শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণ পর্ব: ৯

in hive-129948 •  8 hours ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণের নবম পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



আগেই বলেছিলাম এই পার্কটি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য দিয়ে ভরা। এই পার্টিতে আসলে গ্রাম বাংলার পরিবেশ এবং প্রকৃতিকে উপভোগ করা যায়। পার্কের দক্ষিণ দিকে ছোট ছোট ঘর তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘরের সামনে পাথরে খোদাই করে লেখা রয়েছে সেই রাজ্যের নাম। সেই রাজ্যের মানুষগুলো প্রাচীনকালে কিভাবে জীবন যাপন করত তার চিত্র এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কলকাতা, ওড়িশা, বৃন্দাবন, বিহার, সিকিম ইত্যাদি। প্রত্যেকটি ঘরে সেখানকার ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমি নিচে সেগুলোর ছবি দিয়ে দিব যেটি দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন সেখানকার প্রাচীন মানুষ কিভাবে জীবন যাপন করত। এখানে আগেই বলেছি প্রত্যেকটি ঘরে প্রবেশ করতে গেলে আপনাকে বাধ্যতামূলক জুতা খুলে তারপর প্রবেশ করতে হবে। অনেক ঘর রয়েছে প্রত্যেকটি ঘরে বারবার জুতা খুলে প্রবেশ করা কিন্তু সম্ভব নয়। তাই বাইরে দাঁড়িয়ে যতটুকু সম্ভব ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। আমি যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন আমার নিজেরই মনে হচ্ছিল আমি গ্রাম বাংলার প্রকৃতিকে উপভোগ করছি।

IMG20241225135620.jpg

IMG20241225135357_BURST001.jpg

IMG20241225135402.jpg

IMG20241225135643.jpg

IMG20241225135547.jpg

IMG20241225135606.jpg

IMG20241225135833.jpg



এখানে প্রত্যেকটি কুঠিরের দেয়ালে নিজ নিজ রাজ্যের চিত্র অঙ্কন করা রয়েছে। এই চিত্রগুলো কুঠির কে আরো সুন্দর করে তুলেছে। পার্কের সব থেকে সুন্দর জায়গাটি হল এই জায়গাটি। এই জায়গাটিতে না আসলেই সৃজনী গ্রামের আনন্দটা পাওয়া সম্ভব নয়। তাইতো এখানে অনেক লোকের সমাগম ঘটেছে। প্রচুর লোকের ভিড় ছিল এই জায়গাটিতে। এই স্থানটিতে আসলে মনের ভিতর আলাদা একটি শান্তি অনুভব হয়। অনেক অজানা জিনিসের সন্ধান পাওয়া যায়। যেগুলো এখনকার মানুষ ব্যবহার করে না কিন্তু প্রাচীনকালে এইসব জিনিসপত্র দিয়ে তারা জীবন যাপন করতো। যেমন প্রাচীনকালে মানুষ তারা মাটির হাঁড়িতে কড়াইতে রান্না করত মাটির প্লেটে খাবার খেতো। মৎস্য শিকার করার জন্য তারা নিজ হাতে জাল তৈরি করত। যেগুলো কিন্তু এখনকার সময়টাতে পাওয়া যায় না। বর্তমানে কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে দেখা যায় মাটির হাঁড়িতে রান্না করতে। মাটির হাঁড়িতে রান্না করলে এর সাধ দুর্দান্ত হয়ে থাকে।

IMG20241225135916.jpg

IMG20241225135841.jpg

IMG20241225135559.jpg

IMG20241225140111.jpg

IMG20241225140345.jpg

IMG20241225140152.jpg

IMG20241225140159.jpg



এখানে বেশিরভাগ দেবদেবীর মূর্তি বেশি রয়েছে কারণটি হল তখনকার মানুষ ধর্ম চার নিষ্ঠাচার ছিলেন। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা-অর্চনা করে থাকতেন। বিভিন্ন ধরনের দেবদেবীর মূর্তি দেখতে দেখতে আপনার মাঝেমধ্যে মনে হবে আপনি কোন পূজার প্যান্ডেলে ঘুরছেন। মাঝেমধ্যে মনে হবে আপনি প্রাচীনকালে প্রবেশ করেছেন আবার মাঝে মধ্যে মনে হবে আপনি বর্তমানে সঙ্গে আছেন। এটি একটি আলাদা অনুভূতি যেটি আমি অনুভব করছিলাম। আর ঘরগুলো এত সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে আপনাকে প্রত্যেকটি ঘরে ভেতরে প্রবেশ করতেই হবে। মন চাইবে না জানি এই রাজ্যের মানুষ কিভাবে বসবাস করত এক পলক দেখে আসি। এখানে সব থেকে আমার বেশি ভালো লেগেছিল জায়গাটি খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কোথাও একটি ময়লা আপনি দেখতে পারবে না এর সবথেকে বড় একটি কারণ হলো যদি ভুলবশত আপনি কোন খাবারের প্যাকেট ফেলে থাকেন সেটি যদি এখানে কর্মকর্তারা দেখে ফেলে সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে জরিমানা দিতে হবে। আর এই জায়গাটিতে পার্কের সব থেকে বেশি সিকিউরিটি দেওয়া হয়েছে। কোনরকম অসৎ কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে গ্রেফতার হতে হবে।
IMG20241225135839.jpg

IMG20241225135830.jpg

IMG20241225140143.jpg

IMG20241225135845.jpg

IMG20241225135412.jpg

IMG20241225135553.jpg

IMG20241225135848.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:২৫.১২.২০২৪
সময়:০২.২৫মিনিট
স্থান:শান্তিনিকেতন


আজ পর্বটি এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আপনি এই মেলা ভ্রমণ করে বেশ অনেকগুলো পোস্ট আমাদের মাঝে একের পর এক উপস্থাপন করেছেন। আপনার চমৎকার উপস্থাপনা পোস্টগুলো আমার কাছে অনেক অনেক ভাল লেগেছে। অনেক সুন্দর ছিল আজকের। এখানে অনেক কিছু দেখতেও পারলাম।