হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে কালী পূজায় ঘোরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি এর চতুর্থ পর্বটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
বারাসাতের ভিতরে অলিতে গলিতে যে পরিমাণে পূজা হচ্ছে। এখন কোনটা থেকে কোনটা দেখব সেটাই বুঝতে পারছি না। আগের পর্বে তো বলে বলেছিলাম যে শিল্পীরা পাটকাঠি এবং খড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিন্তু তৈরি করেছে। এবার আমরা যেখানে পূজাটি দেখতে গেলাম। সেখানে কিন্তু আরো অদ্ভুত। অন্যরকম একটা অনুভূতি শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ পাটা দিয়ে উঠবে এতটা ভয়ংকর। যাই হোক এই জায়গাটির আয়োজন করা হয়েছিল ডাক বাংলাতে। এখানে বড় একটি মাঠ ছিল যেখানে আবার মেলাও বসেছিল বিভিন্ন খাবারের দোকান ও এসেছিল। আমরা কিন্তু এখানে গেলাম এবং এখানে একটা ছোট্ট একটা পুকুর ছিল সেই পুকুরে ভিতরে লাইটিং দিয়ে সাজানো হয়েছিল। প্যান্ডেলটি বাইরে থেকে একটি পর্বতের মত লাগছিল। কিন্তু এটা সত্যিকারের পর্বত না কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো হয়েছে কিন্তু দেখতে অবিকল বাস্তব মনে হচ্ছে। এখানে কিন্তু প্রত্যেক বছর অনেক ভিড় হয়ে থাকে সকাল বিকাল আর সন্ধ্যায় তো ভেতরে ঢোকা যায় না এত পরিমানে ভিড় হয়ে থাকে। রাত দুইটার পরে বাজে কিন্তু এখনো যে পরিমাণে ভিড় সে কথা বলার বাইরে। বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু রাতেই পূজা দেখতে বের হয়। কারণ দিনে বেশিরভাগ মানুষ কাজে লিপ্ত থাকে।যার কারণে দিনের বেলায় মানুষ তেমন একটা পূজা, কিন্তু দেখতে পারে না। তার জন্য রাতে সবাই বের হয় পরিবারকে সঙ্গে করে পূজা দেখতে।
যাই হোক এত বড় লাইন হয়েছিল সেই লাইন টোপকিয়ে আমাদের ভিতরে প্রবেশ করতে করতে রাত চারটা বেজে যাবে। তাই একটু গায়ের জোর খাটিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে সবার আগে চলে গেলাম আর ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রবেশ করতে পারলাম। ভিতরে ঢুকতেই শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠ। আমি সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে উঠলাম। আমি যে একা চিৎকার করেছিলাম তা কিন্তু নয় অনেকেই চিৎকার করেছিল। কারণ এত ভয়ংকর ভাবে পুতুলগুলো সাজানো ছিল যে শরীরে কাটা দিবে। আচ্ছা এখানে একটা কথা বলি আপনারা যারা মা কালীর প্রতিমা দেখেছেন। একটু খেয়াল করে দেখবেন যে কতটা ভয়ংকর রূপ তার। কেউ দেখলে ভয় পাবেই। আর মা কালীর সঙ্গীরা হচ্ছে ভূত পেত সহজ কথায় যাকে বলে আত্মা। আর এই প্যান্ডেলটি সেই অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। কঙ্কাল, মরা মানুষ,গলাকাটা মানুষ যা দেখলে খুব ভয় করে আর সেসব পুতুলগুলো রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। আর প্রত্যেকটি পুতুলের উপর বিভিন্ন ধরনের লাইটিং করা হয়েছে যা সেখানকার পরিবেশকে আরো ভয়ংকর করে তুলেছে আর সেই সঙ্গে মিউজিক। আমার বিশ্বাস এই প্যান্ডেলে ভেতরে যদি কারো হার্ট দুর্বল থাকে তাহলে সে সেখানেই মারা যাবে কারণ এতটাই ভয়াবহ অবস্থা। আমি জানি এগুলো নকল কিন্তু ব্যাক রাউন্ড মিউজিক আর লাইটিং পুতুলগুলোকে যেন বাস্তবে রূপ দিয়েছে মনে হচ্ছে এই বুঝি আমার কাছে তেরে আসছে। আপনারা ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন কতটা ভয়ংকর।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৩.১১.২০২৩
সময়:০২.৩৫মিনিট
স্থান: কলকাতা
সত্যি কথা বলতে আমি এখানে এসে খুবই ভয় পেয়ে গেছিলাম আমার গায়ে জ্বর এসে গেছিল। তাই এখানে আর বেশি সময় দেরি না করে সোজা চলে গেলাম বাজারে। দাদা বললো কিছু খেতে হবে সবার ক্ষুদা লেগে গিয়েছে। কারণ একটা জিনিস রাতে যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকবেন তখন কিন্তু আপনার ক্ষুধা লাগবে না। কিন্তু আপনি যদি রাত জেগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ক্ষুধা লাগবে। তাই আমাদেরও খুব ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল আর প্রচুর হাঁটাহাঁটি করছিলাম প্রচুর জল তৃষ্ণা ও লেগে গিয়েছিল। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কিছু খাওয়া যাক। আমরা একটি ফাস্ট ফুডের দোকান দেখে কিছু খাবার অর্ডার করলাম যেমন আমি অর্ডার করলাম বেগুনের চপ, আলুর চপ, চিংড়ি মাছের মাথা, ডিমের চপ, আর অন্যরা যার যার মত অর্ডার করল। একটা কথা ঘুরতে আসলে খাওয়া-দাওয়া করতেই হবে এটা যেন রক্তে লিখে গেছে। আর পূজার মেলাতে কিন্তু খাওয়া-দাওয়া একটু বেশি হয়ে থাকে কারণ এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার দোকানগুলো এসে থাকে। যদিও একটু অস্বাস্থ্যকর কিন্তু তারপরে খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে 😊😊😊। যাইহোক একটা কথা বলতে চাই বাইরের খাবার বেশি না খাওয়াই ভালো। কারন ওষুধের খরচটা বেঁচে যাবে। বাইরের খাবার গুলো খেতে খুব সুস্বাদু হওয়ার কারণে ওষুধের খরচটাও কিন্তু বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব বাইরের খাবার না খাওয়া। সেই খাবারগুলো বাড়িতে তৈরি করে খাওয়াটা আরো ভালো। বাড়িতে তৈরি করা খাবার গুলো একটু স্বাদ কম হবে কিন্তু তারপরও স্বাস্থ্যসম্মত হবে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit