হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে দাদা দিদির বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সুন্দর মুহূর্ত গুলো উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
দাদা দিদির বিবাহ বার্ষিকী অনুষ্ঠানের সেদিনের দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ সেদিন অনেক আনন্দ করেছি অনেক ধরনের খাবার খেয়েছি। আর সবাই মিলে একসঙ্গে আড্ডা দিতে পেরেছি। এটা ছিল সবথেকে সেদিনের বড় পাওয়া। আমি দাদা বলতে বুঝিয়েছি আমাদের কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা বড় দাদার কথা। হাসি, কষ্ট,আনন্দ এর মধ্য দিয়ে দেখতে দেখতে কেটে গেল আরও একটি বছর। দাদা দিদির বিবাহ বার্ষিকী ছিল চার ডিসেম্বর। প্রতিবছর এই দিনটা খুব জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়। এ বছরও তার কমতি ছিল না। সকাল থেকেই সবাই ব্যস্ততার মধ্যে কাটাতে শুরু করে। সব থেকে বেশি কষ্ট সেদিন হয়েছিল ছোট দাদার এবং ছোট দিদির। কারণ পুরো ম্যানেজমেন্ট তারাই করেছিল। বারবিকিউতে অনুষ্ঠানটি করা হয়েছিল। রেস্টুরেন্টে আলাদাভাবেই আমাদের একটি জায়গা করে দেওয়া হয়েছিল সেখানেই সাজিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছিল।
যাই হোক ছোট দাদা আমাদের জানায় সাড়ে সাতটার দিকে সবাই রেডি হয়ে থাকবে। শীতের বেলাতে সূর্যাস্ত পাঁচটার দিকেই হয়ে যায়। চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসে ছয়টা বাঁচতে বাঁচাতে মনে হয় অনেক রাত হয়ে গিয়েছে। যাইহোক ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম সাতটা বাঁচতে চলেছে। তাই দেরি না করে দ্রুত ফ্রেস হয়ে তৈরি হয়ে নিলাম। দাদারা গাড়িতে গিয়েছিল আর আমি আর নিলয় দাদা বিবাহ বার্ষিকীর কেক নিয়ে বাইকে গিয়েছিলাম। কেকটি অনেক বড় ছিল ওজন ছিল দু কেজির মত। যাইহোক গাড়ি পার্কিং করিয়ে আমরা বারবিকিউতে প্রবেশ করলাম। দেখতে পেলাম আগে থেকেই জায়গাটি নির্ধারণ করা রয়েছে আমাদের সেখানে যে কেকটি রেখে দেওয়া হল। আগেও একটিবার এই বারবিকিউ তে আসা হয়েছে দারুন ইনজয় করেছিলাম। খাবার দেখেই খেতে ইচ্ছা করছিল কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত দাদা দিদি কেক না কাটবে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই খাওয়া ঠিক হবে না। একটু পরেই দাদা দিদি, তারা দুজনে একসঙ্গে কেক কাটার প্রস্তুতি নিল। আর এখানে স্টপ গুলো এসে হাতে তালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো দাদা দিদিকে এবং কি এখানে যারা খেতে এসেছিল তারাও শুভেচ্ছা জানিয়েছিল। যেটা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। কেক কাটার পর দাদা এবং দিদি খাইয়ে দিল। এরপর আমরা সবাই দাদা দিদিকে কেক খাইয়ে দিলাম।
কেক কাটার পর্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা খাবার খাওয়ার জন্য একে একে যার যার সিটে বসে পড়লাম। এরপরে আমাদের সামনে খাবার গুলো আসতে শুরু করলাম। অনেকগুলো আইটেম ছিল যেগুলোর অর্ধেক আইটেমগুলোর নাম আমি ভালোভাবে জানিনা। খাবারগুলো খেতে দুর্দান্ত লাগছিল। যে যার মতন খাওয়া দাওয়া করছিল কারণ এখানে খাওয়ার কোন লিমিট ছিল না। তাই সবার যে খাবারটা পছন্দ হচ্ছিল সেটাই খাচ্ছিল। চিকেন টিক্কা, ফিস ফ্রাই, শিক কাবাব, চিকেন রোল, ইত্যাদি এসব খাওয়ার পর আমার তো আর মেইন কোর্স খেতেই ইচ্ছা করছিল না। দাদা যখন সবাইকে বলল চলো সবাই মেইন কোর্স খাওয়া যাক। দাদা প্রথমে শুরু করল তারপর একে একে আমরা সবাই যার যার মতন পছন্দের খাবার প্লেটে নিয়ে বসে খেতে শুরু করলাম। বাঙ্গালীদের সবথেকে প্রিয় খাবার হচ্ছে বিরিয়ানি। কারণ যেখানে বিরিয়ানি খাবারের আইটেম টা থাকবে সেখানে বাঙালি আর কোন খাবার খেতেই চাইবে না।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:০৪.১২.২০২৪
সময়:০৮.৩৪মিনিট
স্থান: হৃদয়পুর, কলকাতা
ছবির মাধ্যমে বুঝতেই পারছেন যে কতগুলো আইটেম এখানে ছিল। যাইহোক একটু একটু করে সব আইটেমগুলো খেলাম। সব খাওয়ার পর মনে হচ্ছিল পেটটা হাতির মতো হয়ে গিয়েছে। আর হবেই না কেনো দাদা দিদির বিবাহ বার্ষিক অনুষ্ঠানের খাওয়া কম তো আর খাওয়া যায় না। খাওয়া-দাওয়া করে সবাই মিলে গল্প করে তারপর সেখান থেকে সোজা বেরিয়ে পড়লাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। দাদা আর দিদির বিবাহ বার্ষিক অনুষ্ঠানের খাওয়া-দাওয়া করে খুবই ভালো লাগলো খুবই আনন্দ করেছিলাম। ঈশ্বরের কাছে এটাই প্রার্থনা করি এই শুভ দিন টা দাদা এবং দিদির জীবনে বারবার আসুক।
দাদা বৌদির অ্যানিভারসারি বারবিকিউ নেশানে সেলিব্রেট করেছেন দেখে ভালো লাগল। বারবিকিউ নেশানের এটা কালচার, কোন বিশেষ দিন হলে ওরা সকলে মিলে উইশ করে, কেকের ব্যবস্থা করে। যেটা খুবই ভালো লাগে। তবে ওখানে মেইন কোর্সে যাবার মতো কোনদিন সুযোগ হয়নি। কারণ স্টাটারপগুলোই যা থাকে খেতে খেতে গলা পর্যন্ত ভর্তি হয়ে যায়৷ যাইহোক বেশ সুন্দর লিখেছেন। পড়ে ভালো লাগল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই বলেছেন ফাস্টের যে খাবারগুলো থাকে সেগুলো শেষ করতে গলা পর্যন্ত ভর্তি হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান বক্তব্য শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা বৌদির বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। অনেক রকম খাবারের আয়োজন ছিল দেখছি। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্টটা দেখে। খুব সুন্দর ভাবে পুরো অনুষ্ঠানটা সেলিব্রেট করা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমার পোস্টি দেখার জন্য এবং আপনার কিছু মূল্যবান কথা আমার সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা বৌদির বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান বেশ জাঁকজমকপূর্ণ হয়েছে তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি। তবে এমন লোভনীয় খাবার দেখে সত্যিই লোভ সামলিয়ে থাকা যায় না। তারজন্যই তো দাদা বৌদি কেক কাটার আগেই আপনার জিভে জল চলে আসলো। কিন্তু কি আর করার অপেক্ষা তো করতেই হবে। যেই পরিমান লোভনীয় খাবার তার সবগুলো খেলে তো হাতির মতো পেট হবেই। আপনি সবগুলো খেতে পেরেছেন। কেক দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা ও বৌদির বিবাহ বার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজনটি বেশ জাকজমক হয়েছিল তা আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল। এত লোভনীয় খাবার দেখে কি আর লোভ সামলানো যায়।বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। অনেক ধন্যবাদ দারুন একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা ও বৌদির বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান দারুণ হয়েছিল। আপনারা সবমিলিয়ে বেশ মজা করেছেন। খাবারের আইটেম গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল। দাদা ও বৌদির আগামী দিনগুলো আরও সুন্দর হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা বৌদির বিবাহ বার্ষিকী অনুষ্ঠান খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয়েছে এটা আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। দাদা বৌদির অ্যানিভারসারি বারবিকিউ নেশানে সেলিব্রেট করেছেন এটা দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।অ্যানিভার্সারি উপলক্ষে দেখছি অনেক রকম খাবারের আয়োজন ও ছিল। খাবারগুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। সব মিলিয়ে আপনারা খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit