শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণ শেষ পর্ব

in hive-129948 •  20 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণের শেষ পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



কোপাই নদী থেকে পিঠা মেলাতে যেতে আমাদের ২৫ মিনিটের মত সময় লেগেছিল। আমরা যখন পৌঁছেছিলাম ঘড়ির কাঁটায় তখন আটটা বেজে গিয়েছিল। পৌষ মেলা পিঠা উৎসবের এই মেলাটিতে অনেক লোকের সমাগম ঘটেছে। আমরা মেলার ভেতর ঢোকার আগে প্রথমেই গাড়িটি পার্কিং করে নিলাম। এরপর আমরা মেলার ভেতর ঢুকে পড়লাম। এই মেলাটিতে এত পরিমাণে মানুষের ভিড় লেগেছিল যার কারনে ঠিক থাক ভাবে হাটতে ও পারছিলাম না। এই মেলাটিতে আসার মেইন উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ধরনের পিঠা দেখা এবং খাওয়ার জন্য। মেলাটিতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা দোকান বসেছে গেটের প্রথম থেকে। পিঠার দোকান পাশাপাশি এখানে বসেছে শীতকালীন পোশাকের দোকান। আরো রয়েছে বাচ্চাদের জন্য খেলনার দোকান , সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র আরও বসেছে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি মিঠাইয়ের দোকান।গরম জিলাপি খাওয়ার মজাটাই কিন্তু আলাদা তাই আমরা মেলায় ভেতর প্রবেশ করে প্রথমে গরম জিলাপি খেলাম। গরম জিলাপি খেতে খেতে মেলার ভেতরে প্রবেশ করলাম।মেলাটি বড় একটি জায়গা জুড়ে বসানো হয়েছে। অনেকগুলো গলি রয়েছে এক এক গলিতে এক এক রকম জিনিস রয়েছে। যেমন যেখানে পোশাকের দোকান সেখানে শুধুই পোশাক, যেখানে খেলনার দোকান সেখানে শুধুই খেলনা, যেখানে খাবারের দোকান সেখানে শুধুই খাবারের দোকান।


মেলার একটু ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখতে পেলাম বিভিন্ন ধরনের পিঠা। গরম গরম পিঠা আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। আর এখানে আমার পছন্দের কিছু পিঠা দেখতে পেলাম তাই দাদাকে বললাম এখান থেকে কিছু পিঠা খাব। যখন পিঠাগুলো অর্ডার করছিলাম তখন পিঠার দামও শুনেছিলাম। পিঠার দাম শুনতেই আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। কারণ প্রতিটি পিঠার দাম ছিল ৩০ থেকে ৫০ টাকা। পিঠার দাম শুনে পিঠা খাওয়ার ইচ্ছাটাই মারা গেল😄😄। কিন্তু মনে মনে ভাবলাম এতদূর যখন এসেছি পিঠা না খেয়ে যাব না। আমি বিভিন্ন ধরনের পিঠা অর্ডার করেছিলাম যেমন ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, কাচিপুরা। ঠান্ডার ভিতর গরম গরম পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগছিল।পিঠা খাওয়ার পর পিঠার বিল মিটিয়ে আমরা চলে গেলাম মকটেল খেতে। মকটেলের দোকানটি এত সুন্দর করে সাজানো-গোছানো ছিল যে এখানে মকটেল না খেয়ে মেলার ভিতরে ঘুরতেই ইচ্ছা করছিল। দাদা নিজের পছন্দের মকটেল অর্ডার করল আর আমি আমার পছন্দের একটি মকটেল অর্ডার করলাম। অনেক জায়গায় অনেক ধরনের মকটেল খেয়েছি কিন্তু এই পৌষ মেলায় এই মকটেলটি সবথেকে আলাদা ছিল।

IMG20241224172645.jpg

IMG20241224172444.jpg

IMG20241224174520.jpg

IMG20241224174218.jpg

IMG20241224175652.jpg

IMG20241224174047.jpg

IMG20241224172937.jpg

IMG20241224175706.jpg

IMG20241224172340.jpg

IMG20241224175212.jpg

IMG20241224172349.jpg

IMG20241224172407.jpg

IMG20241224175015.jpg

IMG20241224171825.jpg

IMG20241224172555.jpg

IMG20241224175221.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:২৫.১২.২০২৪
সময়:০৯:৩৪ মিনিট
স্থান:শান্তিনিকেতন।


শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা উৎসবের যে খুবই আনন্দ করেছি। অনেক কিছুর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। ভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে তাদের কালচার সম্পর্কে জানতে পেরেছি। সত্যি কথা বলতে সুন্দর একটি জায়গা শান্তিনিকেতন মনটি ভরে যায়। সময় পেলে আপনারাও একদিন ঘুরে আসুন শান্তিনিকেতন কথা দিচ্ছি আপনাদের খুবই ভালো লাগবে।

আজ এখানে শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এজাতীয় মেলা ভ্রমণ করলে অনেক কিছু দেখার সুযোগ মিলে। সে জায়গায় যদি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই। অনেক ভালো লাগলো চমৎকার রেসিপি গুলো দেখে। অসাধারণ খাবারের আইটেম প্রস্তুত করে বিক্রয় করছেন বিক্রেতারা।

আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলায় কাটানো শেষ পর্বটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে এই পর্বটা দেখে। মেলায় গিয়ে সময় কাটাতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনি ঘুরাঘুরি করার সময় অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। পিঠা খেয়েছিলেন শুনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। পিঠার কথা শুনে তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ মুহূর্তটা সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।