হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে পুরী জগন্নাথ মন্দিরের ভ্রমণ পঞ্চম পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই মিলে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। সন্ধ্যার দিকে আমরা সবাই মিলে সমুদ্রে ঘুরতে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ সমুদ্রের কিনারায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। রাতে সমুদ্র অনেক সুন্দর লাগছিল। কারণ সমুদ্রের কিনারায় কিছু রঙ্গিন লাইট দেওয়া ছিল সেই আলো গুলো যখন সমুদ্রের ঢেউয়ের জলের উপর পড়ছিল তখন ঢেউ দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। সন্ধ্যার সময় সমুদ্রের কিনারে অনেক দোকান এসেছিল। যেমন ছোট বাচ্চাদের জন্য খেলনা দোকান। আবার কোন দোকানে দেখলাম সমুদ্রের ঝিনুক দিয়ে অনেক রকমের আসবাস পত্র তৈরি করা। সমুদ্রে গেলে একটা জিনিস সব সময় দেখা যায় সেটি হচ্ছে মুক্তার মালা ও ঝিনুকের মালা। আবার অনেক রকমের ফাস্টফুডের দোকান ছিল। অন্য পাশে সামুদ্রিক মাছ জড়ো করা ছিল যেখানে মাছের ফ্রাই পাওয়া যাচ্ছিল। সমুদ্রে অনেক মাছ আছে যেগুলো আমরা হয়তো অনেকেই চিনি না আমিও তেমন একটি মাছ চিনি না।
হঠাৎ দাদা বললো মাছের ফ্রাই খাবে তাই সঙ্গে সঙ্গে সেই দোকানে আমরা যে হাজির হলাম। সেখানে যে আমি কিছু ফটোগ্রাফি ও করলাম। আমি অক্টোপাস কোন দিন খাইনি আমার খুব ইচ্ছা ছিল অক্টোপাস খাওয়ার কেমন টেস্ট সেটা বোঝার জন্য। দাদা একটি মাছ ফ্রাই করার কথা বলল আর ২ পিস সামগ্রিক কাঁকড়া। এখানে একটা জিনিস খেয়াল করলাম সেটি হচ্ছে এখানে মাছ গুলো প্রচুর দাম। সাধারণত বাজারে যেসব মাছ কিনে খেয়ে থাকি সেই সব মাছ এখানে বেশিরভাগ পাওয়া যায় কিন্তু প্রচুর দাম। কিন্তু কি করার আছে যখন খেতে ইচ্ছা করছে তখন তো টাকার দিকে তাকালে হবে না। এইসব চিন্তা বাদ দিয়ে আমরা কিছু অর্ডার করলাম। একটু ভিড় এখানে ছিল আমাদের অর্ডারটি আসতে অনেক দেরি হয়েছিল কিন্তু তারপর ও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছিলাম। আমরা গল্প করতে করতে আমাদের অর্ডারটি চলে এলো দেখে খুবই ভালো লাগছিল। কিন্তু খাওয়ার পর তেমন একটি ভালো লাগেনি দেখতে যতটা ভালো ছিল খাইতে ততটা ভালো নয়। অনেক টাকা দিয়ে মাছগুলো অর্ডার করেছিলাম। টাকার দিকে তাকিয়ে চুপচাপ খেয়ে নিলাম।😀😀😀
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৫.০১.২০২৪
সময়: ০৯.১৩মিনিট
স্থান: ওড়িশা
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আরো কিছু সময় সমুদ্রের কিনারে ঘোরাঘুরি করে। রাতে খাবার খাওয়ার জন্য আমরা সবাই হোটেলে গেলাম। ফাস্টে যে হোটেলে গিয়েছিলাম সেখানে প্রচুর ভিড় ছিল যার কারণে আমরা সেখান থেকে আমাদের চলে আসতে হল। শুনেছিলাম এই হোটেলের রান্না খুব ভালো তার জন্য আমরা এই হোটেলে রাতে খাবার খাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে একটিও টেবিল ফাঁকা ছিল না আমাদেরকে ওখানে গেস্ট রুমে ওয়েট করার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমাদের প্রচুর ক্ষুধা লেগে যাওয়ার কারণে আমরা অপেক্ষা করতে পারলাম না আমরা সেখান থেকে অন্য একটি হোটেলে গেলাম রাতের খাবার খাওয়ার জন্য। সেখানেও যেয়ে দেখি সেই একই রকম অবস্থা কিন্তু সেখানে ওয়েট করতে হলো না। তারপর যে যার মতন আমরা অর্ডার করলাম। আমি চিকেন কষা আর পাবদা মাছ আর সঙ্গে চিংড়ি মাছের মালাই কারি অর্ডার করেছিলাম। সবগুলো আইটেমই মোটামুটি ভালোই ছিল। কিন্তু একটা কথা বলতেই হবে বাংলাদেশে কক্সবাজারে যখন ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন এই পাবদা মাছের রেসিপি খেয়েছিলাম সেখানকার যে স্বাদ আমি আজও ভুলতে পারিনি। এই কারণে এখানেও অর্ডার করেছিলাম সেই লোভে। সেদিনের মতন স্বাদ আমি পাইনি কিন্তু তারপরও ভালো লেগেছিল। সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করলাম। কারণ একটা জিনিস খাওয়ার পর ৪০ কদম হাঁটতে হয় এটি বৈজ্ঞানিক দের কথা। কারণ খাওয়া দাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়া উচিত নয় এতে পরিপাকে প্রবলেম দেখা দেয়। যাইহোক এরপরে আমরা হোটেল রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। কারণ আবার সকাল 9 টাতে আমাদের ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির আপনি খুব সুন্দর ভাবে ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এই ব্লগের মাঝে। আপনার এ ব্লগ করার মধ্য দিয়ে এবং ফটোগুলো দেখে বেশ অনেক কিছু ধারনা পেয়ে গেলাম। অচেনা স্থান সম্পর্কে এমন সুন্দর সুন্দর ধারণা পেতে আমার অনেক অনেক ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ দিদি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit