হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন ।আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার সন্ন্যাস জীবনে পদার্পণে আরো একটি পর্ব সবার মাঝে উপস্থাপন করছি তাই বিলম্ব না করে আমার পোষ্ট লেখাটি শুরু করছি।
প্রথম দিন কয়েকটি বাড়ি ভিক্ষা করে রাতে খাবার খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করলাম। সেগুলো রাতে রান্না করে সবাইকে পরিবেশন করলাম। রাতে সবাই খাবার খাওয়ার পরে যার যার মত ঘুমাতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল। আমি আগেই বলেছিলাম সন্ন্যাসীদের ঘর হয় না থাকার জন্য ভালো জায়গার প্রয়োজন হয় না তাই সবাই মাটিতে গামছা বিছিয়ে মাথা রাখার জন্য একটি ইট নিয়ে সবাই শুয়ে পড়লাম। কখন যে ঘুমিয়ে যাই আমি নিজেই জানিনা। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পূজার ফুল, বেল পাতা, ডাব, নারিকেল, দুধ ইত্যাদি উপকরণ গুছিয়ে মহাদেবের পূজার জন্য ব্যবস্থা করলাম।
তারিখ: ০৭.০৪.২০২৩
সময়: ৭.১২মিনিট
স্থান: তালতলা
আর অন্য কয়েকজন প্রথম দিনের ভিক্ষা করা খাদ্য দ্রব্য দিয়ে সকালের খাবার তৈরি করল। আমি সকালে স্নান করে মহাদেবের পূজা শেষ করে খাবার খেয়ে সবার সাথে মহাদেবকে নিয়ে নগর ঘুরতে চলে গেলাম। আমরা সবাই খালি পায়ে ঘুরছিলাম উপর থেকে সূর্যের তাপ নিচে থেকে মাটির তাপ মনে হচ্ছিল আমাকে যেন গরম তেলের কড়াই এর মাঝে ভাজি করছে। যত কষ্ট হচ্ছিল তত মহাদেবের নাম স্মরণ করছিলাম। অবাক করা বিষয় হচ্ছে আমি যখনই মহাদেবের নাম স্মরণ করছিলাম যেন সব কষ্ট দূর হয়ে যাচ্ছিল সত্যি একটা অন্যরকম পাওয়ার শরীরে কাজ করছিল।
তারিখ: ০৭.০৪.২০২৩
সময় :১২.৪৫মিনিট
স্থান: গাজী খালি
আমরা যখন রাস্তা থেকে যাচ্ছিল তখন প্রত্যেক বাড়ি থেকে আমাদের ডেকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছিল তারা আমাদের খুব সম্মান দিয়েছিল খাবার খেতে দিচ্ছিল। তারা আমাদের যে এত ভালবাসা দিবে তা আমরা কোনদিনই ভাবতে পারিনি সত্যি কথা বলতে আমরা খুবই প্রসন্ন হয়ে যাই। যাইহোক এমন করে প্রত্যেকটা বাড়ি থেকে আমাদের যত্ন করেছিল আর যার যার সামর্থ্য মতো ভিক্ষা দিয়েছিল । আমরা একটি সময় একটি স্থানে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে নেই। কিন্তু সত্যি কথা বলতে এত গরমের মাঝে যখন পায়ে হেঁটে হেঁটে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করছিলাম তখন কষ্ট হচ্ছিল না মনে হচ্ছিল মাথার উপরে কে যেন ছাতা ধরে রেখেছে।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল :oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য :3.37mm
তারিখ :০৭.০৪.২০২৩
সময় :৪.২৩মিনিট
স্থান: গাজিখালি
বিশ্রাম শেষ করে আমরা আবার বেরিয়ে পড়লাম। আরো কিছু সময় নগরে ঘুরে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। আজ আমাদের ভালই ভিক্ষা হল চাউল ,ডাল ,আলু, বেগুন ইত্যাদি দ্রব্য। আমরা সবাই স্নান করে পরিষ্কার হয়ে রাতের খাবার তৈরি করার জন্য রান্না করতে শুরু করে দিলাম। আর একটা কথা বলে রাখি সন্ন্যাসীদের খাবারের মান খুব নিম্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে ।কারণ এ কথাটি বলছি এই কারণে তেল,লবণ,মসলা ইত্যাদি দ্রব্য সবকিছুই হবে কম কম যা আপনি খেয়ে কোন কোনদিন তৃপ্তি পাবেন না। রেস্টুরেন্টের খাবার বাড়ির খাবার, বলতে চাচ্ছি কোনরকম মুখের রুচি যুক্ত খাবার সন্ন্যাসীরা গ্রহণ করেনা। তবে অনেকের কাছে খাবারগুলো গ্রহণ করতে খুবই বিরক্তকর মনে হবে কিন্তু আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে তাই আমাদের এই খাবার গুলো খুব ভালো লাগে ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit