আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
১৪ই জানুয়ারি, শনিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।হঠাৎ করেই ফেসবুকে কারাগার এই ওয়েবসাইটটি নিয়ে বেশ তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, আমি চেষ্টা করেছি বেশ কয়েকবার দেখার জন্য, অবশেষে আমি সবগুলো পর্ব ডাউনলোড করতে সক্ষম হয় এবং আপনাদের সামনে রিভিউ করার জন্য চলে এসেছি, দীর্ঘ একটা সময় পর দ্বিতীয় পার্ট বের হয়েছে তাই আর সময় নষ্ট না করে রিভিউ করতে চলে আসলাম।
| নির্মাতা ও পরিচালক | সৈয়দ আহমেদ শাওকি |
| ------------ | ------------ |
| গল্প লেখক ও চিত্রনাট্য | নেয়ামত উল্লাহ মাসুম |
| ধরন | রোমাঞ্চ |
| চঞ্চল চৌধুরী | ইন্তেখাব দিনার |
| ------------ | ------------ |
| তাসনিয়া ফারিণ | এফএস নাঈম |
| বিজরী বরকতুল্লাহ | আফজাল হোসেন|
| জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় | সহ আরো অনেকে |
এই ঘটনা মূলত বাংলাদেশের একটি কারাগারে নিয়ে, কারাগারের একদম শেষ কক্ষ আজ থেকে ৫০ বছর আগে সিল করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, শত বছরেও সেখানে কাউকে রাখা যায়নি। হঠাৎ করেই সেই কক্ষে একজন আসামী দেখা যায়, সে দাবি করছে ২৫০ ধরে সে কারাগারে বন্দি সে মীরজাফরের হত্যাকারী।
কারাগার || ওয়েব সিরিজ || রিভিউ পার্ট-১
কারাগার || ওয়েব সিরিজ || রিভিউ পার্ট-২
দীর্ঘ চারটা মাস অপেক্ষা করার পর চমৎকার এই ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পার্ট চলে এসেছে, প্রথম পার্ট একটু বড় থাকায় দুটি পোস্টের মাধ্যমে কমপ্লিট করেছি তবে এটা চেষ্টা করব একটা পোস্টের মাধ্যমে কমপ্লিট করতে।
প্রথম সিজনে আমরা যেখানে শেষ করেছিলাম খানিকটা সেখান থেকেই আমাদের পরের সিরিজটি শুরু হলো। মেয়েটি তার বাবার পরিচয় খুঁজছে কারণ ছোট থেকে সে জানতো তার বাবা মারা গেছে কিন্তু হঠাৎ করেই সে জানতে পারে তার বাবা এখনো বেঁচে আছে, শুধুমাত্র এই কারণেই সে এই প্লানিং এর একটা পার্ট হয়ে গেল। মেয়েটি তাদের বার্তা জেলখানা পর্যন্ত পৌঁছাবে বিনিময়ে তার বাবার ঠিকানা খুঁজে বের করতে তারা সাহায্য করবে।
প্রথম সিজনে আমরা যে মানুষটাকে অসহায় ভেবেছিলাম ভেবেছিলাম এই মানুষটা কথা বলতে পারে না বোবা হঠাৎ করে দ্বিতীয় সিরিজে আমি দেখতে পারি তিনি অনেক বড় মাপের মানুষ, এত টরচারের পরেও সে খুব নিখুঁতভাবে অভিনয় করেছে, এখন জেলখানায় তার কিছু লোক হয়েছে যাদের সাথে তিনি কথা বলে।
অপরদিকে প্রথম সিজারে যে পুলিশ তাকে অত্যাচার করেছিল সে এক্সিডেন্ট করেছিল সুস্থ হয়ে সে আবার ফেরত আসলো। জেলখানায় এসেই দেখতে পেল সবাই এখন এই মানুষটাকে ভয় পায় সকল পুলিশ তাকে সাবধান করে দিল সে যেন আর কোনরকম বাজে ব্যবহার না করে গাজী বাবার সাথে, তার এই অভিনয়ের জন্য জেলখানা সবাই তাকে পীর বাবা বলে বিশ্বাস করে নিয়েছে।
হঠাৎ করি আমরা ১৯৯৫ সালের দিকে চলে গেলাম, বর্তমানে যে গাজিবাবা তারই অতীতকাল তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষিত স্মার্ট একটা ছেলে কানাডা থেকে বাংলাদেশে এসেছে তার বাবা মার খোঁজে।
মূলত যুদ্ধের সময় অনেক নারী তাদের ইজ্জত হারিয়েছে, পিতৃ পরিচয় না থাকার কারণে সে সকল নারীরা তাদের বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর এখানে রেখে গেছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে অ্যাডাপ করা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভাগ্যক্রমে তিনি কানাডায় বড় হয়েছেন।
এই ঘটনার প্রত্যেকটা ক্যারেক্টার কেউ কাউকে খুঁজছে বিষয়টাই এমন, অর্থাৎ কেউ বাবাকে , কেউ বাবা-মা দুজন কে খুঁজে বেড়াচ্ছে অর্থাৎ পরিবারের সদস্যকে তারা কোথাও না কোথাও হারিয়ে ফেলেছিল।
কারো কাছে পরিচয় রয়েছে ,কারো কাছে নাম রয়েছে কিংবা কেউ জানিনা তাদের আসল বাবা-মা কে? কিন্তু প্রিয়জনদের খোঁজার নেশায় তারা একত্রিত হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত চঞ্চল চৌধুরী তার মায়ের খোঁজ পায়, কিন্তু সে ছিল ভারসাম্যহীন। অর্থাৎ ওই সময়ের সে পাগল হয়ে গিয়েছিল। তখন এই চঞ্চল চৌধুরী একটা সিদ্ধান্ত নেয় যে তার মায়ের এত বড় ক্ষতি করল তাকে সে হত্যা করবে, অর্থাৎ সে তার বাবাকে হত্যা করতে চায়। মূলত সেই কারণেই সে জেলখানার মধ্যে এসেছে এবং এখানেই তার বাবা সাজা কাটছে অন্য কোন একটা কারণে।
তবুও চঞ্চল চৌধুরীর সাধ মিটলো না কারণ তার বাবা এখানে অন্য একটা কারণে জেল খাটছে, অথচ সে আরো বড় একটা অন্যায় করেছিল তার সাজা হয়নি মূলত সেই জন্যই সে এখানে এত বড় একটা প্লান করে নিজের জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলে এসেছে।
যেহেতু জেলখানায় তাকে গাজী বাবা বলে সবাই সম্বোধন করে, অন্য কয়াদিদের উস্কিয়ে দেয়া হলো, মূলত তাদের জেলখানা থেকে বের হওয়ার সময় হয়েছে তাই জেলে বড় একটা হাঙ্গামা তৈরি করতে হবে এতে করে তারা সকল পুলিশের চোখ আড়াল করে বেরিয়ে যেতে পারবে।
জেলখানা থেকে বের হওয়ার আগে সে তার বাবা অর্থাৎ যাকে খুন করতে এসেছে তাকে বলে এখানে একটা সুরঙ্গ রয়েছে এখান দিয়ে তাকে নেয়ার জন্য সে এসেছে, প্লান মোতাবেক সকল পুলিশ যখন জেলখানায় মারামারি থামানোর জন্য ব্যস্ত হবে তখন তারা দুজন এখানে থেকে বের হয়ে যাবে।
যখনই তার বাবা সুরঙ্গ দিয়ে যাওয়ার জন্য তার কাছে আসে তখনই সে তাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে হত্যা করে জেলখানার উপরেই ঝুলিয়ে রাখে এবং টাকা হত্যা করার পর চঞ্চল চৌধুরী সে সুরঙ্গ দিয়েই আগের মত জেলখানা থেকে পালিয়ে যায়।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার রিভিউ করার ওয়েব সিরিজ কারাগার-২ দেখে ভালো লাগলো। বাস্তবতাকে নিয়ে তৈরি করা খুব সুন্দর একটি ওয়েব সিরিজ। আমি কিছু অংশ দেখেছি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অবশ্যই পুরো অংশ দেখে নেবো। আপনার উপস্থাপন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এত সুন্দর ওয়েব সিরিজ আমাদের মাঝে রিভিউ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি যখন প্রথম সিরিজটা দেখেছিলাম আমার খুব ভালো লেগেছিল এবং রিভিউ করেছিলাম, দ্বিতীয় সিরিজের জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছি প্রায় চার মাস পর যখন পেলাম সেটাও আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit