম ব্যবহার করেছিলাম। জানি না, আমার ওই ব্লগটি তাদের কাছে কিভাবে পৌছে গিয়েছিলো।
তারা যখন আমার ওই ব্লগটি পড়েছিলো এবং আমি যা যা উল্লেখ্য করেছিলাম, তার সবগুলোই তাদের কোম্পানির মধ্যে বিদ্যমান ছিলো। যেটা আমি তাদের কাজের মধ্যে বুঝতে পেরেছি। তারা আমার সাথে যোগাযোগ করেছে এবং তাদের কোম্পানির নামটা সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলো। তারা আমার ফেসবুকে আমাকে নক দিয়েছিলো এবং সেখানে ভয়েসে কথা হয়েছিলো। তো আমি সেই খান থেকে বুঝতে পেরেছি আসলেই এই বড় কোম্পানিটি হাজার হাজার ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করে যাচ্ছেই।
আমি এই কোম্পানির নামটি উল্লেখ্য করতেছি যেনো আপনারা এরপর থেকে প্রযুক্তি ব্যবহারে সর্তক হোন। আমাদের দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ই---মু যদি এই রকম কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারে, তাহলে অন্য প্রতিষ্ঠান কেন থাকবে না, তার কোনো গ্যারান্টি নেই।
তাই সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনার নিরাপত্তা আপনাকেই রাখতে হবে। যেখানে সেখানে আপনার ফোনের পারমিশন দিবেন না। আমি আবারো বলছি, যেসব তথ্য আপনার কাছে মূল্যহীন, ঠিক সেই তথ্যই আরেকজনের কাছে অমূল্য সম্পদ।
আশা করি, আমি যা যা বোঝাতে চেয়েছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ
আশা করি, আমার এই ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আমার সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
আমি মোঃ আবু হেনা সরকার। আর আমার ডাক নাম সাগর। আমি একজন স্বাধীন চেতনাময়ী ছেলে। যে সবসময় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেই। আমি লিখতে, পড়তে, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, বিশ্লেষন এবং কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ভীষণ আগ্রহী ও ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। সবার সাথে মিশতে আমার অনেক ভালো লাগে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://twitter.com/sagor520028/status/1491377397807005696?s=20&t=iTQWRKzYbBS_9pF-bT9m3w
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনার ব্লগটি যদি আগেও পড়ি নি বা আমার চোখে পড়েনি কিন্তু আজকে পুরো ব্লগকে পড়লাম। তবে আপনি যে কথাটা বলেছেন যে হ্যাকাররা বিভিন্ন রকম অপকর্ম করে তথ্য চুরি করে। এবং আমাদের অবহেলিত জিনিস গুলো তাদের কাছে অমূল্য সম্পদ। কিন্তু আমরা ইমু ব্যবহার করেছি এবং এই মুহূর্তে আমাদের বিভিন্ন রকম তথ্য কথাবার্তা ছবি আপলোড আমি এগুলো করে থাকি বা করেছি কিন্তু এখন তো আপনার কথা অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে এটা আমাদের অনেক বড় একটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। না বুঝে আমরা অনেক ব্যক্তিগত জিনিস ইমুতে শেয়ার করে থাকি। তবে তথ্যপ্রযুক্তির সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় হয়তো আমরা প্রতিনিয়ত এই ভুলগুলো করে যাচ্ছি। আপনার আজকের এই পোস্টটি আমার শিক্ষণীয় একটা পোস্ট ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এসে আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে এবং আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি পোষ্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আসলে সত্যি কথা বলতে আমরা অনেকেই ইন্টারনেট সিকিউরিটির ব্যাপারে অনেকটাই অজ্ঞ। যার কারণে দিনদিন এমন অনেক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছি আমরা ধন্যবাদ আপনাকে এভাবে সচেতনমূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনার আজকের এই পোস্টটিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট যা আমাদের জন্য শেয়ার করেছেন। পোস্টটি পড়ে আসলে সবারই সতর্ক হওয়া উচিত আমাদের। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সতর্কতামূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালই লিখেছেন। আমাদের সকলের সর্তক হওয়া উচিত এই অনলাইন জগতে। এই জগতে সিকিউরিটি হচ্ছে আসল চাবি খোয়া গেল তো সব গেল। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit