হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে পুরী জগন্নাথ মন্দিরের ভ্রমণ সত্যম পর্ব উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
জাদুঘর থেকে আমরা রওনা করলাম মন্দিরের উদ্দেশ্যে । মন্দিরের আমরা যখন প্রবেশ করব তখন এখানের দায়িত্ব থাকা সিকিউরিটি আমাদেরকে আটকে দিল। তারা আমাদেরকে বলল এখানে প্রবেশ করতে হলে আপনাদের টোকেন কাটতে হবে। বহু বছর আগে এখানে মন্দির ছিল কিন্তু এখন এখানে কোনরকম পূজা আলোচনা করা হয় না। এই মন্দিরটি এখন দর্শনার্থীদের পর্যটক হিসেবে রয়েছে। আমরা তো এখানে ঘুরতে এসেছি তাই এনাদের কথা আমাদের মেনে নিতেই হবে কারণ এনারা যদি অনুমতি আমাদের না দেয় তাহলে আমরা মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবো না। তাই কোন ঝামেলার ভেতর না যেয়ে আমরা কাউন্টারে যে টোকেন কেটে নিলাম। আমি আর একটু কথা আপনাদের জানিয়ে রাখি। এখানে যদি আপনি ছবি তুলতে চান তাহলে এখানে অনেক ক্যামেরাম্যান রয়েছে তাদের সাহায্যে আপনি আপনার ছবি কিন্তু তুলতে পারবেন। কারণ অনেকেই আছে যারা একা ঘুরতে গিয়েছেন ছবি তুলতে পারছে না মন্দিরের সঙ্গে। তারা কিন্তু এইভাবে আপনারা ছবি তুলতে পারবেন। আপনারা বলতে পারেন যে ছবি তো তুলতে পারছি কিন্তু ছবিটা আমরা পাবো কি ভাবে। হ্যাঁ তার জন্য অবশ্যই আপনাদের সেই ক্যামেরা ম্যানদের আপনার ইমেইল এড্রেস অথবা ফোন নাম্বারটি দিতে হবে। তাহলে আপনারা তাদের মাধ্যমে আপনার ছবি সংগ্রহ করতে পারবেন।
যাই হোক আমরাও যেহেতু ফ্যামিলি অনেকেই গিয়েছিলাম সেহেতু সেই জায়গার একটি ফ্যামিলি ফটো কিন্তু আমরা করলাম এবং যার যার মতন সিঙ্গেল ছবিও আমরা তাদের মাধ্যম থেকে করলাম। যাই হোক পরবর্তীতে আমরা মন্দিরে প্রবেশ করলাম। প্রথমে ঢুকতে আমার তো খুবই ভালো লাগছিল কারণ আমার প্রথম এই জায়গাটিতে আসা আর বুঝতেই পারছেন প্রথম কোন জায়গাতে আসলে অনুভূতিটা কেমন হতে পারে। আমি অনেক জায়গাতে ঘুরেছি কিন্তু এত বড় বড় মন্দির আমি কখনোই দেখিনি। আমার একটা জিনিস সব সময় মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছিল যে তখন তো এত আধুনিক মেশিন যন্ত্রপাতি কিছুই ছিল না। তাহলে তারা এত বড় বড় মন্দির কিভাবে তৈরি করেছে। সত্যি একটু ভাববার বিষয় যে তখনকার মানুষ এখনকার মানুষের থেকে অনেক বুদ্ধিমান এবং সচেতন ছিল। বড় বড় পাথর হাতের সাহায্যে কেটে সেখানে নকশা তৈরি করে এত উঁচুতে তারা কিভাবে নিয়ে এই মন্দিরটি তৈরি করেছে। আমি জোর গলায় বলতে পারি যে এখনকার যে ভবনগুলো নির্মাণ হচ্ছে তার থেকে আগের যে ভবন গুলো তা অনেক মজবুত এবং টেকসই। যা দেখলে মনে হবে যে এখনো হাজার হাজার বছর এই ভবনগুলো একই ভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে। যাইহোক আমি মন্দিরের চারি পাশে ঘুরলাম এবং কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আশা করি, আপনাদের এই মন্দিরের যে ফটোগুলো আমি তুলেছি আপনাদের ভালো লাগবে।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A73 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:১৬.০১.২০২৪
সময়: ০২.১৩মিনিট
স্থান: ওড়িশা
মন্দিরের যে নকশা গুলো দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে কতটা নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে। আর একটা জিনিস আমি সব সময় বলে থাকি যে কোন তীর্থস্থান অথবা পবিত্র জায়গায় গেলে মনটা সত্যিই অনেক ভালো হয়ে যায়। মনের ভিতর একটা শীতলতা অনুভব হয়। এই মন্দিরের পাশে একটি বড় বটগাছ ছিল। সেখানে পর্যটকরা সবাই বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। বটগাছকে এক কথায় বলা হয় বৃক্ষ মাতা। কারণ এই কথাটা কেন বলছি মায়ের কোলে যেমন শীতলতা অনুভব করা যায় তেমন বট গাছের নিচে বসলে সেই শীতলতা অনুভব করা যায়। আমরা এই মন্দির প্রাঙ্গণ ঘুরতে ঘুরতে আমাদের ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। হোটেল থেকে কিছু খেয়ে পেটটা ঠান্ডা করে গাড়িতে উঠলাম। এবার আমরা যাচ্ছি সূর্য মন্দিরে যেখানে আমাদের যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল।
দাদা আমারও ইচ্ছা আছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার। আপনারা পরিবারের সবাই মিলে গিয়ে দেখছি অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। আপনিও যদি একা একা যেতেন তাহলে যারা ছবি তোলে তাদের কাছে জিমেইল এড্রেস দিয়ে আসা লাগতো পরিবারের সাথে গিয়েছিলেন বেশ ভালই হয়েছিলো। বাড়িতে থেকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শন করে ফেললাম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুরী জগন্নাথ মন্দির ভ্রমন করেছেন এবং সেই জায়গা থেকে বেশ সুন্দর সুন্দর চিত্র ধারণ করে তো আমাদের মাঝে দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই চমৎকার চিত্রধারণ দেখে। আপনার এই ভ্রমণ ব্লগের মাধ্যমে কিন্তু অনেক কিছু দেখার সুযোগও জানার সুযোগ হল আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit