"Food Wasting বা খাদ্য অপচয়" // আমার বাংলা ব্লগ // ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য

in hive-129948 •  3 years ago 

09-01-2022

২৫ই পৌষ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ

"Food Wasting বা খাদ্য অপচয়"


photo-1536703219213-0223580c76b2.jfif

Photo by Joshua Hoehne on Unsplash


আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন?
আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি। টাইটেল ও থ্যাম্বনেইল দেখে হয়তো আপনারা বুঝে গেছেন আজকে আমি কি নিয়ে আলোচনা করবো।
**আজকের এই ব্লগটি ইন্টারেষ্টিং হতে চলেছে, আশা করি হাতে সময় নিয়ে ধৈর্য্যসহকারে আপনারা এই ব্লগটি পড়বেন। কথা দিতে পারি একটু হলেও আপনার মনকে নাড়া দিতে পারবে এই ব্লগটি। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাকঃ** -

paul-schellekens-c-R885Oc7k0-unsplash.jpg

Photo by Paul Schellekens on Unsplash



খাদ্য অপচয় বা Food Wasting এর সাথে কম-বেশি সবাই পরিচিত। আমাদের এখানকার এমন কেউ নেই, যারা জীবনে একটিবারও খাবার অপচয় করেন নি। ১০ গ্রাম খাবার হলেও কোনো এক সময় অপচয় করেছে। খাদ্য অপচয় বলতে আমরা মূলত খাবার নষ্ট করাকেই বুঝে থাকি। দিন দিন খাদ্য অপচয় করা যেনো একধরণের ট্রেন্ড হয়ে যাচ্ছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু খাদ্য অপচয় করেই চলেছেন। খাদ্য অপচয় এর ট্রেন্ড গুলো মূলত আর্থিকভাবে যারা স্বচ্ছল, তাদের মাঝেই এর প্রবণতা বেশি দেখায় যায়।

দিন যত যাচ্ছে, এটা যেনো তাদের কাছে ফ্যাশনে পরিণত হচ্ছে। যে যত পাড়ছে খাদ্য অপচয় করেই যাচ্ছে। কেউ যেনো তাদেরকে থামাতে পারবে এমন একটা মনোভাব তাদের মাঝে কাজ করতেছে। যখন এই অপচয় গুলো মাত্রার থেকেও অতিরিক্ত হয়ে যায়, তখন এর পরিণতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করে।

এক তথ্য হতে জানা যায়ঃ-

বিশ্ব পর্যায়ে উৎপাদিত খাদ্যের এক-তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেক পরিমাণ অপচয় বা নষ্ট হয়। নিম্ন-আয়ের দেশগুলিতে বেশিরভাগ অপচয় উৎপাদন পর্যায়ে ঘটে। অন্যদিকে উন্নত দেশগুলিতে ভোক্তা পর্যায়ে, প্রতি বছর জনপ্রতি প্রায় ১০০ কিলোগ্রাম হারে খাদ্যের অপচয় ঘটে।

উৎস উইকিপিডিয়া

আমি এই তথ্যমতে বলতে পারি, এই ভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আজকে ৫০ বছর বা ৭০ বছর পর চরম পর্যায়ে খাদ্য সংকট দেখা দিবে। খাদ্য সংকট কি তা হয়তো আমরা এখনো বুঝতে পারছি না, যদিওবা ফিলিস্তানি, সিরিয়ার বাচ্চাগুলোর দিকে তাকালেই বুঝা যাবে খাদ্য সংকট কাকে বলে। জীবনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে অর্থ উপার্জন করে ভালো কিছু খাবার গ্রহণ করা। যদি মানুষের খাদ্য চাহিদা না থাকতো তাহলে মানুষের এত পরিশ্রম, এত দৌড়-ঝাপ কিছুই থাকতো না। কিন্তু এমনটা একটা সময় আসবে যখন অর্থের বিনিময়েও খাদ্য পাওয়া যাবে না। যেই দিন আর বেশি দূরে নেই।

muhammadtaha-ibrahim-ma-aji-JXdTGEGoitE-unsplash.jpg

Photo by Muhammadtaha Ibrahim Ma'aji on Unsplash

যেখানে সারা বিশ্বে একতৃতীয়াংশ বা অর্ধেকের ও বেশি খাদ্য অপচয় হচ্ছে, সেখানেই এই সংকট অবধারিত। বর্তমানে করোনা যেমন মহামারী রুপ ধারণ করেছে, তাঁর থেকে খাদ্য সংকট আরো বেশি মহামারীর আঁকার ধারণ করবে। এর কারণ হচ্ছে, ফসলি জমি ভরাট করে বড় বড় কন্সট্রাকশন এর কাজের ফলে ফসলি জমি নষ্ট। একই জমিতে বার বার ফসল ফলানোর ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে কাঙ্খিত মানের ফসল পাওয়া যায় না। দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে পৃথিবীতে জনসংখ্য বেড়েই চলেছে। কিন্তু সেই অনুপাতে ফসলি জমি বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

যার কারণে, খাদ্য চাহিদার তুলনায় খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রব্যের মূল্য। কিছু দিন আগে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে, বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটার কারণে পেঁয়াজের বাজার মূল্য কতটা বৃদ্ধি পেয়েছিলো। বাজারে যখন কোনো কিছুর উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি হয় তখন এর বাজার মূল্য বহুগুনে বৃদ্ধি পায় এবং তখন এর দাম গরিবদুঃখী মানুষের নাগালের বাহিরে চলে যায়, যার কারণে তারা সেই সব পণ্য কেনার আর সার্মথ্য রাখে না। তাই, এর থেকে আমাদের বুঝে নিতে হবে, কতটা দায়িত্ববান হতে হবে আমাদের সবাইকে।

সব থেকে বেশি খাদ্য অপচয় হয়ে বড় বড় অনুষ্ঠানে, হোটেল, রেস্তোরায়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্য ব্যবস্থা। যেটা প্রত্যক্ষ করেছি আমাদের বিয়ের এই ছোট্ট অনুষ্ঠানে। এই ছোট্ট অনুষ্ঠানে যে পরিমাণ খাবার অপচয় হয়েছে। সেটাকে যদি রোধ করা সম্ভব হতো তাহলে সেই পরিমাণ খাবার দিয়ে আরো ৫০ জনকে অনায়েসে খাওয়ানো যেতো।

আমি এই বিষয়টি থেকেই মূলত অনুধাবণ করতে পেরেছি, বিশ্বের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান থেকে কি পরিমাণ খাদ্য অপচয় হয়। যেটা আমাদের কল্পনার ও বাহিরে।

sri-lanka-KSa66AYiqnk-unsplash.jpg

Photo by Sri Lanka on Unsplash

খাদ্য অপচয় রোধ করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অযাচিতভাবে খাদ্য অপচয় রোধ করার জন্য পরিমাণ মতো খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। চোখ দিয়ে দেখলাম ইশশ আমি মনে হয়ে সবগুলোই খেতে পারবো, এই কথা ভেবে বেশি পরিমাণে খাবার নিয়ে, মাত্র ১/৪ খেয়ে বাকিটা খেতে না পারলে নষ্ট করার প্রবণতা ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। কোনো অনুষ্ঠানের পর অতিরিক্ত খাবার গরিব দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে, এতে করে খাদ্য অপচয় রোধ হবে এবং তাদের সাথে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে উঠবে।



আশা করি, আমার এই ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।



Untitled-1s.jpg

আমার সম্পর্কে কিছু কথাঃ-


আমি মোঃ আবু হেনা সরকার। আর আমার ডাক নাম সাগর। আমি একজন স্বাধীন চেতনাময়ী ছেলে। যে সবসময় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেই। আমি লিখতে, পড়তে, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, বিশ্লেষন এবং কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ভীষণ আগ্রহী ও ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। সবার সাথে মিশতে আমার অনেক ভালো লাগে।

sagor bordar.png

আমার সাথে যোগাযোগ করুনঃ-

ফেসবুক | টুইটার | ডিস্কোর্ড | ইউটিউব

sagor bordar.png

Amar Bangla Blog.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমরা অনেক খাদ্যের অপচয় করে ফেলি। যা মোটেও ঠিক না। আপনি একটা সুন্দর বিষয়ে পোস্ট করেছেন। বর্তমান সময়ে আমাদের সবার জন্য এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

জি ভাই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ♥️
আমাদের সবার আসলে খাবার অপচয় রোধ করা উচিত 🙏

গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।