শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণ পর্ব: ১

in hive-129948 •  13 days ago  (edited)

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে পৌষ মেলা ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



পৌষ মেলা ভ্রমণে গিয়েছিলাম আমি আর দীপ্র দাদা। বেশ কিছুদিন আগে দাদা আমাকে বলেছিল যে পৌষ মেলায় ঘুরতে যাওয়ার কথা। আমিও দাদার কথায় রাজি হয়ে যাই। রাজি হওয়ার পর দাদা আমাকে বলল যে বাইকে করে যেতে হবে। আমি কোন কথা না ভেবে দাদাকে বললাম সে তো খুব ভালো কথা। বাইকে ভ্রমন করাটাও হয়ে যাবে আর পৌষ মেলাও দেখা হয়ে যাবে এক কাজে দুই কাজ হবে। পৌষ মেলায় গেলে নানান ধরনের পিঠা দেখা যায় এবং খাওয়া যায়। গ্রামে পৌষ মাসের লাস্ট দিন মা ,দিদারা, কাকিমা সবাই বাড়িতে নানান ধরনের পিঠা বানাতো। পৌষ মাসের এই লাস্ট দিন সবার বাড়িতে পিঠা তৈরি করতো। আমার এখনো মনে পড়ে আমি এই দিনে রাতে নিজের বাড়ি পিঠা খাওয়া বাদ দিয়ে আমি গ্রামে সবার বাড়িতে পিঠা খেয়ে বেড়াতাম। আমার তেল পিঠা খুব পছন্দ মা যখন তেল পিঠা তৈরি করত আমি মায়ের কাছে বসে গরম গরম তেল পিঠা খেতাম খুবই মিস করি সেই সময়টা।


যাইহোক, আমাদের যাওয়ার দিন ছিল মঙ্গলবার। আর মঙ্গলবার সব থেকে সমস্যা হল আমি সেদিন নিরামিষ আহার কোরি। সেদিন মুখে আমি কোন আমিষ জাতীয় খাবার দেই না। তার জন্য সেদিন আমার পক্ষে খুবই কষ্টকর ছিল কিন্তু কি করার যেহেতু ডেট দেওয়া হয়েছে ডেট পরিবর্তন করা যাবে না। আমরা যেখানে যাব সেখানে বাইকে যেতে গেলে প্রায় চার ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। তাই আমরা চিন্তা করলাম ওখান পৌঁছে আবার আমরা ফিরতে গেলে অনেকটা রাত হয়ে যাবে। আর ভালো করে ঘুরতেও পারবো না। তাই ওখানে একটা হোটেল আমরা বুক করলাম। দাদা বললো ভোর চারটের সময় আমরা বের হব।তাই আমি সোমবার রাতে কিছু জামা কাপড় গুছিয়ে নিলাম। আমার সাথে একটা জিনিস সবসময় হয়ে থাকে। সেটি হল কোথাও যাবার কথা থাকলে আমি আগের রাতে ঘুমাতে পারি না কেন জানিনা। এটা আপনাদের সাথে হয় কিনা আমি জানিনা কিন্তু আমার সঙ্গে প্রায়ই এমনটাই হয়ে থাকে। সেদিনও তাই হয়েছিল সোমবার রাতে আবার ঘুম হয়নি যেহেতু ভোর চারটের সময় আমরা রওনা করবো। রাতটা ফোনে মুভি দেখেই কাটিয়ে দিলাম। রাত সাড়ে তিনটার সময় দাদাকে ফোন করলাম। দাদা বললো সে রেডি হচ্ছে আমিও বললাম আমি রেডি হয়ে বের হচ্ছি।


যাবার আগে ব্যাগটা আবারো চেক করলাম কারণ অনেক দূরে যাচ্ছি বিপদে পড়লে প্রবলেম হতে পারে। আপনারাও কোথাও যেতে হলে ভালোভাবে সবকিছু দেখে শুনে নিবেন যাতে পরবর্তীতে বাইরে গেলে কোন প্রবলেম না হয়।দাদার আসতে আসতে ০৪:২৫ মিনিট বেজে গেল। বাসার কাছে এসে দাদা বাইকে হন দিতেই আমি বুঝলাম যে দাদা চলে এসেছে। তাই আমি দেরি না করে ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে রুমে দরজা দিয়ে বের হলাম। বাইকে ওঠার আগে হেলমেটটা ভালোভাবে পড়ে নিলাম। একটা জিনিস সবসময় মনে রাখা উচিত বাইক চালানোর আগে হেলমেট কেনা উচিত। বেশিরভাগ সবাই নরমাল হেলমেট ব্যবহার করে থাকে কিন্তু আমি বলব ভালো মানের একটু দাম দিয়ে হেলমেট কেনা উচিত। যাই হোক, দীপ্রদা রাইট করছিল আমি পিছে বসেছিলাম। আমরা ০৪:৪৫ মিনিটে গাড়ি ছাড়ি। রাস্তা তেমন একটা জ্যাম ছিল না কারণ রাতের ট্রাফিকের কোন ঝামেলা থাকে না। আমার এই প্রথম বাইকে এতদূর পর্যন্ত রাইট ছিল তার জন্য আমার খুবই ভালো লাগছিল আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। ভোরের আবহাওয়াটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করছিলাম। কিন্তু প্রবলেম হচ্ছিল একটাই যেহেতু বাইকে যাচ্ছি আর বাইকে গেলে প্রচুর হাওয়া লাগে। গরম পোশাক পরা ছিল কিন্তু তারপরও শীত করছিল।
IMG20241224043406.jpg

IMG20241224054416.jpg

IMG20241224054402.jpg

IMG20241224054350.jpg

IMG20241224060001.jpg

ক্যামেরা পরিচিতি: OPPO
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরার দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:২৪.১২.২০২৪
সময়:০৫.১০মিনিট
স্থান: কলকাতা

আজ ভ্রমণ পর্বটি এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শীতকালে ভোরবেলা কিংবা সন্ধ্যার পর বাইকে চড়লে বেশ ঠান্ডা লাগে। আপনারা দু'জন তো দেখছি লং জার্নি করে পৌষ মেলায় গিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে সবকিছু চেক করে নিয়ে গিয়েছেন,এটা খুব ভালো হয়েছে। দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে সবকিছু চেক করে নেওয়াটাই উত্তম। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।