"দুষ্টু প্রেমের গল্প" পর্ব -২

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি "দুষ্টু প্রেমের গল্পের" দ্বিতীয় পর্বটি আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি আশা করি ,আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।

pexels-shubham-sharma-2912692.jpg
[সোর্স] (https://www.pexels.com/photo/silhouette-photo-of-couple-making-a-heart-shape-2912692/)


নয়নের পাশ দিয়ে যখন বৃষ্টি যাচ্ছিল তখন নয়ন মেয়েটিকে ডাক দিয়ে দাঁড়াতে বলে। মেয়েটিও ডাকতি শুনে সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যায় ।আর বলে আমাকে কিছু বলবেন ?নয়ন বলে হ্যাঁ তোমাকে তো আগে কোনদিন এ এলাকায় দেখিনি নতুন এসেছো বুঝি।মেয়েটি উত্তর দেয় হ্যাঁ আমি ছোটবেলা থেকেই শহরে বড় হয়েছি। আমার বাবা একজন স্কুল মাস্টার ছিলেন এখন তিনি রিটার্ড করেছে তাই এখন আমার পরিবার সবাই গ্রামে চলে এসেছি। নয়ন মেয়েটিকে বলে আচ্ছা তোমার নাম কি? মেয়েটি উত্তর দেয় আমার নাম বৃষ্টি।নয়ন বলে খুব সুন্দর নাম আচ্ছা কোথায় গিয়েছিলে? মেয়েটি উত্তর দেয় আমার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলাম এখন বাড়িতে যাচ্ছি। নয়ন বলে আচ্ছা ঠিক আছে যাও তাহলে আবার দেখা হবে আমি এই গ্রামের ছেলে কোন সমস্যায় পড়লে আমাকে অবশ্যই জানাবেন।


এই বলে মেয়েটিও চলে গেল আর নয়নও চলে এলো বাড়িতে এসেই দেখতে পায় বৌদি বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে বসে আছে। বৌদি নয়ন কে দেখেই বলে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও। নয়ন ও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বাইকের চাবিটি নিয়ে বাইকটি অন করে বৌদিকে বাইকের পিছনে বসিয়ে রওনা হল। কিছুক্ষণ বাইক চালিয়ে তারা পৌঁছে গেল বৌদির বাড়িতে। বৌদিকে নামিয়ে দিয়েই নয়ন বলে ওঠে বৌদি আমি চলে যাচ্ছি। বৌদি ও সাথে সাথে নয়নকে বলে এখন কোথায় যাচ্ছ একটু বাদেই তো সন্ধ্যা হয়ে আসবে আজ থাকো কাল সকালে চলে যাবে। কিন্তু নয়নের ইচ্ছা করছিল না থাকতে তার মনটা ছিল বাড়িতে কারণ তার মন বলছিল সে কাল হয়তো বৃষ্টির দেখা পাবে কিন্তু বৌদিকে সেটি বলতে পারছিল না। সে বৌদিকে বলে না বৌদি আজ থাকবো না আমার কাল সকালে স্কুল আছে আর স্কুলে না গেলে স্যার বকা দিবে। এই কথা শুনে বৌদি একটু চমকে যায় বৌদি বলে কি হয়েছে বলোতো তুমি? আমাদের বাড়িতে এসে ৪-৫ দিন না থেকে তো বাড়িতে যাওনা।আজ এত পরিবর্তন কি হয়েছে একটু খুলে বলবে?সে মুচকি হেসে বলে বৌদি তেমন কিছুই হয়নি আমি আজ যাই।বৌদি বলে সাবধানে যাবে আর বাড়িতে পৌঁছে আমাকে ফোন করবে নয়ন বলে আচ্ছা ঠিক আছে বৌদি।


এই বলে নয়ন চলে আসে তার বাড়িতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ৮.০০ মিনিট বেজে যায়। বাড়িতে আসতেই তার মা বলে কি ব্যাপার তুই চলে এলি যে? নয়ন বলে হ্যাঁ আমার কাল সকালে স্কুল আছে ।তার মা বলে একি শুনছি আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না এতটা পরিবর্তন যাক ভালো। নয়ন বলে এসব কথা বাদ দাও তো তুমি তাড়াতাড়ি আমার জন্য একটু চা করে নিয়ে এসো ।তার মা চা তৈরি করে তার রুমে নিয়ে এলো নয়ন চা শেষ করে পড়ার টেবিলে পড়তে বসলো পড়া শেষ করে সে বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ল কারণ সকালে স্কুল ছিল। তার সকালে ঘুম ভাঙলো তার বাবার নীতিকথা শুনে। তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে স্কুলের দিকে রওনা হল স্কুল শেষ করে বাড়িতে ফিরে এসে বিকালে নয়ন তার ভাই বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলতে গেল। খেলার মাঝে দেখতে পেল বৃষ্টিকে সে পথের পাশে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছে। খেলা শেষ না করে বৃষ্টির কাছে যে নয়ন বলল তুমি এখানে? সে বলল আমি তো এখানেই থাকি।


একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আসলে নয়ন বিকালে বন্ধুদের সাথে বৃষ্টিদের গ্রামের স্কুল মাঠে খেলতে যায় তাই সেখানেই তাদের দুজনের দেখা হয়ে যায় আবার।


তারা দুজনে কিছু সময় কথা বলে কথার ফাঁকে নয়ন বলে চলো হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি। হঠাৎ বৃষ্টি নয়ন কে বলে আমার না গ্রামের তেমন কোনো বন্ধু নেই, আমার পরিবার ও আমাকে সময় দেয় না আমি খুবই একা। তখন নয়ন বৃষ্টিকে বলে আমি আজ থেকে তোমার বন্ধু হলাম আর তোমাকে সময় দিব। বৃষ্টি নয়নের কথাতে খুব খুশি হয় আর বলে সত্যিই তুমি আমার বন্ধু হবে? নয়ন বলে হ্যাঁ । নয়ন বৃষ্টিকে বলে তোমার ফোন আছে ?বৃষ্টি উত্তর দেয় হ্যাঁ সময় কাটানোর জন্য বাবা আমাকে একটি ফোন কিনে দিয়েছে ।নয়ন বলে আচ্ছা তোমার ফোন নাম্বারটা আমাকে দেবে? বৃষ্টি বলে হ্যাঁ দিতে পারি কিন্তু আমার ফোন নাম্বারটা জানা নেই। তখন নয়ন বলে আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে তুমি আমার ফোন নাম্বারটা নাও বাড়ি যেয়ে আমাকে ফোন করো।


একথা বলে বৃষ্টি বাড়ির চলে গেল কারণ সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল তাই আর বেশি কথা হলো না । নয়ন বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে ফোনটি অন করতেই দেখতে পায় একটি অচেনা নাম্বার থেকে অনেকবার ফোন এসেছে তাই সে নাম্বারটিতে আবার ফোন দেয়। ফোন দিতেই শুনতে পায় একটি মেয়ের কন্ঠ। নয়ন বলে কে বলছো মেয়েটি উত্তর দেয় আমি বৃষ্টি আপনি আমাকে নাম্বারটা দিয়েছিলেন আজ বিকালে।নয়ন বৃষ্টির কথা শুনতে পেরে আনন্দে লাফিয়ে ওঠে কারণ সে ভাবতেই পারেনি এত তাড়াতাড়ি বৃষ্টি তাকে ফোন দিবে। অনেকক্ষণ কথা বলার পর নয়ন বৃষ্টিকে বলে কাল আমাদের কি দেখা হবে? বৃষ্টি বলে হ্যাঁ অবশ্যই আমি বাড়ির ছাদে বিকালবেলাতে আসবো তুমি এসো আমাকে দেখতে পাবে ।

আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দুষ্টু প্রেমের গল্পের দ্বিতীয় পর্ব পড়ে আমার কাছে সত্যি অসম্ভব ভালো লেগেছে। নয়ন এবং বৃষ্টির বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে এটা জেনে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে নয়নের কথাবার্তায় তার মা এবং তার বৌদি অনেক অবাকই হয়েছে। যদিও বৃষ্টির তার নাম্বারটি মনে ছিল না তাই নয়ন তার নাম্বারটি বৃষ্টিকে দিয়েছিল এবং বৃষ্টি অনেকবার ফোন দেয় এবং তারা অনেকক্ষণ পর্যন্ত কথা বলেছিল। নয়ন বলেছিল তাদের আর দেখা হবে কিনা এবং বৃষ্টি বলেছিল হবে এরপরে কি হবে তা জানার এবং দেখার জন্য খুবই আগ্রহ। অপেক্ষায় থাকলাম তাহলে তৃতীয় পর্বের জন্য।

ধন্যবাদ আপু সময় করে পোস্টটি পড়ার জন্য খুব তাড়াতাড়ি তৃতীয় পর্বটি সবার মাঝে উপস্থাপন করব আশা করি ভালো লাগবে।

নয়ন এবং বৃষ্টির গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। নয়ন এবং বৃষ্টির প্রথমে বন্ধুত্ব করলো আসলে কখনো কখনো এরকম বন্ধুত্ব থেকে প্রেম হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা বৃষ্টিকে নয়ন মোবাইল নাম্বারটা দিলেন। এবং রাত্রে বৃষ্টি যখন ফোন করল তখন নয়নের যে অনুভূতি আসলো এটাতে বোঝা যায় নয়ন বৃষ্টিকে পছন্দ করে। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ার জন্য

নয়ন এবং বৃষ্টির গল্পটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। নয়ন বৃষ্টিকে দেখে জিজ্ঞেস যখন করলো তোমাকে এই এলাকা আগে দেখি নাই। তখনই বোঝা গেল নয়ন বৃষ্টির উপর আন্তরিকতা আছে। অন্য একটি বিষয় হচ্ছে নয়ন যখন বৃষ্টিকে তার মোবাইল নাম্বারটা দিল। বৃষ্টি ঐদিন নয়নের কাছে ফোন দিল। অনেক সময় এরকম বন্ধুত্ব থেকে প্রেম হয়ে যায়। অনেক সুন্দর করে গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাকেও ধন্যবাদ