পাট থেকে আশ ছাড়ানোর প্রক্রিয়া by @sagor7262 || 9 august 2024 ||

in hive-129948 •  5 months ago 

আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আসলে কতটা সুন্দর কেউ না থাকলে বুঝতে পারবে না। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি জিনিস শেয়ার করব সেটা হলো পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর প্রক্রিয়া।

১. প্রথমত পাট কাটার মত হয়ে গেলে সেগুলো কেটে একটি পুকুর ,নদী ,খাল,বিল ,হাওড়, বাওড় যেখানে পানি আছে পাট পচানোর মত একটি জায়গায় নিয়ে আসা হয়।

1000029957.jpg

২. তারপর পাট জাগ দেওয়ার জন্য এভাবে একসাথে করে পানির ভিতরে রাখা হয়। এভাবে একসাথে রাখার নাম হল পাট জাগ দেওয়া।

1000029958.jpg

৩. তারপর পাটের উপরে কিছু কাঁদা পট এবং ভারী কিছু জিনিস উপরে দেওয়া হয় যেন পাট গুলো পানির ভিতরে তলিয়ে থাকে এবং কিছুদিন পর সেগুলো পচে যায়।

1000029963.jpg

৪. তারপর পাট গুলো যখন পচে যায় আশ গুলো ছাড়ানোর মত হয়ে যাবে তখন সেগুলো ডাঙ্গায় নিয়ে আসার পর পাট থেকে আশ গুলো আলাদা করে নেওয়া হয়।

1000029960.jpg

৫. তারপর পাটের আশ গুলি পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে আলাদা করে রেখে দেওয়া হয়। যেটির নাম সোনালী আঁশ।

1000029959.jpg

৬. পাট থেকে যে পাটখড়ি বের হয় সেটি আলাদা করে রোদে শুকাতে দিতে হয়।

1000029962.jpg

এভাবে পাট থেকে সোনালী আঁশ আলাদা করতে হয়। এবং সোনালী আঁশ রোদে শুকিয়ে সেগুলো বাজারে বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করা যায় যা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কাজে লাগে । সুতা তৈরির কাজে লাগে ,ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে এছাড়াও গার্মেন্টসে পোশাক তৈরির কাজে লাগে এবং সেগুলো বাইরের দেশে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হয় এবং পাটকে আমাদের শিল্পের একটি অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।

পাট থেকে যে পাটখড়ি বের হয় সেগুলো বিভিন্ন কাজে লাগানো হয় যেমন মাঠে পানের বরজ করা হয়, বিভিন্ন কাঁচা সবজির মাচা তৈরি করা হয় এছাড়াও রান্নার আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

( ফোনের মডেল: realme 10
লোকেশন: কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদাহ )

ধন্যবাদ সবাইকে
@sagor7262

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আমাদের দেশে পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। এই পার্ট আমরা বিদেশে রপ্তানি করে বহুত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। যা আমাদের অর্থনৈতিক খাতকে সমৃদ্ধশীল করে তোলে।

আসলেই সোনালী আশ রপ্তানি করে আমাদের দেশকে অনেক সমৃদ্ধিশীল করা যায় কিন্তু কৃষকরা সোনালী আঁশের ন্যায্য মূল্যটা পায়না।