'কলকাতায় ঘুরতে যেয়ে মজাদার খাবার খাওয়ার মুহূর্ত'

in hive-129948 •  7 hours ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করছি। আশা করি, সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম কোথাও ঘুরতে যাব কিন্তু সময়ের অভাবে ঘুরতে যাওয়া হচ্ছিল না। একদিন হঠাৎ করেই চলে গেলাম ঘুরতে আমি আর দীপ্র দা। বেশ কিছুদিন ধরে দাদা বলছিল গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার কথা। তাই ভাবলাম সেদিন আমরা গঙ্গার ঘাট এবং গড়ের মাঠে ঘুরবো। আমাদের প্ল্যান ছিল সন্ধ্যার সময় গঙ্গার ঘাটে আরতি দেখব আর সন্ধ্যার আগের সময়টাতে গড়ের মাঠে ঘুরব। কিন্তু আমাদের কপালটাই সেদিন খারাপ ছিল। আমরা বাইকে করে গিয়েছিলাম। ঠিক টাইমে বাইকটি ছেড়ে ছিলাম কিন্তু রাস্তায় এত পরিমাণে জ্যাম ছিল যে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল গড়ের মাঠে পৌঁছাতে। ভেবেছিলাম গড়ের মাঠে কিছু ফটোগ্রাফি করব কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে আর ফটোগ্রাফি করতে পারলাম না। আমাদের প্রথম প্ল্যানটা একেবারেই নষ্ট হয়ে গেল। গড়ের মাঠের ইতিহাস অন্য একদিন আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। শহরের মাঝে এই মাঠটি আর এখানে বিকাল পড়তেই মাটিতে দলে দলে লোক আসতে শুরু করে। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে গড়ের মাঠে ঘুরতে তো পারলাম না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম দেরি না করে গঙ্গার ঘাটে যাব। যখনই বাইকটি ছাড়বো তখনই সামনে থেকে ঝাল মুড়ি বিক্রেতা যাচ্ছিল। আমার তো ঝাল মুড়ি খুবই প্রিয় একটি খাবার। তাইতো সঙ্গে সঙ্গে ৩০ টাকার দিয়ে ঝালমুড়ি কিনে খেলাম। ঝালমুড়ি খাওয়ার পর আমরা রওনা করলাম গঙ্গার ঘাটে। গঙ্গার ঘাটে যেতেই দেখলাম অনেক লোকের ভিড়। আর গঙ্গার ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে মনটা খুব শান্ত হয়ে গেল। এসে দেখলাম আরতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শাড়ি বদ্ধ ভাবে ব্রাহ্মণ গন ভক্তি ভরে গঙ্গার আরতি করছে যে দৃশ্যটি দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। গঙ্গার আরতি যখন হচ্ছিল গঙ্গার জল তখন খুবই শান্ত ছিল।
IMG20250118181058.jpg

IMG20250118181258.jpg

IMG20250118181044.jpg
গঙ্গার আরতি হয়ে যাওয়ার পর গঙ্গার ঘাটে নেমে গঙ্গার জল স্পর্শ করলাম। আপনারা অবশ্যই জানেন সনাতন ধর্মে গঙ্গার জল কতটা পবিত্র মানা হয়। গঙ্গার জলে শুদ্ধ মনে একবার স্নান করলে সকল পাপ দূর হয়।


যাইহোক, এরপর গঙ্গার ঘাট থেকে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। যেতে যেতে দাদা বলছিল ময়দানে যাওয়ার কথা কারণ এখান থেকে ময়দান অনেকটা দূরে নয়। কিন্তু আমি বললাম আজ ময়দানে যাব না অন্য একদিন যাবো। দাদাকে বললাম অনেকটা ঘোরাঘুরি হলো এবার চলুন কোন রেস্টুরেন্টে যে খাওয়া-দাওয়া করা যাক। দাদা ও আমার কথায় রাজি হয়ে গেল। আমরা একটি ভালো রেস্টুরেন্ট দেখে সেখানে গাড়ি পার্কিং করে ভেতরে প্রবেশ করলাম। রেস্টুরেন্টের এর ভেতরে লোকের ভিড় একটু কম ছিল। আমরা ভিতরে যে বসতেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে ওয়েটার চলে এলো। আমি আমার পছন্দের কিছু খাবার অর্ডার করলাম দাদা তার পছন্দের খাবার অর্ডার করলো। আমি অর্ডার করেছিলাম চিকেন পকোড়া, চিকেন ললিপপ, চিকেন সুপ, তান্দুরি রুটি এবং সঙ্গে মটন কষা। অনেক খাবার অর্ডার করছিলাম আসতে একটু লেট হচ্ছিল যার কারণে আমরা বসে গল্প করছিলাম। গল্প করতে করতে আমাদের খাবারগুলো চলে এলো একে একে সবগুলো খাবার আমরা শেষ করলাম। খাবারের স্বাদ গুলো খুবই দারুণ ছিল।
IMG20250111211747.jpg

IMG20250111211323.jpg

IMG20250111211318.jpg

IMG20250111210119.jpg

IMG20250111210108.jpg

IMG20250111210004.jpg

IMG20250111203827.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১১.০১.২০২৫
সময়:০৯.৩৪ মিনিট
স্থান: কলকাতা

অনেকদিন পর ঘুরতে যেয়ে খাওয়া দাওয়া করে খুবই ভালো লেগেছিল। মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়া কিন্তু খুবই ভালো এতে শরীর মন দুটোই ভালো থাকে।

আজ এখানে শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!