হ্যালো বন্ধুরা,
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আমাদের মাঝে 'ভালোবাসি তোমাকে' গল্পের ষোড়শ পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
শুভ বাড়িতে আসার পর অপেক্ষা করছিল মনিকার জন্য। কিন্তু অপেক্ষা করতে করতে অনেক রাত হয়ে গেল মনিকা বাড়িতে ফিরল না। অবশেষে সে বেডরুমে যে ঘুমিয়ে পড়ল। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে এলে দেখে মনিকা সুপার উপর ঘুমিয়ে আছে। শুভ মনিকার কাছে যে মনিকা কে ডাক দিতে মনিকা বলে আমি খুব টায়ার্ড আমাকে বিরক্ত করো না। এই বলে মনিকা বেডরুমে চলে গেল। শুভ মনিকা কে কিছু না বলে সে নিজের কাজগুলো করতে লাগলো। কাজ করতে করতে হঠাৎ শুভর ফোনে অচেনা নাম্বার থেকে একটি ফোন আসে। শুভ ফোনটা রিসিভ করতেই ওপার থেকে বলে আমি জয়। শুভ জয় কে চিনতে পারেনা কারণ তার সাথে কোনদিন তার পরিচয় হয়নি। তাই শুভ বলে আমি আপনাকে চিনতে পারলাম না। তখন জয় বলে আপনি আমাকে ভালোভাবেই চিনেন আপনি কি আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবেন? শুভ বলে আমি আপনাকে চিনিনা জানিনা আপনার সাথে কেন দেখা করব আমি। তখন জয় বলে আমি মনিকার অফিসের বস এবার তো দেখা করতে পারেন।
তখন শুভ কোন কিছু না ভেবে রাজি হয় দেখা করার জন্য। জয় তাকে একটি লোকেশন বলে সেখানে শুভ দেখা করে। শুভকে দেখে প্রথমে জয় হাসতে থাকে তখন শুভ বলে আপনি এমনভাবে হাসছেন কেন? তখন জয় বলে মনিকা এমন একটি লোকের সঙ্গে থাকে সে কি না পঙ্গু কিছুই করতে পারে না। তখন শুভ জায়কে বলে আপনি আমাকে অপমান করছেন। তখন জয় বলে আমি আপনাকে অপমান করছি না আপনার স্ত্রী আমাকে যেটা বলেছেন আমি আপনাকে সেটাই বলছি। তখন শুভ বলে আমার স্ত্রী আপনাকে কি বলেছে। তখন জয় বলে সে আমাকে বলেছে আপনি তাকে জোর করে বিয়ে করেছেন তাকে আপনি অনেক নির্যাতন করেন। আপনার স্ত্রী আপনার সঙ্গে থাকতে চায় না কিন্তু তারপরও আপনি তাকে জোর করে বেঁধে রেখেছেন। জয় আরো বলেন আপনি কেমন মানুষ আপনি আপনার স্ত্রীকে কোনদিন জিজ্ঞাসা করেছেন সে আপনাকে ভালোবাসে কি না। আপনার স্ত্রী আপনাকে জীবনসঙ্গী পেয়ে হ্যাপি হয়েছে কিনা একটা বার জিজ্ঞাসা করেছেন। আপনি তো পুরুষ মানুষ আপনি কি করে আপনার স্ত্রীর কষ্টের টাকা বসে বসে খাচ্ছেন আপনার লজ্জা করে না। জয়ের কথাগুলো শুনে শুভর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। জয়ের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শুভ সেখান থেকে সোজা বাড়িতে চলে আসে।
এদিকে মনিকা ঘুম থেকে উঠে দেখে শুভ বাসায় নেই। সঙ্গে সঙ্গে শুভ কে ফোন দিতে যায় তখনই কলিং বেল বাজে। মনিকা দরজা খুলতেই দেখে শুভ। মনিকা শুভকে জিজ্ঞাসা করে সে কোথায় গিয়েছিল কিন্তু শুভ কোন কথার উত্তর দেয় না চুপচাপ ভেতরে প্রবেশ করে। মনিকা আবারো জিজ্ঞাসা করে তুমি কেন কথা বলছো না আমার সঙ্গে?তখন শুভ বলে আমার কথা বলতে ইচ্ছা করছে না আমাকে একটু একা থাকতে দাও। তখনো মনিকা তোমার কাছে যেতে থাকে কিন্তু তখনই তার ফোনে জয়ের ফোন আসে। ফোনটি রিসিভ করতেই জয় মনিকা কে বলে তার সঙ্গে আর্জেন্ট দেখা করতে। মনিকা জয়কে বলে সে আসতে পারবে না তার অনেক কাজ আছে। কিন্তু জয় মনিকার কোন কথাই শুনতে চায় না তাকে জোর করে। অবশেষে মনিকা রাজি হয় আর রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ে জয়ের সঙ্গে দেখা করতে। এদিকে শুভ বিষয়টি বুঝতে পারে সে আরো ক্লিয়ার হওয়ার জন্য মনিকার পিছু পিছু যেতে থাকে। জয় ও মনিকা তারা দুজনে দেখা করে একটি রেস্টুরেন্টে। শুভ ও সেই রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হয়।
শুভ সবকিছু দেখার পর সে সব বিষয় ক্লিয়ার হয়ে যায়। যে বুঝতে পারে এখন মনিকার জীবনে তার প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছে। শুভ নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতে থাকে। আসলে তো ঠিক আমি কোনদিন মনিকা কে জিজ্ঞাসা করিনি সে আমাকে ভালোবাসে কিনা সে আমাকে পেয়ে হ্যাপি কিনা। সে তো সব সময় আমাকে ইগনোর করত কিন্তু সেগুলো আমি বুঝতে পারেনি। আর সে আমাকে কোনদিন ভালোবাসেনি ভালোবেসেছে জয় নামের এই ছেলেটিকে। আর আমার থেকে জয় অনেক হ্যান্ডসাম এবং অনেক টাকা পয়সার মালিক। আর আমি পঙ্গু বেকার একজনের নির্ভর হয়ে আমাকে বাঁচতে হয়। আমারই তো ভুল আমি তাকে স্বাধীনতা দিতে পারিনি তাকে জোর করে আটকে রেখেছি। কিন্তু আর না আমি আর মনিকাকে আমার জীবনের সঙ্গে আটকে রাখবো না। তাকে আমি মুক্ত করে দিব।তার ভালোবাসার মানুষটির হাতে আমি তাকে তুলে দিব। আমি না হয় বাকি জীবনটা তাকে ভালবেসে কাটিয়ে দিব।
আমার মনে হয় শুভর উচিত মনিকাকে মুক্তি দেওয়া। কারণ এভাবে আসলে কতদিন আর কন্টিনিউ করা যায়। তাছাড়া মনিকা তো জয়ের প্রতি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। বেশ ভালো লাগছে গল্পটা পড়ে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরে দারুন! 🤩 শেষ পর্বের জন্য এগিয়ে চলি। 😃 ভালোবাসা, অন্ধকার, মুক্তি, স্বাধীনতা - এরা আমাদের জীবনের গভীর নিঃসৃত অনুভূতি। 💕
তোমার প্রশ্নে, আরে দারুন! 🤔 আমি বলিয়েছি এটা। 🙏 আগ্রহী থাকো, পড়ো, উত্তর দেন! 👨🎓
ভুল না হয় বিশ্বাস গড়ি। 💪
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit