আ _{^{মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।}}

চারদিন আগে আমি একটা পোস্ট করেছিলাম সেখানে আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে। ভলেন্টিয়ার হচ্ছে এমন একটা শব্দ যেখানে দায়িত্ব অনেক বেশি কিন্তু মূল্যায়ন কম, শুধুমাত্র নিজের অভিজ্ঞতার জন্যই এ কাজ করতে পারেন অন্যথায় ব্যক্তিগত জীবনে আপনাকে লাভবান হওয়ার কিছুই নেই শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা অর্জন।

আমি আগে ভলেন্টিয়ার ছিলাম অনেক কিছুতেই তবে এটা ছিল বেশ বড় একটা সংখ্যা তাই এখানে যুক্ত হওয়া। তাছাড়াও আমার ডিপার্টমেন্ট বলে কথা আমি অন্য কাউকে ভরসা করতে পারছিলাম না তাই আমি এবং আমার বন্ধুই দায়িত্বটা নিলাম। সারাদিন পরিশ্রমের পর নিজেরাই কিছু খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম সেটা খেয়েছিলাম তবে লাইনস টাইমে বেশ ভালই খাবার দেয়া হয়েছে।

খাবারের পরিমাণ অনেক পরিমাণ বেশি ছিল অনেক আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই খাবার নষ্ট হয়েছে। যাই হোক দুপুরের পরে খানিকটা ফ্রী হলাম নিজের শরীরকে খানিকটা বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ করে দিলাম। ভালো লাগছিল না তারপর বাহিরে হাটাহাটি করলাম। একটু ফ্রি হওয়ার পর সকলের সাথে ঘুরাঘুরি এবং বড় ভাইদের সাথে ছবি তোলার পালা। এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম সন্ধ্যার পর যে প্রোগ্রামটা হবে সেটা নিয়ে।

এর মধ্যে আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে ৩ পাঁচজন ডীন পুরস্কার পেলেন এবং মেডেল পেল। তাদের মধ্যে একজন আমাদের ক্লাবের বড় ভাই। সেতো এসেই এগুলো আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল এগুলো তোদের প্রাপ্তি। খানিকটা হাসলাম তারপর ভাই বলল দাঁড়া তোদের একটা ছবি তুলে দেই।

তবে এবার আমি আমার বন্ধুকে বলছিলাম আর বেশি দায়িত্ব নেয়া যাবে না খানিকটা দূরে দূরে থাকতে হবে। দেখলাম সবাই বেশ আনন্দ ফুর্তি করছে ছবি তুলছে কিন্তু আমরা খুব বেশি দায়িত্বের মধ্যে ঢুকে গেছিলাম। এরপর আমরাও বন্ধু-বান্ধবরা বের হলাম খোঁজ নেয়া শুরু করলাম বন্ধুবান্ধব কয়জন এসেছে। নিজেদের দায়িত্ব থেকে বেরিয়ে খানিকটা আড্ডা দিলাম মজা করলাম।

এর মধ্যে আমাদের ক্যাম্পাসের যে শিল্পীরা ছিল তারা তাদের গান পরিবেশন করে ফেলেছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ড মাইলস চলে এসেছে তাদের স্টেজ ছেড়ে দেয়া হলো এবং আমরা আমাদের অনুষ্ঠানের সর্বশেষ ভাগে চলে আসলাম, যার জন্য বাকি সবাই অপেক্ষা করছিল এত রাত পর্যন্ত। এরপর কাঙ্ক্ষিত গানের মাধ্যমে শেষ হয়ে গেল আমাদের সেই দিনের প্রোগ্রামটি।

সকল সিনিয়াররা খুশি মনে আস্তে আস্তে বিদায় নিচ্ছে, তখন মোটামুটি ভালই রাত হয়ে গেল। ইউনিভার্সিটি চারটা বাস ছিল যেগুলো দিয়ে দূরের যারা তাদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হলো এবং আমরাও আস্তে আস্তে নিজেদের মতো করে বেরিয়ে গেলাম, দিনশেষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর খুশি এবং তাদের ভালোবাসা দেখে আমরাও খুশি, এভাবে সিনিয়র জুনিয়রদের ভালোবাসা বজায় থাকুক চিরকাল।

_{আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।}

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---