প্রথমেই সবাইকে জানাই সালাম,আদাব। সৃষ্টিকর্তার রহমতে আশা করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছি।
❤️ সবার জন্য অবিরাম ভালোবাসা ❤️
আজকে আমি হাজির হয়েছি একটি লিখা নিয়ে।
লিখতে ভালা লাগোটা আমার বহুদিন এর। কেও যদি জিজ্ঞেস করে তোমার লিখার কারণ কি?
তাহলে আমার একটাই উত্তর আসবে তা হলো জানিনা।
তাহলে আজকের লিখাটা শুরু করি।
আজকের লিখার বিষয় হলো " মায়ের মমতা কোথায় হারালো? "।
★★"মায়ের মমতা"★★
- মমতা কী?,
মন থেকে কারো জন্য যে ভালোবাসা আসে। সেটাকে আমরা সাধারণ ভাষায় মমতা বলতে পারি। হয়তো মমতার আভিধানিক ভাষা অন্য কিছু হবে।
কিংবা,
আরো অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে হবে। কিন্তু আমার কাছে মমতা মানে ভালোবাসার অপর একটি নাম, অপর একটি রূপ।
কিন্তু সেই ভালবাসাই।
মায়ের মমতা জিনিসটা একদম আলাদা।
আমরা যদি বুঝার চেষ্টা করি,
কিংবা
আমরা যদি বিষয়গুলোকে ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারি। তাহলে দেখব পৃথিবীতে মায়ের চেয়ে বেশি আমাদেরকে কেউ ভালোবাসবে না।
যদি কোন সন্তানের জীবনে পিতা-মাতার প্রশ্ন উঠে তাহলে সেও প্রথমে মাকেই বেছে নেয়।
কারণ মা তার সন্তানকে কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করে।
এবং,
তাকে পৃথিবীর মুখ দেখায়।
অনেক সন্তানকে পৃথিবীর মুখ দেখাতে গিয়ে অনেক মা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দেয় সন্তানদের জীবনের পিছনে।
সেই কারণেই মা আমাদের অত্যন্ত আপন,
এবং,
মমতার প্রথম দিকে থাকে।
আমাদের মাকে আমরা সকলেই ভালোবাসি।
কিন্তু মা আমাদের যতটা ভালোবাসে, আমরা হয়তো কোনদিন চাইলেও সেই ভাবে ভালোবাসতে পারবো না।
★★"ভালোবাসায় স্বার্থ আছে না স্বার্থহীন"★★
- ভালোবাসায় স্বার্থ,
সকলেই বলে ভালোবাসা স্বার্থহীন।
কিন্তু আমার কাছে মনে হয় ভালোবাসা কোনদিনও সম্পূর্ণভাবে নিঃস্বার্থ হতে পারে না। আমাদের সকলের জীবনের প্রতিটি কাজেই আমরা স্বার্থ খুঁজি। এবং স্বার্থ না পেলে আমরা সেই কাজ, সেই মানুষ থেকেও দূরে সরে আসি।
আমাদের জীবনে বেশিরভাগ আমরা ওই মানুষগুলোকে সাহায্য করার চেষ্টা করি,
বা,
ওই মানুষগুলোকেই ভালোবাসার চেষ্টা করি।
যাদের কাছে থাকলে,
যাদের কোন কিছু করলে আমাদের স্বার্থ থাকবে। এমনকি অনেক মা-বাবা ও ছেলেমেয়েদের বড় করে শুধুমাত্র স্বার্থের কারণে।
অর্থাৎ একদিন তাদেরকে শেষ জীবনে দেখবে।
সে সব স্বার্থের কারণে ছেলেমেয়েকে বড় করে।
কিন্তু সব বাবা-মা না।
যদি আমি শতভাগ এর মধ্যে বলি তাহলে এক ভাগ বাবা-মা হয়তো এমন হতে পারে।
কিন্তু আমরা তাদের নিয়ে কথা বলবো না।
আমরা অন্য বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবো,
অর্থাৎ ভালবাসায় স্বার্থ দেখে কিনা।
সব ভালবাসায় স্বার্থ না থাকলেও আমি অবশ্যই বলব যে কিছু ভালবাসায় স্বার্থ অবশ্যই আছে।
এবং,
বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই ভালবাসার স্বার্থটা আরো বেশি করে ঢুকে গিয়েছে। কারণ আমরা মানুষ আজকাল স্বার্থ ছাড়া এক পাও দি না, সেখানে ভালোবাসা তো অনেক দূরের কথা।
- ভালোবাসায় নিঃস্বার্থতা,
আমি উপরে বলেছি ভালোবাসায় স্বার্থ খোঁজে।
কিন্তু কোনদিন সব ভালোবাসা স্বার্থ খুঁজে না।
কিছু ভালোবাসা থাকে যে শুধুমাত্র ভালোবাসার কারণে সবকিছু করে। কোনদিনও সেই ভালবাসার বদলে কিছু পাবে কিনা কিংবা তার কোনো লাভ হবে কি না সেসব কেউ দেখেনা।
অনেকেই দেখেনা, কেও দেখেনা বললে ভুল হবে।
ভালোবাসা অনেক ধরণের হয়।কিছু ভালোবাসা হয় একদম নিঃস্বার্থ,সেসব ভালোবাসায় কোনো চাওয়া থাকেনা,সেসব ভালোবাসায় কোনো পাওয়া থাকেনা।
আমি মনে করি ভালোবাসা সেইরকম ই হওয়া উচিত।
ভালোবাসায় স্বার্থ থাকা উচিত না। |
---|
★★"মায়ের ভালোবাসা"★★
- মা সন্তানকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসে,
মা এক অমূল্য ধন।যেই ধন হারিয়ে গেলে জীবনের খুব বড় একটা ভাগ হারিয়ে যায়।আমাদের জীবনে মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। কেউ কোনদিন অস্বীকার করতে পারবে না যে সে তার মাকে ছাড়া ভালো আছে। হয়তো লাখে কিংবা কোটিতে এমন অনেক ঘটনা ঘটে থাকে। যে ঘটনাগুলো আমরা দেখি যে সন্তানের ক্ষতি করেছে একজন মা। কিন্তু এত কম কিছু সংখ্যা নিয়ে তো আমরা আমাদের সমগ্র জাতি টাকে বিবেচনা করতে পারিনা। আমরা আমাদের জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দি মাকে।একটা সময় এ হয়তো আমাদের বয়স অনেক বেশি হয়ে গেলে তখন আমরা আর সেই ভাবে গুরুত্ব দিই না। কিন্তু অন্তত আমরা এটা অস্বীকার করতে পারব না, যে মা আমাদের ভালবাসেনি। মা সব সময় নিজের সন্তানকে কোন স্বার্থ ছাড়াই ভালোবেসেছে। সেই গর্ভে আসার থেকে দুনিয়ার আলো দেখা পর্যন্ত মা আমাদের জন্য খুব কষ্ট করেছে। এরপরের যুদ্ধটা শুরু হয় দুনিয়ায় আসার পরে। কারন একটা সন্তান যখন প্রথম দুনিয়াতে আসে তখন সে কিছুই বলতে পারেনা। প্রতিটা বিষয় মা নিজে থেকে বুঝে নিয়ে সন্তানটাকে বাঁচিয়ে রাখে এবং বড় করে। সেই থেকে বলব মা সন্তানকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসে।
কিন্তু আজকের একটি ঘটনা পড়ে আমার কাছে কেমন যেন মনে হলো।
★★"সন্তান বাক্সবন্দী!!"★★
- মা সন্তানকে ফেলে দিয়েছে:-,
সেই মমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এই ঘটনাটা। |
---|
সকলকে জানাই আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
নিজেদের মূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমার পাশে থাকবেন।
পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মধ্যে মা এবং সন্তানের ভালবাসাটা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। মা সন্তানকে নিস্বার্থভাবে ভালবেসে যায় এই ভালোবাসাটা সত্যি অনেক অদ্ভুত। এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কারণেই হয়তো পৃথিবীটা এখনো টিকে আছে যাই হোক আপনার এই পোস্টটা পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো । আপনার পোষ্টটি পড়ে ভালোবাসার আসল মুল্য বুঝতে পারলাম ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ❤️❤️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একজন মানুষ সেটা হচ্ছে মা। এবং স্বার্থ ছাড়া সন্তানদেরকে ভালোবেসে থাকেন । নিজে কষ্ট পেলেও সন্তানদেরকে কষ্ট পেতে দেয় ন। আমার মনে হয় সবচেয়ে মধুর ডাক হচ্ছে মা।মায়ের মত আপন কেউ নাই। আপনার লিখা পরে মায়ের কথা মনে পরে গেলো।ভালো একটি কনটেন্ট লিখোছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি একদম ঠিক কথা বলছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মায়ের মত আপন পৃথিবীতে আসলে কেউই নাই। আর মায়ের ভালোবাসা কারো সাথে তুলনা করা সম্ভব না। আর মায়ের ভালোবাসার তো কোন মেজারমেন্ট বা পরিমাপ যোগ্য নয়। গতকাল গিয়েছে কথা কথিত ভালোবাসা দিবস। আসলে ভালোবাসা দিবস শুধু কোন মেয়েকে কেন্দ্রক বা কোন প্রেমিকা কেন্দ্রক নয়। বরং আমি মনে করি মাকে ভালোবাসাই প্রকৃত ভালোবাসা বর্তমান যুগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার উপরের কথাগুলো অনেক ভালো লেগেছে কিন্তু শেষের দিকে নিউজের ঘটনাটা শুনে আসলেই ব্যথিত হলাম। তবে এমনটাই ঘটছে আজকাল প্রতিনিয়ত । যাইহোক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম ভাই আপনি একদম ঠিক কথা বলছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময়োপযোগী একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে সময় আর যুগ অনেক পরিবর্তন এসেছে। ভাবতেই অবাক লাগে মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। কিছু শেয়াল কুকুর কিছু জীবন্ত মাংস কুন্ড ফেলে যাচ্ছে যেখানে নুন্যতম বোধশক্তি কারোর নেই। ভাই অসম্ভব বোঝার একটা পোস্ট ছিলো। আরো একটা কথা বলি ভাই সেটা হলো ভালোবাসা সত্যিই নিঃস্বার্থ আর নেই। দোয়া করি এগিয়ে যান ✨
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাই আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া,আপনার পোস্ট গুলো কয়েকবার পড়েছি।আমার খুবই ভালো লাগে আপনার লেখাগুলো পড়লে। আপনি বাস্তবসম্মত বিষয়গুলো নিয়ে খুব সুন্দরভাবে পোষ্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন।হ্যাঁ ভাইয়া, মায়ের ভালোবাসার মতো আর অন্য কোন ভালোবাসা নেই।আর এখনের ভালোবাসা হচ্ছে স্বার্থ স্বার্থের জন্য একজন আরেকজনকে ভালোবাসে। স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে ভালোবাসা কোথায় যেন হারিয়ে যায়।অনেক বাবা-মা আছে স্বার্থের জন্য সন্তানদের বড় করে কারণ একসময় এই ছেলে মেয়ের বাবা-মাকে দেখবে।তবে এই বিষয়টা আমিও বলতে চাই না।কারণ সব বাবা-মা এক হয়না, মায়ের ভালোবাসা তো অপরিসীম নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা সন্তানকে জন্ম দেয়।আবার অনেক মা আছে সন্তানকে জন্ম দিতে গিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়।এটাই মায়ের মহৎ গুণ ।ভাইয়া, আপনি যে নিউজের কথা বলছেন সেই নিউজ আমিও পড়েছি। নিউজটা পড়ে সত্যিই আমার খুব খারাপ লেগেছে।একটা মা কিভাবে সন্তানদের বাক্স করে ফেলে দিয়ে গেছে। জি ভাইয়া, ক্ষনিকের আনন্দের জন্য এই নিষ্পাপ শিশু গুলো পৃথিবীতে আসা এবং নিষ্পাপ শিশু গুলোকে মমতাময়ী মা নিজের হাতেই খুন করেছে। যাইহোক ভাইয়া, পোষ্টটি পড়ে আমার সত্যি অনেক ভালো লেগেছে।এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি নিয়মিত আমার পোস্ট পড়েন তা আমি জানি। আপনি অনেক মনোযোগ সহকারে আমার এই পোস্টটি পড়েছেন আমি আপনার মন্তব্য দেখেই বুঝে গিয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit