হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি, আপনাদের গল্পটি ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
আমাদের জীবনসঙ্গী থাকাটা খুবই দরকার কারণ শেষ বয়সে এই জীবনসঙ্গী একমাত্র সম্বল নিজের ছেলে মেয়ে তখন থাকে না। যাই হোক এই বিষয়টি নিয়েই আজকের গল্পটি সাজিয়েছি।গল্পের শুরুতেই এই গল্পের চরিত্রে নায়কের নাম কুন্তল এবং নায়িকার নাম প্রিয়াঙ্কা দিয়ে দিলাম। কুন্তল এবং প্রিয়াঙ্কার দুজনে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতো। তারা দুজন দুজনকে খুবই ভালোবাসতো আর এই ভালোবাসার সম্পর্কটা একে অপরকে সারা জীবনের বন্ধনে আবদ্ধ করলো। বিবাহিত জীবনে প্রিয়াঙ্কা পা দিতেই সে চাকরিটা ছেড়ে দেয়। কারণ একটাই ছিল কুন্তলের পরিবারে কুন্তলের মা-বাবা দুজনেই বৃদ্ধ ছিল তাদের দুজনকে সব সময় খেয়াল রাখতে হত। কুন্তল তার মা-বাবাকে দেখাশোনা করার জন্য একটি লোক রেখে দেয় কিন্তু সে লোকটি সঠিকভাবে তার মা-বাবাকে দেখাশোনা করতো না এটি প্রিয়াঙ্কা দেখতে পায়। এটি দেখার পর সে নিজেকে অপরাধী ভাবতে শুরু করে কারণ নিজেদের সুখের জন্য সে চাকরি করতো কিন্তু শেষ বয়সে মা বাবার জন্য সে কি করতে পারছে শুধুই তাদের প্রতি অবহেলা। যাইহোক এটি বুঝতে পেরেই প্রিয়াঙ্কা চাকরিটা ছেড়ে দেয়।
প্রিয়াঙ্কা বিয়ের আগে কখনো রান্না করে খাইনি কিন্তু বিবাহের পর সে এখন রান্না করে। শুধু রান্না নয় সংসারে যাবতীয় কাজ কাম সে নিজের হাতেই করে থাকে সময় মত তার শশুর শাশুড়িকে সেবা করে। একটা সময় তার শশুর শাশুড়ি তাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালবাসতে শুরু করে। কুন্তল প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করার কিছুদিন পরেই তার প্রমোশন হয়। এখন সে ভাল মোটা অংকের বেতন কোম্পানি থেকে পায়। সে নিজেকে খুব লাকি মানুষ মনে করে।কারণ একটাই সে মনে করে যে প্রিয়াঙ্কা তার ঘরের লক্ষী। প্রমোশনের বেতন দিয়ে কুন্তল প্রিয়াঙ্কার জন্য একটি শাড়ি একটি হীরার আংটি গিফট করে। আর এই গিফট ছিল কুন্তলের দুঃখের কারণ। যখন কুন্তল গিফট করেছিল তখন প্রিয়াঙ্কা জিজ্ঞাসা করে যে তার মা-বাবার জন্য কিছু এনেছে কিনা।কিন্তু উত্তরে কুন্তল বলে সে কিছুই আনেনি তখন প্রচন্ড রেগে যে প্রিয়াঙ্কা সবকিছু ছুঁড়ে ফেলে দেয় মাটিতে।
কুন্তল এটি দেখে সে খুব কষ্ট পায়। সে বলতে থাকে আমি তোমার জন্য এই সবগুলো জিনিস কিনে এনেছি আজ তুমি আমার চোখের সামনে এগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিলে? উত্তরে প্রিয়াঙ্কা বলল আমি তো এসব কিছু চাইনি আমি তোমার দেওয়া গিফট নিতাম আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি। তুমি একটু ভেবে দেখো আজ তুমি যতটা না কষ্ট পাচ্ছ আমার এই ব্যবহারে এর থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে তোমার মা-বাবা। সারাটা জীবন তারা কষ্ট করে তোমাকে মানুষ করেছে আর তুমি প্রমোশনের বেতনের টাকা দিয়ে তাদের জন্য তুমি কিছু যদি আনতে তাহলে সেটি আমার ভালো লাগতো। কিন্তু তুমি এটা করনি, তাই আজ বাধ্য হয়ে এই কাজ করেছি। যেদিন তুমি মা-বাবার জন্য কিছু আনবে সেদিনই আমি তোমার দেওয়া গিফট গ্রহণ করব তার আগে নয়। পরের দিন কুন্তল আবারো মার্কেটে যে তার মা বাবার জন্য শাড়ি,কাপড়, পাঞ্জাবি,পায়জামা কিনে এনে তার মা বাবাকে গিফট করে আর তখনই কুন্তলের দেওয়া গিফট প্রিয়াঙ্কা গ্রহণ করে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবনসঙ্গী গল্পটার প্রথম পর্ব পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই গল্পটার প্রথম পর্ব লিখেছেন আজকে। প্রিয়াঙ্কা তার শ্বশুর-শাশুড়ির উপরে অনেক বেশি যত্নশীল এটা বুঝতে পেরেছি। তাইতো কুন্তল প্রিয়াঙ্কার জন্য গিফট আনার কারণে সে সেগুলো ফেলে দিয়েছিল। আর যখন শশুর শাশুড়ির জন্য এনেছিল তখন খুব ভালো লেগেছিল এবং সে সেই গিফট গ্রহণ করেছিল। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ দাদা সময় করে আমার পোস্টটি দেখার জন্য আমার খুব শীঘ্রই নতুন পর্ব নিয়ে হাজির হব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এরকম গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে গল্প গুলোর মধ্যে নতুন নতুন রূপ থাকে আর সেগুলো পড়লে পারলে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। আজকে আপনি জীবন সঙ্গী গল্পটার প্রথম পর্ব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে লিখেছেন। প্রিয়াঙ্কা কিন্তু তার শ্বশুর-শাশুড়িকে অনেক ভালোবাসে এবং কি তাদের সেবা-যত্ন করার জন্য নিজের চাকরিটাও ছেড়ে দিয়েছে। আসলে তার হাজব্যান্ড নিজের বাবা-মায়ের জন্য কিছু না কিনে প্রিয়াঙ্কার জন্য কিনেছিল শুধুমাত্র, যার কারণে প্রিয়াঙ্কার রাগ হয়েছিল। পরবর্তীতে তার হাজবেন্ড বাবা-মায়ের জন্য গিফট এনেছিল এটা জেনে আমার কাছে ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে কি হয় সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ দিদি সময় করে আমার পোস্টটি দেখার জন্য আর খুব শীঘ্রই গল্পের অন্য একটি পর্ব নিয়ে হাজির হব সবার মাঝে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রিয়াংকার মতো এমন বউ ঘরে ঘরে থাকলে শান্তিতে ভরে যেত প্রতিটি ঘর। তবে বেশিরভাগ সংসারে উল্টো চিত্র দেখা যায়। বউ শ্বাশুড়ির মিল খুব কমই হয়। তবে কুন্তল এবং তার পরিবার খুবই লাকি প্রিয়াংকাকে পেয়ে। পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো আর কি কি হলো। যাইহোক গল্পটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit