"কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ তৈরি"

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ তৈরি করার রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ এটা কিন্তু আমরা ভাতের সাথে খেতে পারি। আমার কাছে গরম ভাতের সাথে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। এই কাঁকড়া গুলো সাধারণত নদীতে পাওয়া যায়। কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে অনেক কিছু খাবার তৈরি করা যায় যেমন তরকারিতে ব্যবহার করা যায় চাটনি হিসেবে ব্যবহার করা যায় ইত্যাদি।

IMG20230520181833.jpg

এক নজরে দেখে আসা যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি লেগেছে।

##উপাদান :

১:কাঁকড়ার ঘিলু

২: শুকনা চালের গুড়ি ২ চা চামচ

৩: হলুদ

৪: জিরার গুঁড়া ১চা চামচ

৫: ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ

৬:মাংস মসলা ১ চা চামচ

৭: গরম মসলা ১ চা চামচ

৮: লবণ পরিমাণ মত


১ ধাপ:

আগে থেকেই কাঁকড়া থেকে ঘিলু বের করে ফ্রিজে রাখা ছিল। ফ্রিজে রাখা ঘিলু জমে গেয়েছিল তাই নরমাল করার জন্য কিছুটা সময় রেখে দিলাম।
IMG20230520172808.jpg

২ ধাপ:

নরমাল হয়ে গেলে এবার আমি এর ভিতর জিরা,ধনিয়া, গরম মসলা, শুকনা ঝালের গুড়ি, মাংসের মসলা, হলুদ,লবণ দিয়ে হাতের সাহায্যে ভালো করে মাখিয়ে নিলাম। মাখিয়ে নেওয়ার পর আরো দু মিনিটের মতন রেখে দিলাম যাতে সবগুলো উপাদান ঘিলুর সাথে মিশে যেতে পারে।
IMG20230520151338.jpg

IMG20230520173009.jpg

IMG20230520173042.jpg

IMG20230520173147.jpg

৩ ধাপ:

এরপরে আমি চুলার উপর কড়াই দিয়ে এবং তাতে ভাজির জন্য তেল দিলাম। খেয়াল রাখতে হবে চলার আগুন যেন নরমাল থাকে।
IMG20230520174019.jpg

৪ ধাপ:

তেল গরম হয়ে গেলে মেরিনেট করে রাখা ঘিলু অল্প অল্প করে গরম তেলের উপর ছেড়ে দিলাম। এক পাশ হয়ে গেলে অন্য আরেকটি পাস উল্টিয়ে দিলাম যাতে সব পাশে ভালোভাবে ভাজি হতে পারে
IMG20230520174104.jpg

IMG20230520174314.jpg

IMG20230520174336.jpg

IMG20230520174903.jpg

IMG20230520175401.jpg

৫ ধাপ:

ভাজি হয়ে যাওয়ার পর আমি একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখলাম ।এমন করে সবগুলো একইভাবে ভেজে নিয়ে নিলাম। তারপরে ডেকোরেশন এর জন্য শুধু পাতলা করে পেঁয়াজ কাঁচি , মরিচ কুঁচি এগুলো দিয়েই ভালোভাবে সাজিয়ে তুললাম। এরপর আমার তৈরি করার কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ রেসিপির সাথে সেলফি তুললাম।
IMG20230520181833.jpg

IMG20230520181803.jpg

IMG20230520181743.jpg

IMG20230520181951.jpg

চপ তৈরি করার সময় মায়ের কথা খুব মনে পড়ছিল। কারণ যখন খুব ছোট ছিলাম তখন থেকে মা এই চপ আমাদের তৈরি করে খাইয়েছে আর এখনো পর্যন্ত। মায়ের কাছ থেকেই আমি এই চপ তৈরি করা শিখেছি আর আজ আপনাদের সবার মাঝে সেটি উপস্থাপন করেছি। আমরা যদি কোন কিছু শিক্ষা অর্জন করতে চাই তাহলে প্রথমেই তা মায়ের কাছ থেকে শিখে থাকি।

যাই হোক আজ এখানেই শেষ করছি, দেখা হবে নতুন কোন এক রেসিপি নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রথমে কোন কিছু শিক্ষা অর্জন করতে হলে মায়ের কাছ থেকে শিখতে হয়। আপনি আপনার মায়ের কাছ থেকে খুব চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি শিখেছেন। আপনি খুব চমৎকার ভাবে কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ তৈরি রেসিপি করেছেন। আপনাকে রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন এবং লোভনীয় একটি দেশে কি আপনার মাধ্যমে আজ দেখতে পেলাম।।
কাঁকড়া খেয়েছি কিন্তু কাঁকড়া দিয়ে প্রস্তুত করা এমন মজার চপের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি।।
আপনার প্রস্তুত করা দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।।

ওয়াও দারুন রেসিপি ছিল সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে কাকড়া ভাজি খেয়েছিলাম যেটা খেতে দারুন মজা লেগেছিল। আপনি দেখছি কাকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ রেসিপি করেছেন অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার রেসিপি তৈরি।

কাঁকড়া কোনদিন খাইনি আর ঘিলু তো দূরের কথা। যে কোন চপ ভাতের সাথে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার কাকড়া দিয়ে চপ তৈরি দেখে মনে হচ্ছে যে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি চপ তৈরির ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। পরিবেশনাও খুব সুন্দর ছিল। সবশেষে আপনার চপ বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে।

আজকে আপনি আমাদের মাঝে যে রেসিপিটা শেয়ার করেছেন সেটা আমার কাছে সম্পূর্ণভাবেই নতুন ধরনের একটা রেসিপি। এর আগে আমি এই ধরনের রেসিপি কোনদিন দেখেছিলাম না। কাকড়ার ঘিলু দিয়ে যে চপ তৈরি করা যায় সেটা আমার জানাই ছিল না।

কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ তৈরি করা যায় সত্যি এটা আমার আগে কখনোই জানা ছিল না। আপনি কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে খুবই মজাদার চপ তৈরি করেছেন দেখে বুঝতে পারছি। আপনি গরম ভাতের সাথে এই চপ খেতে একটু বেশি পছন্দ করেন এটা জেনে ভালো লাগলো। যদিও আমাদের এদিকে কাঁকড়া পাওয়া একেবারেই মুশকিল কিন্তু আমি চেষ্টা করবো এই চপ তৈরি করার কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে। টেস্টটা তো একবার করতেই হবে। ভালোই একটা রেসিপি তুলে ধরেছেন বেশ ইউনিক ছিল।

একদম অবাক করা রেসিপি দেখালেন ভাই। কেননা কাকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ তৈরি করা যায় তা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে প্রথম জানতে পারলাম। আর আপনার তৈরি চপ দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই টেস্ট হয়েছিল। কাকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ তৈরির প্রতিটি ধাপ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কাকড়ার ঘিলু খাওয়া তো দূরের কথা এখনো কাকড়াই খাওয়া হয়নি। তবে এ ধরনের চপগুলো খেতে খুবই মজা হয় দেখে বোঝা যাচ্ছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। নতুন একটি রেসিপি আপনার কাছে দেখলাম। পরিবেশন টাও খুব সুন্দর ছিল। বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।

একেবারে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেলাম ভাইয়া। কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ তৈরি কখনো করা হয়নি। তবে আজকে আপনার কাছে নতুন রেসিপি শিখতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

যদিও কাঁকড়া অনেকবার খাওয়া হয়েছে, কিন্তু কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে এভাবে আগে কখনো চপ তৈরি করে খাওয়া হয়নি আমার। আহ্ যদি আমাকে চপগুলো দিতেন তাহলে কিন্তু অনেক ভালো হতো। আপনি ডেকোরেশনটা যেভাবে করেছেন দেখে লোভ একেবারেই সামলাতে পারছি না। যদি আমাকে প্লেটে থাকা সবগুলো চপ দিতেন মনে হয় না একটিও বাকি থাকতো বলে। মনে হচ্ছে খুবই মজা করে খেয়েছিলেন আপনি। সম্পূর্ণটা কিন্তু অসম্ভব ভালো ছিল বলতে হয়।

জিভে জল নিয়ে আসার মত রেসিপি! কাঁকড়ার ঘিলু আমার অত্যন্ত ফেভারিট একটি খাবার। কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ তৈরি করে অনেক আগে খেয়েছি কিন্তু বিগত কয়েক বছরের মধ্যে খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখে সত্যিই লোভ লেগে গেল। এত সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ভাই তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ওয়াও অসাধারণ আপনি কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ তৈরি করেছেন। আসলে যখন আমরা কিছু করতে লাগে তখন মায়ের কথা মনে পড়ে। কারণ অনেক কিছু ছোট থেকে আমরা মায়ের কাছ থেকে শিখে থাকি। সত্যি বলতে আপনার কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ তৈরি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

ভাই কাকড়া যে এভাবে খাওয়া যায় তা আমার পূর্বে কখনোই জানা ছিল না। তাও আবার চপ তৈরি করে খাওয়া যায় এটা তো অবিশ্বাস্য ব্যাপার। আমাদের এখানে কুকুরগুলোকে অবশ্য কাঁকড়া পাওয়া যায় কিন্তু এলাকায় খাওয়ার প্রচলন নেই যার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। যাই হোক দারুন রেসিপি তৈরি করা দেখে কিন্তু অনেক ভালো লেগেছে।

অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। রেসিপি কালার টাও খুব সুন্দর এসেছে। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটি ট্রাই করবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

কাকড়ার ঘিলু দিয়ে চপ বানানোর খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরী করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই রেসিপি আমার কাছে একদমই নতুন। তবে আমার কাছে খুবই ইউনিক লেগেছে। চপ বানানোর প্রক্রিয়া খুব সুন্দর হয়েছে এবং ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। পরিবেশন খুব লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাহ্! এককথায় দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। জীবনে কাঁকড়া অনেক খেয়েছি বিভিন্নভাবে। তবে কখনো কাঁকড়ার ঘিলু দিয়ে তৈরি করা কিছু খাওয়া হয়নি। চপ গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। বিকেলের নাস্তার জন্য পারফেক্ট একটা রেসিপি। যাইহোক এমন ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।