হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে 'তোমাকে ছোঁয়ার সাধ্য আমার নেই' গল্পের ষষ্ঠ পর্ব উপস্থাপন করছি। আশা করি, গল্পের ষষ্ঠ আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
সেদিনের সেই ঘটনার পর থেকে রাজু আর সৃষ্টি কে বিরক্ত করত না। সৃষ্টির দিনগুলো খুব ভালই কাটছিলাম। হঠাৎ একদিন সৃষ্টি কথায় কথায় মেঘাকে বলে বসলো রাজুর কথা। সৃষ্টির মুখে রাজুর কথা শুনে মেঘা একটু চমকে উঠল। মেঘা সৃষ্টিকে বলে, হঠাৎ করে তোর মুখে দাদার কথা। সৃষ্টি মুচকি হেসে মেঘা কে বলে, বেশ কয়েকদিন তোর দাদা কে দেখছি না। সে কি বাড়িতে আছে? না নেশা করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। মেঘা বলে, বেশ কয়েকদিন ধরে দেখছি দাদাকে একটু অন্যরকম লাগছে। সব সময় কি নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। আমি অনেকবার দাদার কাছে জিজ্ঞাসা করেছি কিন্তু দাদা আমার কোন কথার উত্তর দেয়নি। সৃষ্টি হাসতে হাসতে আবারো বলে, দেখ তোর দাদাকে কোন মেয়ে ছ্যাকা দিয়েছে কিনা। তার জন্য হয়তো এমন হাল হয়েছে। মেঘা বলে, আমার দাদা একজনকে ভালোবেসে ছিল। সৃষ্টি বলে, কে সেই ভাগ্যবতী মেয়ে? মেঘা বলে, সেই ভাগ্যবতী মেয়ে আর কেউ নয়,মেয়েটি হল তুই। তোর জন্য হয়তো বা দাদার আজ এই অবস্থা। সৃষ্টি বলে, তোর দাদার এই অবস্থার জন্য আমাকে দায়ী করছিস কেনো? আমি তো তাকে কোন কিছুই বলিনি। মেঘা বলে, তুই কি বলতে পারিস সেটা আমি জানি।তাই নতুন করে কিছু বলতে চাই না। যাই হোক, যেটা করেছিস ভালই করেছিস জোর করে ভালোবাসা হয় না। সৃষ্টি বলে, চল বাড়িতে ফিরে যাই। আমার শরীরটা ভালো লাগছে না। মেঘা ও সৃষ্টি বাড়িতে যাচ্ছিল রাস্তায় হঠাৎ করে রাজুর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। সৃষ্টি বলে, মেঘা তোর দাদার মত লাগছে না? মেঘা বলে, দাদার মতো না দাদা।
রাজু বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। তখন এক বন্ধু রাজুকে বলে রাজু তোর ভালোবাসার মানুষটি আসছে। রাজু সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে তাকিয়ে দেখে সৃষ্টিকে। রাজু যখন সৃষ্টির দিকে তাকায় সৃষ্টি হাত উঁচু করে রাজুকে ইশারা দেয়। সৃষ্টির ইশারা দেখে রাজু রিপ্লাই না করে চুপচাপ সেখান থেকে চলে যায়। সৃষ্টি রাজুর এমন ব্যবহার দেখে একটু অবাক হয়ে যায়। সৃষ্টি মেঘা কে বলে, তোর দাদা এমন ব্যবহার করল কেন? মেঘা বলে, তোর আর দাদার ব্যাপার সেটা আমি কিভাবে বলবো। আমি তো বলব ঠিক কাজই করেছে দাদা। সৃষ্টি রাগান্বিত কন্ঠে মেঘা কে বলে, এটা কোন ভাল কাজ নয়। কোন ব্যক্তিকে এমন ভাবে অপমান করা ঠিক নয়। মেঘা সৃষ্টিকে বলে, তুই দাদাকে পছন্দ করিস না। দাদা তোর আশেপাশে থাকলে তুই ডিস্টার্ব ফিল করিস। তাহলে আজ তুই দাদার ব্যবহারে কষ্ট কেনো পাচ্ছিস। সৃষ্টি মেঘার সঙ্গে কথা না বলে চুপচাপ বাড়িতে চলে আসে।
বাড়িতে এসেই সৃষ্টি রাজুকে ফোন দেয়। রাজুর ফোন বাঁচতেই রাজু প্রিন্টের পকেট থেকে ফোনটি বের করে দেখতে পায় তার ফোনের স্ক্রিনে সৃষ্টির নাম ভেসে উঠেছে। রাজু কখনো ভাবতে পারিনি সৃষ্টি তাকে ফোন করবে। দেরি না করে রাজু ফোনটি রিসিভ করে। রিসিভ করতেই ওপার থেকে সৃষ্টি বলে, কি হয়েছে আপনার?আজ আমি আপনাকে ইশারা করলাম। আপনি আমার ইশারার উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন যে? রাজু বলে, আমি আপনাকে চিনি না তাহলে কেন আপনার ইশারার উত্তর দিতে যাব। সৃষ্টি বলে, আপনি কি বললেন? রাজু বলে, আমি আপনাকে চিনি না। সৃষ্টি রাগান্বিত কন্ঠে রাজুকে বলে, এতদিন আমার পিছু পিছু আপনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। আমার মুখে ভালোবাসার কথাটা শোনার জন্য। এত সহজে আমার চেহারাটা আপনার মস্তিষ্ক থেকে হারিয়ে গেল? রাজু বলে, দেখুন আপনি ভুল করছেন আপনি যার কথা বলছেন আমি সে মানুষটি নই। সৃষ্টি বলে, আমি কোন রকম ভুল করছি না আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই? রাজু বলে, যাকে আমি চিনি না তার সঙ্গে আমি দেখা করতে চাই না। এই বলে রাজু ফোনটি কেটে দেয়। সৃষ্টির মুখের উপর ফোন কেটে দেওয়াতে সৃষ্টি আরো অপমান বোধ করে। সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি মেঘাকে ফোন করে বলে, তোর দাদা নিজেকে কি মনে করে অনেক বড় কিছু। সে আমাকে বারবার অপমান করবে আর আমি মুখ বুজে সেটা সহ্য করব।তোর দাদাকে বলে দিস সে আমার কাছে এসেছিল। আমি তার কাছে যাইনি। এই বলে সৃষ্টি ফোনটি কেটে দেয়। মেঘা সবকিছুই বুঝতে পারে সে মনে মনে ভাবে সৃষ্টি তার দাদাকে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু ভালোবাসা কি এতটাই সহজ। অনেক খড় কুটো পুড়িয়ে ভালোবাসা অর্জন করতে হয়।
দেখতে দেখতে গল্পটার ৬ টা পর্ব শেষ হয়ে গেল। আর আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আজকের পর্বটা। এই গল্পের প্রতিটা পর্ব আমার পড়া হয়েছে। সৃষ্টি দেখছি আস্তে আস্তে রাজুকে ভালোবেসে ফেলেছে। আর রাজু তাকে ইগনোর করার কারণে তার কষ্ট হচ্ছে। এর ধারা বোঝাই যাচ্ছে তার ভালোবাসাটা। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit