"আমার শিব সন্ন্যাস জীবনে পদার্পণ"পর্ব ১

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন ।আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার সন্ন্যাস জীবনে পদার্পণে কিছু মুহূর্ত উপস্থাপন করছি তাই বিলম্ব না করে আমার পোষ্ট লেখাটি শুরু করছি।



আগেই বলে রাখি সন্ন্যাসী শব্দের অর্থ যিনি গৃহত্যাগ ও বৈরাগী যারা সংসার ধর্ম ত্যাগ করে ঈশ্বরের চেতনায় মগ্ন থাকে তাদেরকেই সন্ন্যাসী বলে। আমি চৈত্র মাসের এই একটা মাস সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করে থাকি আর এই মাসটিতে আমি আমার সাথে ঘটে যাওয়া এবং আমার পরিবারের কথা সবকিছু ভুলে যে নিজেকে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করে থাকি। সন্ন্যাস জীবনটা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে কারণ সন্ন্যাসীরা সারাদিন ভিক্ষা করে যেটুকু ভিক্ষা পাবে তাই দিয়ে তাদের জীবন নির্বাহ করতে হয়। সন্ন্যাসীদের ঝড়-বৃষ্টি শীত গরম সবই সহ্য করতে হয় কারণ তাদের কোন ঘর থাকে না তাদের কোনো ভালো বস্ত্র থাকে না এই একটা মাসটিতে।


তাই আমিও বাড়ি থেকে মা বাবার সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সন্ন্যাস জীবন জাপানের জন্য বেরিয়ে পড়ি। আমার পরনে একটি গেরুয়া বসন দরকারি কিছু জিনিসপত্র নিয়ে নিলাম এবং আমার মত আরো অনেকে সন্ন্যাস জীবন গ্রহণের জন্য তারাও বাড়ি থেকে অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। আমরা সবাই প্রথমে মন্দিরে প্রবেশ করি। একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আসলে আমি শিব সন্ন্যাস। আপনারা জানবেন চৈত্র মাসের হিন্দুদের চড়ক পূজার কথা আর আমি এই পূজাতেই অংশগ্রহণ করে থাকি।আমার মন্দিরে যে শিব ঠাকুরকে পূজা করলাম পাটের পূজা করলাম ও সর্বশেষ খাড়ার পূজা শেষ করে আমরা সবাই মন্দির প্রাঙ্গণে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে নিলাম।
IMG_20230408_081123.jpg

IMG20230406111725.jpg

IMG20230406111638.jpg
তারিখ :০৬.০৪.২০২৩
সময় :১২.০৪মিনিট
স্থান: রাজনগর

আমি বিশ্রাম নিতে নিতে দেখতে পেলাম মন্দিরের একটি শত বছরের একটি বটগাছ মাটিতে পড়ে আছে। আমি একটি কৌতুহলী হয়ে যাই আর সাথে সাথে আমার সাথে সন্ন্যাসীদের বলতে থাকি গাছটি এত বড় হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে পড়ে গেল । তারা আমায় উত্তর দিল এই মন্দিরটি ভেঙে একটি নতুন মন্দির করা হবে আর এই মন্দির নির্মাণের কিছুটা জায়গা গাছটির সীমানার মাঝে চলে যায় তাই গাছটি কাটতে হতো। কিন্তু কেউ কাটার সাহস পাচ্ছিল না কারণ মন্দিরের পাশে এই শত বছরের পুরনো বটগাছটিতে অনেক ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। শোনা গিয়েছে একটি লোক এক সময়ে এই গাছটি কাটতে চেয়েছিল এবং সে কেটেও ছিল কিছুটা অংশ। কিন্তু পরবর্তীতে সে লোকটি গাছটি কাটার কিছুদিন পরেই মারা যায় এই ঘটনার পরে এই গাছটি কাটার কেউ সাহস পায়নি আজ পর্যন্ত।মন্দিরটি তৈরির করতে হলে গাছটি কাটতে হতো কিন্তু সবাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে গাছটি যেন আপনা আপনি পড়ে যায়।ঈশ্বর তাদের প্রার্থনা হয়তো রেখেছিল তাই কিছুদিন পরেই গাছটি আপনা আপনি পড়ে যায় আমি ঘটনাটি শুনে খুব অবাক হয়ে যাই।

IMG20230406112642.jpg

IMG20230406112702.jpg

IMG20230406112642.jpg
তারিখ :০৬.০৪.২০২৩
সময় :১.৩৫মিনিট
স্থান: রাজনগর



মন্দিরের পাশে একটি পুকুর আছে যে পুকুরটির নাম ঠাকুরানী দীঘি নামে পরিচিত শোনা যায় বহু বছর আগে এই পুকুর তৈরি হয়েছে কিন্তু কেউ জানে না এর রহস্য সত্যিই আজব। চার পাঁচটা গ্রামের মানুষ এই কুকুরের জল খেয়ে থাকে শোনা যায় এই পুকুরের জল খেলে নাকি অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি পায়।
IMG20230406113659.jpg

IMG20230406112441.jpg

IMG20230406112424.jpg

IMG20230406112403.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি :oppo
ক্যামেরা মডেল :oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ :০৬.০৪.২০২৩
সময় :২.০০মিনিট
স্থান: রাজনগর


যাই হোক আমাদের এই একটা মাস এই মন্দিরে থেকেই সন্ন্যাসী জীবন যাপন করতে হবে। আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে না কারণ ঈশ্বরকে ডাকতে হলে সবথেকে উত্তম একটি জায়গায় হল এটি।

আজ এখানেই শেষ করছি ।আমার সন্ন্যাসী জীবনের বাকিটা অংশ অন্য একটি পর্বে সবার মাঝে উপস্থাপন করব সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!