হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি গল্প উপস্থাপন করছি আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে বিলম্ব না করে পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
আমার গল্পের নায়কের নাম 'আকাশ' ও নায়িকার নাম 'প্রিয়া' তাদের প্রথম দেখা হয় কলেজের লাইব্রেরীতে । আকাশ লাইব্রেরী থেকে বের হচ্ছিল আর অন্যদিকে প্রিয়া ঢুকছিল তখনই তাদের মধ্যে একে অপরের ধাক্কা লাগে ।যখনই প্রিয়া মাটিতে পড়ে যাচ্ছে তখনই আকাশ প্রিয়াকে ধরে নেয় আর এখান থেকেই শুরু হল একে অপরের চোখাচোখি।
আকাশ ছিল ক্লাসের সব থেকে ভালো স্টুডেন্ট আর অন্যদিকে প্রিয়া ছিল আকাশের তুলনায় একটু কম। আকাশ যেহেতু ভালো স্টুডেন্ট ছিল এজন্য সবাই তার থেকে নোট নেওয়ার চেষ্টা করত। একদিন প্রিয়া আকাশ কে বলে তুমি কি আমায় একটু সাহায্য করবে?আকাশ বলে কি সাহায্য করতে হবে বলো। প্রিয়া বলল আকাশ তুমি তো ভালো স্টুডেন্ট তাই আমাকে একটু পড়াশোনা সাহায্য করবে শুনে আকাশ সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যায়। আর এখান থেকেই শুরু হল একে অপরকে চেনা ,একে অপর এর বন্ধুত্ব হওয়া, আর সর্বশেষ ভালোবাসা।
আমরা তো জানি, একজন ছেলে কখনো একজন মেয়ের বন্ধু হতে পারে না কারণ এখানে আবেগ দৈহিক আকাঙ্ক্ষা আছে ।ছেলে আর মেয়ের বন্ধু হতে পারে কিন্তু তারা অবশ্যই প্রেমে পড়বে। হয়তো খুবই অল্প সময়ের জন্য অথবা ভুল সময়ে কিংবা খুবই দেরিতে,আর না হয় সব সময়ের জন্য ।তবে প্রেমে তারা পড়বেই শুধু সুযোগের অপেক্ষা। আকাশ ও পিয়ার জীবনেও তাই ঘটেছে তারা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছি।
একদিন কলেজের সব ভাই বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত হলো তারা সমুদ্রে ঘুরতে যাবে আকাশ ও প্রিয়া তাদের সাথে যাবে। এর কিছুদিন পরে যাওয়ার জন্য তারা গাড়ি ঠিক করলো ভাই বন্ধুরা সবাই জানতো আকাশ ও প্রিয়ার সম্পর্কে তাই তারা গাড়িতে দুজনের সিট পাশাপাশি দিয়েছিল। অনেকটা পথ যাননি করার পর তারা পৌঁছে যায় মূল স্থানে। সব ভাই বন্ধুরা আনন্দ করছিল আকাশ ও প্রিয়া তারাও আনন্দে মেতে ওঠে। খাওয়া দাওয়া ঘোরাঘুরি আনন্দ সবই তারা একসাথে করছিল ভালোবাসার সুন্দর একটা মুহূর্ত তারা একসাথে কাটিয়েছিল সমুদ্রের পাড়ে।
সমুদ্র থেকে ফিরে আসার পর হঠাৎ প্রিয়ার
বাড়ি থেকে ফোন আসে। প্রিয়া ফোনে কথা বলতে বলতে চোখ থেকে জল পড়তে থাকে। আকাশ খাবার কিনতে দোকানে যায় ফিরে এসে দেখে প্রিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েছে ।আকাশ প্রিয়াকে বলল কি হয়েছে তোমার? প্রিয়া উত্তর দেয় আমার বাবা খুব অসুস্থ আজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে আমার এখনই বাড়িতে যেতে হবে। এ কথা শোনার পর আকাশের ও খুব মন খারাপ হয়ে গেল কোন কিছু না ভেবেই তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠিয়ে দেয় প্রিয়াকে আর এটাই ছিল প্রিয়া আর আকাশের জীবনের শেষ দেখা।
প্রেমের ব্যর্থ পাগল গল্পটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে শেষের দিকে একটু খারাপ লেগেছে যখন প্রিয়ার বাবার অসুস্থ্যের কথা শুনে যখন আকাশ কে ছেড়ে চলে গেল। আকাশ এবং প্রিয়ার জীবনে পরে কি হয়েছিল তা জানার জন্য আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বের অংশটি ও আশা করি আপনার ভালো লাগবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit