হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি গল্প উপস্থাপন করছি। আশা করি, গল্পটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
বহু বছর আগে থেকে কুয়াশা নামক এক জঙ্গলে বসবাস করত কিছু ডাকাত। সন্ধ্যা নামতেই তারা গ্রামে এসে লোকের সোনা দানা চাল ডাল যা পেতো তাই নিয়ে চলে যেত। তারা ছিল বিশাল শক্তির অধিকারী কুচকুচে কালো বর্ণের চেহারা ছিল তাদের। সামনাসামনি কেউ তাদেরকে দেখলে হাটু কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে লুটিয়ে পড়তো। তাদের কাছে ছিল ধারালো অস্ত্র বন্ধক যার দ্বারা তারা মানুষদের ভয় দেখিয়ে তাদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত। কুয়াশা জঙ্গলের ভেতর থেকে একটি রাস্তা ছিল। সেই রাস্তা দিয়ে সবাই যাতায়াত করত। কুয়াশা জঙ্গলটি সব সময় অন্ধকার থাকতো। কারণ এখানে এত পরিমানে গাছ কলা রয়েছে সূর্যের আলো সেখানে পড়তো না। ডাকাত দল আমাবস্যার রাতে মা কালীর পূজা করে থাকতো। তারা সেদিন রাতে নর গলি দিয়ে থাকতো।দলের একজন সদ্দার ছিল তার নাম ছিল নরেশ মন্ডল। এই নরেশ মন্ডল খুব ভয়ংকর প্রকৃতির ব্যক্তি ছিলেন। বিশাল আকৃতির দেহ, কালো বর্ণের চেহারা, চোখ দুটো লাল টক টক করত। তার কপালে সব সময় সেদুরের টিকা দেয়া থাকতো। তার হাতে সব সময় বড় খাড়া থাকতো।
একদিন ঘটেছিল ভয়ংকর ঘটনা সেদিনই ছিল অমাবস্যার রাত। নরেশ মন্ডল সেদিন নরবলি দেওয়ার জন্য একজন মানুষ ধরে আনতে বলে। ডাকাত দল বেরিয়ে পড়ে মানুষ ধরে আনার জন্য। ডাকাত দল জঙ্গল ছেড়ে যখন গ্রামে প্রবেশ করত তখন তারা বন্দুকের আওয়াজ করতো। গ্রামবাসীরা সন্ধ্যার পর ঘরের বাতি নিবিয়ে দরজায় খিল দিয়ে ঘুমিয়ে পড়তো। ডাকাত দল গ্রামে ঢুকে প্রতিদিন একটি করে লোক ধরে নিয়ে যেত। আর সেই লোক ধরে নিয়ে তাদেরকে মা কালীর সামনে বলে দিত। মানুষের সেই তাজা রক্ত দিয়ে নরেশ মন্ডল মা কালীর পূজা করত। ডাকাত দল যখন গ্রামে ঢুকেছিল গ্রামবাসীরা থর থর করে কাঁপছিল তারা ভাবছিল আজ না জানি কোন মায়ের বুক খালি হয়ে যায়। অনেকবার গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে ডাকাত তালের উপর হামলাও করেছিল। কিন্তু গ্রামবাসীরা ডাকাত দলের সাথে যুদ্ধ করে পেরে ওঠেনি। কারণ তাদের কাছে ছিল ধারালো অস্ত্র যা গ্রামবাসীদের কাছে ছিল না। তাই তাদের নিরবে তাদের নির্যাতন সহ্য করতে হতো।
ডাকাত দল এক বাড়িতে হামলা করে। সেই বাড়িতে ছিল দুজন ব্যক্তি ছেলে আর মা। ডাকাত দল যখন তাদের দরজায় আঘাত করে তখন মা ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে। ডাকাত দলের একজন দরজা খুলতে বলে কিন্তু তারা দরজা খুলে না। তখন এক ডাকাত লাথি মেরে দরজা ভেঙে ফেলে। তারা দেখতে পায় একজন মহিলা একটি ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। ডাকাত দল সেই মহিলাকে বলে তোর ছেলেকে আমাদের হাতে তুলে দে। তখন সে মা তাদেরকে বলে আমার জীবন থাকতে আমি আমার সন্তানকে তোদের হাতে কোনদিন তুলে দিব না। তখন ডাকাত দলের একজন ওই সন্তানের হাত ধরে টানতে থাকে। সন্তান মায়ের কাছ থেকে যেতে চায় না হাউমাউ করে কান্না করতে থাকে।মা চিৎকার করতে থাকে সাহায্য করো আমার সন্তানকে ডাকাত নিয়ে যাচ্ছে আমার সন্তানকে বাঁচাও😭😭😭। কিন্তু তার চিৎকার শুনে কোন ব্যক্তি ঘর থেকে বের হয় না। কারণ তারা জানে বের হলেই ডাকাতের হাতে তাদের মরতে হবে। যখন ডাকাত দল মায়ের কোল থেকে সন্তানকে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছিল তখন মা দৌড়ে এসে হামলা করে ডাকাতদের উপর। তখন একটি ডাকাত সেই মায়ের বুকের উপর পা দিয়ে তার দেহ থেকে মাথাটা আলাদা করে ফেলে। সন্তান তার মায়ের মৃত্যু দেখে হাউমাউ করে চিৎকার করতে থাকে😭😭😭। কিন্তু তার চিৎকার গ্রামবাসীদের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। বন্দুকের শব্দ করতে করতে ডাকাত দল ঢুকে পড়ে জঙ্গলের ভেতর। এরপর সেই সন্তানকে স্নান করিয়ে পরিষ্কার জামা কাপড় পরিয়ে বলির জন্য প্রস্তুত করা হয়।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার গল্প পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকের গল্পটাও খুব সুন্দর ছিল।ডাকাতরা মায়ের বুক থেকে তার সন্তান কে নিয়ে যায়। মা প্রতিবাদ করায় তাকে মেরে ফেলেছে এই বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। এরপর ছেলেকে বলি দেওয়ার জন্য গোসল করিয়ে রেডি করিয়ে নিয়ে আসে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সময় করে আমার পোস্টটি দেখার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit