হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
বারবিকিউ পার্টি দিয়েছিল আসলে নিলয় দাদা। দাদা কিছুদিন আগে নতুন বাইক কিনেছে আর সেই বাইক কেনার উদ্দেশ্যেই এই পার্টির আয়োজন। নতুন বাইক কেনার আনন্দটা একটু আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। নিলয় দাদা যেদিন বাইক দেখতে গিয়েছিল আমিও সাথে গিয়েছিলাম কিন্তু দাদা যে বাইক পছন্দ করেছিল সেই বাইকটি তখন ছিল না। তারা বলেছিল যে সেই বাইকটি তারা কিছুদিন পরে এনে দিতে পারবে। কিছু টাকা দিয়ে গাড়িটি কনফার্ম করে আসলাম। আমাদের ৭ দিন সময় দিয়েছিল যে ৭ দিন পর আমরা গাড়িটি নিতে পারব। পাঁচদিনের মাথায় দাদাকে শো-রুম থেকে ফোন দেয় তারা বলে গাড়িটি চলে এসেছে। আমি একটু কাজ করছিলাম কিন্তু দাদা আমাকে বলল যে গাড়িটি চলে এসেছে চল যাই বাইকটি নিয়ে আসি। এই কথাটি শোনার পর আমি সব কাজ কাম ছেড়ে সঙ্গে সঙ্গে দাদার সাথে চলে গেলাম। বেশি দূরে ছিল না শো-রুমটা বাসা থেকে প্রায় দশ মিনিটের পথ হবে। আমরা প্রথমে শো-রুমে গেলাম আর সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে আমরা গাড়ির চাবিটি নিয়ে গাড়িটি কাছে গেলাম। যখন চাবিটি নিলয় দাদার কাছে দিয়েছিল তখন দাদার হাসিটা ছিল দেখার মতন। কারণ নিজের টাকায় কোন কিছু কিনার আনন্দটাই আলাদা। দাদার জীবনে এই প্রথম নিজের টাকায় গাড়ি কিনেছিলো তাই তার আনন্দটা ও সব থেকে বেশি ছিলো যেটি হাজার টাকা দিয়েও কেনা যায় না। কিন্তু সমস্যা একটা হয়েছিল যে নতুন বাইক ঠিকই কিনেছিল কিন্তু রোড পারমিশন ছিল না।কারণ গাড়ির নাম্বার প্লেট এখনো সাত দিন পর আসবে। তাই একটু মন খারাপ হয়েছিল কারণ নতুন গাড়ি কিনে যদি চালানো না যায় তাহলে সত্যি মন খারাপ হয়। কিন্তু একদিকে ভালো হচ্ছে নাম্বার প্লেট ছাড়া মেইন রোডে উঠলে ঝামেলা অবশ্যই হবে তার থেকে সাত দিন পর নাম্বার প্লেট নিয়ে গাড়ি চালানো ভালো।
শোরুম থেকে বাইক নেওয়ার দিন বড় দাদার আসার কথা ছিল আমাদের সঙ্গে কিন্তু দাদার হাতে কাজ থাকার কারণে দাদা আসতে পারেনি কিন্তু দাদা বলেছিল যে নতুন বাইক কিনলে অবশ্যই খাওয়াতে হবে। ডিপ্রো দাদা ও বাইক কিনে পার্টি দিয়েছিল আপনাদের সবার সাথে সেই আনন্দ ভাগ করে নিয়েছিলাম। বড় দাদা বলেছিল যে হোটেলে আমরা পার্টি করব না আমরা বাড়িতেই কিছু খাওয়ার আয়োজন করব। আর বড় দাদার মাথা থেকেই এসেছিল যে বারবিকিউ পার্টি করা হবে নিজেদের বাড়িতে। নিলয় দাদাও রাজি হয়ে যায় কারণ এটা একটা আনন্দের সময়। একদিকে বাইক কেনার আনন্দ আবার অন্যদিকে সবাই মিলে পার্টি করার আনন্দ।
আমাদের নিলয় তাহলে শেষ পর্যন্ত বাইক কিনেই ফেলল , অনেক খুশির সংবাদ তো! তবে বাইক কেনা উপলক্ষে বারবিকিউ পার্টি একটু কম হয়ে গেল না ভাই? আরেকটু বেশি কিছু খাওয়ানো উচিত ছিল। হা হা হা... তবে যেহেতু নিজেদের বাড়ির ছাদে করা হয়েছে পার্টি সুতরাং যথেষ্ট মজা হয়েছে এটা ধরে নেওয়া যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ্! চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। আসলে নিজের উপার্জন দিয়ে কিছু করতে পারলে মনের মধ্যে অন্যরকম শান্তি কাজ করে। নিলয় দাদার বাইকটি আসলেই খুব সুন্দর। বাইকে নাম্বার প্লেট লাগালে,নিলয় দাদা তো মনে হয় সারাদিনই ঘুরবে বাইক নিয়ে। যাইহোক বাইক কেনা উপলক্ষে নিলয় দাদা বারবিকিউ পার্টি দিয়েছিল বাসায়, এটা জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। আমাদের বড় দাদা সহ, আপনারা সবাই মিলে বেশ মজা করেছিলেন মনে হচ্ছে। যাইহোক সেগুলো পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো আশা করি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit