হ্যালো বন্ধুরা,
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আমাদের মাঝে 'ভালোবাসি তোমাকে' গল্পের শেষ পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার শেষ পর্বটি ভালো লাগবে।তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
শুভর কাছ থেকে চলে আসার পর মনিকার কোন কিছুই ভালো লাগছে না। বারবার মনে পড়ছিল শুভর কথা। সে ভাবতে থাকে কি করছে সেই মানুষটা। আমি না থাকাতে তার হয়তো অনেক কষ্ট হচ্ছে। সবকিছু নিজেরই করতে হচ্ছে কি করে পারছে। শুভর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু সে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করতে পারে না। মনিকা শুভকে ফোন দেয় কিন্তু শুভর ফোনটি বন্ধ বলে। শুভর ফোনটি বন্ধ থাকার কারণ হলো অর্পা যেদিন থেকে জানতে পেরেছে মনিকার সঙ্গে শুভর আর কোনো সম্পর্ক নাই। সেদিনের পর থেকেই শুভর সিম কার্ডটি নষ্ট করে দেয় আর মনিকার যাবতীয় ডিটেলস সবকিছু নষ্ট করে দেয়। তার জন্য মনিকা শুভর সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারে না। শুভ এসব ব্যাপারে কিছুই জানতো না। গোপনে অর্পা এইসব কাজ করে।
একদিন হঠাৎ করে জয় মনিকাকে বলে তারা বিদেশে ঘুরতে যাবে। তখন মনিকা আপত্তি করে জয়কে বলে বিবাহের আগে আমরা কোথাও ঘুরতে যাব না। তখন জয় বলে আমি চাই বিবাহের আগে তুমি আর আমি লং ভ্রমনে যাব। মনিকা জয়ের এই প্রস্তাবে কোনমতেই রাজি হতে চায় না। পরবর্তীতে জয় অনেক জোর করার কারণে মনিকা রাজি হয়। জয় মানিকাকে বলে ভ্রমণের আগে আমি চাই শুভর কোন চিহ্ন তোমার শরীরে থাকবে না। এরপরে মনিকা শাখা সিঁদুর মুছে ফেলে জয়ের সঙ্গে লং ভ্রমণে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। আর অন্যদিকে শুভ আস্তে আস্তে সুস্থ হতে শুরু করে। অর্পা তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে আর অর্পা শুভর যত্ন করতে শুরু করে। অর্পা কিন্তু মনে মনে শুভকে ভালোবাসে কিন্তু শুভ এ ব্যাপারে কিছুই জানতো না।
জয় ও মনিকা, তারা দুজনে একটি হোটেল রুম ভাড়া করে একসঙ্গে থাকার প্রস্তুতি নেয়। ভ্রমনে আসার পর থেকে জয়ের রূপটা আস্তে আস্তে পাল্টাতে শুরু করলো। মনিকা কে সে অন্যায় ভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করে তখন মনিকা জয়কে বাধা দেয়। মনিকা জয়কে বলে বিবাহের আগে আমি এসব পছন্দ করি না। তখন জয় বলে তুমি কি ভাবছো আমি তোমাকে বিবাহ করব। তখন মনিকার জয়ের এই কথাটা শুনে তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। মনিকা বলে কি বললে জয়? জয় বলে আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো আর এই সুযোগটাই আমি কাজে লাগিয়েছি। কলেজের সবথেকে সুন্দরী মেয়ে ছিলে তুমি আমি শুধু তোমাকে ব্যবহার করতে চেয়েছি আমি তোমার ভালোবাসা কোনদিনও চাইনি। মনিকা বলে জয় আমি তোমাকে ভালোবাসি আর আজ তোমার জন্য আমি আমার সাজানো সংসারটা ভেঙে দিয়ে এসেছি। তখন জয় হাসতে হাসতে বলে😄😄😄 তুমি তো পাগল তাই সংসার ভেঙে দিয়ে এসেছ। তুমি একটা লোভী মেয়ে তোমার স্বামী তোমাকে এত ভালবাসে তারপরেও তুমি তাকে ছেড়ে আমার কাছে চলে এসেছ। তুমি কি করে ভাবলে একজন বিবাহিত মহিলাকে আমার পরিবার মেনে নিবে।
মনিকা তখন সবকিছু বুঝতে পারে জয় তার সঙ্গে চিট করেছে। তখন জয়কে রেখে সে সোজা চলে আসে শুভর কাছে। মনিকা শুভর বাসায় এসে কলিং বেল বাজায়। দরজা খুলতেই মনিকা দেখে অর্পা দাঁড়িয়ে আছে। তখন মনিকা অর্পা কে বলে তুমি এখানে কি করছো?অর্পা মনিকাকে বলে তুমি এখানে কি করছো? মনিকা বলে এটা আমার স্বামীর বাড়ি।অর্পা হাসতে থাকে 😄😄😄 কি বললে এটা তোমার স্বামীর বাড়ি। হ্যাঁ এটা আমার স্বামীর বাড়ি।অর্পা বলে কিছুদিন পর শুভ তোমাকে ডিভোর্সের কাগজে সই করে দিবে। মনিকা বলে শুভ কোনদিন এটা করবে না আমি ওকে ভালোভাবে চিনি আমি শুভকে ভালবাসি।অর্পা বলে কোথায় ছিল এই ভালোবাসা। যখন শুভকে রেখে তুমি জয়ের সঙ্গে চলে গিয়েছিলে তখন একটা বার তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছো কি। সে বেঁচে আছে না মারা গেছে একটা বারও কি তার খবর নিয়েছো তুমি। আর এখন এসে বলছো থাকে তুমি খুব ভালোবাসো।
মনিকা বলে আমি শুভর সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তার সঙ্গে কোন যোগাযোগই আমি করতে পারিনি। তাদের এই কথোপকথনের মাঝে শুভ এসে উপস্থিত হয়। শুভ দেখতে পায় মনিকা কে। শুভ মনিকা কে দেখে তাকে বলে তুমি এখানে কি চাও? তখনো মনিকা শুভর পাও জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে আর ক্ষমা চাইতে থাকে। মনিকা জয়ের বিষয়ে সবকিছু বলে শুভকে। তখন অর্পা শুভকে বলে তুমি মনিকার কথা বিশ্বাস করো না। মনিকা আবার তোমাকে ঠকাবে তুমি ওকে ক্ষমা করো না। একটা কথা কি জানেন ভালোবাসার মানুষটি যতই অপরাধ করুক না কেনো ভালোবাসা ভালোবাসা জায়গায় থেকে যায় একবিন্দুও কমে না। আর ভালোবাসার মানুষটির চোখের জল কোনদিন সহ্য করা যায় না। গল্পের এখানে শুভর ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। শুভ মনিকার চোখের জল দেখে মনিকা কে ক্ষমা করে দেয় আর মনিকা কে বুকে জড়িয়ে ধরে।সেদিনের পর থেকে মনিকা ও শুভর জীবন নতুন করে শুরু হয়।
আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভালোবাসার জায়গাটা কেউ কখনো নিতে পারে না। যাইহোক মনিকা ও শুভর অবশেষে মিল হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনার এই গল্পের বেশ কিছু পর্ব পড়েছি আর আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। গল্প পড়তে খুব ভালো লাগে। সত্যিকারের ভালোবাসা কখনও হেরে যায় না আর যাকে সব থেকে বেশি ভালোবাসা হয় তার কষ্ট কখনও সহ্য করা যায় না। শুভর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। মনিকা হাজারো অপরাধের পর যখন তার ভুল বুঝতে পেরে সত্যিকার ভালবাসার কাছে ফিরে এসেছে তখন শুভ কি করে তাকে দূরে সরিয়ে দিবে। তাইতো মনিকার ভুল ক্ষমা করে দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া ভালোবাসার জয় দিয়ে এত সুন্দর গল্পের সমাপ্তি করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও এটাই ভেবেছিলাম জয় মনিকাকে কখনোই ভালোবাসেনি। মনিকাকে শুধুমাত্র ব্যবহার করতে চেয়েছে। যাইহোক অবশেষে শুভ এবং মনিকার মিলন হয়েছে একেবারে মন থেকে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। তবে অর্পার জন্য বেশ খারাপ লাগছে। অর্পা সত্যিই খুব ভালোবাসে শুভকে। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit